তোমায় আমায় মিল খেয়েছে
বাণী
তোমায় আমায় মিল খেয়েছে ও প্রেয়সী রাজ-যোটক। আমি যেন গোদা চরণ তুমি তাহে বিষ্ফোটক।। আমি কুম্ড়ো তুমি দা, আমি কাঁচকলা তুমি আদা, তুমি তেজী, (আর) আমি ম্যাদা, আমি সাপ, তুমি বেজি যেন, বাপ! তুমি হস্তিনী আমি ঘোটক।। তুমি বঁটী আমি চিচিঙ্গে, আমি চিল, পিছে তুমি ফিঙে আমি টিঙ্ টিঙে, (আর) তুমি ডিঙ্ ডিঙে প্রিয়ে আমি ভেতো বাঙালিটি, তুমি যেন বর্গী-ঠগ্।। আমি দাড়ি তুমি ক্ষুর, তুমি সাপ আমি ল্যাজুড়, তুমি মাফ, আমি কসুর আমি ভাঙা ভোঙা কলার ভেলা তুমি খিদিরপুরের ডক্।। তুমি বঁড়্ শি আমি মাছ; আমি মোম্ তুমি আগুন-আঁচ, তুমি আমার হাতের পাঁচ তুমি আ জনমে স্বামী হয়ো আমায় দিও পদোদক।।
আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত
বাণী
আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত। ও নাম প্রাণে মিটায় পিয়াসা, আমার তামান্না আমারি আশা, আমার গৌরব আমারি ভরসা, এ দীন গোনাহগার তাঁহারই উম্মত।। ও নামে রওশন জমীন আসমান, ও নামে মাখা তামাম জাহান, ও নামই দরিয়ায় বহায় উজান, ও নাম ধেয়ায় মরু ও পর্বত।। আমার নবীর নাম জপে নিশিদিন ফেরেশ্তা আর হুর পরী জিন্, ও নাম জপি আমার ভোমরায় পাবো কিয়ামতে তাঁহার শাফায়ৎ।।
আমি গো-রাখা রাখাল
বাণী
আমি গো-রাখা রাখাল। যারা গোপের মতন চির-সরলমন — তাদেরি সাথে আমি খেলি চিরকাল গো।। নয়ন বুঁজে ধ্যানী আমারে খুঁজে যে গিরি-গুহায়, (সেই) গিরি ধরিয়া রহি গিরিধারী ওরা দেখিতে না পায়। আমি নন্দ-লালার বেশে কাছে আসি মৃদু হেসে, ওরা ভাবে হরি শুধু বিপুল বিশাল।। (ওরা প্রেম যে পায়নি, ওরা সহজে গোপীর মত ভালোবেসে চায়নি প্রেম যে পায়নি!)
নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’
আজি আকাশ মধুর বাতাস মধুর
বাণী
আজি আকাশ মধুর বাতাস মধুর, মধুর গানের সুর আজি ভুবন লাগে মধুর। পরানের কাছে যেন আসিয়াছে হারানো প্রিয়া সুদূর।। একি মাধুরী জড়িত লতায় পাতায়, যাহা হেরি তাই পরান মাতায়, অবনি ভরিয়া ঝরিছে লাবনি মাধুরীতে ভরপুর।। আগেও ফুটেছে এ গাঁয়ের মাঠে পথপাশে ভাঁটফুল, এই পথ বেয়ে জলে যেত বধূ পিঠভরা এলোচুল। আজ মনে হয় নতুন সকলি মধুময় লাগে বিহগ কাকলি আজি অকারণ নেচে ফেরে মন যেন বনের ময়ূর।।