ঐ অভ্র-ভেদী তোমার ধ্বজা
বাণী
ঐ অভ্র-ভেদী তোমার ধ্বজা উড়্লে আকাশ-পথে। মাগো, তোমার রথ আনা ঐ রক্ত-সেনার রথে।। ললাট-ভরা জয়ের টীকা অঙ্গে নাচে অগ্নি-শিখা, রক্তে জ্বলে বহ্নি-লিখা, মা! ঐ বাজে তোর বিজয়-ভেরি, নাই দেরি আর নাই মা দেরি, মুক্ত তোমার হ’তে।। আনো তোমার বরণ-ডালা, আনো তোমার শঙ্খ, নারী! ঐ দ্বারে মা’র মুক্তি-সেনা, বিজয়-বাজা উঠ্ছে তারি। ওরে ভীরু! ওরে মরা! মরার ভয়ে যাস্নি তোরা; তোদেরও আজ ডাক্ছি মোরা – ভাই! ঐ খোলে রে মুক্তি-তোরণ, আজ একাকার জীবন-মরণ মুক্ত এ ভারতে।।
আজি আল কোরায়শী প্রিয় নবী এলেন ধরাধাম
বাণী
আজি আল কোরায়শী প্রিয় নবী এলেন ধরাধাম তাঁর কদম মোবারকে লাখো হাজারো সালাম। তওরত ইঞ্জিলে মুসা ঈসা পয়গম্বর বলেছিলেন আগাম যাঁহার আসারি খবর রব্বুলে দায়ের যাঁহার দিয়েছিলেন নাম সেই আহমদ মোর্তজা আজি এলেন আরব ধাম।। আদমেরি পেশানিতে জ্যোতি ছিল যাঁর যাঁর গুণে নূহ তরে গেল তুফান পাথার যাঁর নূরে নমরুদের আগুন হলো ফুলহার সেই মোহাম্মদ মুস্তাফা এলেন নিয়ে দীন-ইসলাম।। এলেন কাবার মুক্তিদাতা মসজিদের প্রাণ, শাফায়াতের তরী এলে পাপী তাপীর ত্রাণ দিকে দিকে শুনি খোদার নামের আজান নবীর রূপে এলো খোদার রহমতেরি জাম।।
দৃষ্টিতে আর হয় না সৃষ্টি
বাণী
দৃষ্টিতে আর হয় না সৃষ্টি আগের মত গোলাপ ফুল। কথায় সুরে ফুল ফুটাতাম, হয় না এখন আর সে-ভুল।। বাসি হাসির মালা নিয়ে কি হবে নওরোজে গিয়ে, চাঁদ না দেখে আঁধার রাতি বাঁধে কি গো এলোচুল।। আজো দখিন হাওয়ায় ফাগুন আনে বুল্বুলি নাই গুলিস্তানে, দোলে না আর চাঁদকে দেখে’ বনে দোলন-চাঁপার দুল্।। কী হারালো! নাই কি যেন মন হয়েছে এমন কেন, কোন্ নিদয়ের পরশ লেগে’ হয় না হৃদয় আর ব্যাকুল।।
আল্লাহ রসুল বোল রে মন আল্লাহ রসুল বোল
বাণী
আল্লাহ রসুল বোল রে মন আল্লাহ রসুল বোল। দিনে দিনে দিন গেল তোর দুনিয়াদারি ভোল।। রোজ কেয়ামতের নিয়ামত এই আল্লাহ-রসুল বাণী তোর আখেরের ভুখের খোরাক পিয়াসের ঐ পানি তোর দিল দরিয়ায় আল্লাহ-রসুল জপের লহর তোল।। তোর স্ত্রী-পুত্র ভাই-বেরাদর কেউ হবে না সাথি আঁধার গোরে রইবি প’ড়ে জ্বালবে না কেউ বাতি। যে নামে হেসে পার হবি তুই পুল-সেরাতের পোল।। (ওরে) হাড়-ভাঙা খাটুনি খেটে ঘুরে ঘুরে পথে আনিস যা তুই লাগবে না তা তোর কাজে আকবতে। যে যে নাম জ’পে পাবি রে তুই মোস্তফারই কোল।।
ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস
বাণী
ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস কাঁচা বুকে ধরে ঘুণ, শ্বাস ওঠে ফোঁস ফাঁস।। শিমুল ফুলের মত ফটাফট্ ফাটে হিয়া প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে গো ছড়াইয়া, সবে বালিশ ধরিয়া করে ছটপট হাঁসফাঁস।। চিবুতে সজ্’নে খাড়া সজনীরা ভুলে যায়, আনাগোনা করে প্রেম পরানের দরজায়, হৃদয়ের ইঞ্জিনে গ্যাস্ ওঠে ভোঁস ভাঁস।। কচি আম-ঝোল-টক খাইয়া গিন্নি মায় বৌঝির সাথে করে টক্ষাই টক্ষাই। আইবুড়ো আইবুড়ি জল গেলে ছ’ গেলাস।। বিরহিণীদের আঁখি-কলসি হয়েছে ফুটো, গাধাও আজ গাহে গান ফেলিয়া ঘাসের মুঠো, নোনা-পাকা মন বলে, কবে আসে তালশাঁস।।