সখি সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল
বাণী
সখি, সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল আবার মাধবীলতা। মাধবী চাঁদ উঠেছে আকাশে, আমার মাধব কোথা। রাধা আজ নিরাধারা সখি রাধামাধব কোথা। মধুপ গুঞ্জরে মালতী-বিতানে, নূপুর-গুঞ্জরণ নাহি শুনি কানে। মোর মনো-মধুবনে মধুপ কানু কই – আনন্দ-রাস নাই – রাসবিহারী নাই, আমি আর রাধা নই। সখি পূর্ণ রাসে আমি জনম লভিয়া পুষ্প আহরণ তরে, কৃষ্ণ-পূজার লাগি পুষ্প আহরণ তরে ধেয়েছিনু বনে অনুরাগ ভরে, বৃন্দাবনচারী কৃষ্ণে না পেয়ে, রাধা কাঁদে ব্রজ-পথে ধেয়ে ধেয়ে – ‘প্রাণবল্লভ আমার কই গো, সখি আমায় বলে দে গো।’ রাধা হ’ল আজি অশ্রুর ধারা কৃষ্ঞ-আনন্দিনী রাধা বিনোদিনী কবে হবে শ্রীকৃষ্ণ-হারা।।
আল্লাকে যে পাইতে চায়
বাণী
আল্লাকে যে পাইতে চায় হজরতকে ভালবেসে। আরশ্ কুরসি লওহ কালাম, না চাহিতেই পেয়েছে সে।। রসুল নামের রশি ধ’রে যেতে হবে খোদার ঘরে, নদী-তরঙ্গে যে পড়েছে ভাই, দরিয়াতে সে আপনি মেশে।। তর্ক ক’রে দুঃখ ছাড়া কি পেয়েছিস্ অবিশ্বাসী, কি পাওয়া যায় দেখ্ না বারেক হজরতে মোর ভালবাসি’। এই দুনিয়ায় দিবা-রাতি ঈদ্ হবে তোর নিত্য সাথী, তুই যা চাস্ তাই পাবি রে ভাই আহমদ চান যদি হেসে।।
খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত
বাণী
খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত। দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি ক্ষুধা পেলে লবণ-ভাত।। মাঠে সোনার ফসল দিও, দিও গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়, দিও হৃদয় ভরা শান্তি দিও – (খোদা) সেই তো আমার আবহায়াত।। আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়, আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়, খোদা। (যবে) মস্জিদে যাই তোমারি টানে (যেন) মন নাহি ধায় দুনিয়া পানে আমি ঈদের চাঁদ দেখি যেন আস্লে দুখের আঁধার রাত।।
তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত
বাণী
তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত। যত চাহি তত কাঁদি, আমার মেটে না হসরত।। কোথায় আরব কোথায় এ হিন্দ্ নয়নে মোর নাই তবু নিন্দ প্রাণে শুধু জাগে (তোমার) মদিনার ঐ পথ।। কে বলে তুমি গেছ চলে হাজার বছর আগে আছ লুকিয়ে তুমি প্রিয়তম আমার অনুরাগে। মোর অন্তরের হেরা গুহায় আজো তোমার ডাক শোনা যায় জাগে আমার মনের কাবা ঘরে তোমারি সুরত — হজরত তোমারি সুরত।। যারা দোজখ হতে ত্রাণের তরে তোমায় ভালোবাসে আমার এ প্রেম দেখে তারা কেউ কাঁদে কেউ হাসে। তুমি জান হে মোর স্বামী, শাফায়াৎ চাহি না আমি আমি শুধু তোমায় চাহি তোমার মুহব্বত হজরত তোমার মুহব্বত।।
মধুকর মঞ্জির বাজে
বাণী
মধুকর মঞ্জির বাজে বাজে গুন্ গুন্ মঞ্জুল গুঞ্জরণে। মৃদুল দোদুল নৃত্যে বন শবরী মাতে কুঞ্জবনে।। বাজাইছে সমীর দখিনা পল্লবে মর্মর বীণা, বনভুমি ধ্যান–আসীনা সাজিল রাঙা কিশলয়–বসনে।। ধূলি ধূসর প্রান্তর পরেছিল গৈরিক সন্ন্যাস–সাজ নব–দূর্বাদল শ্যাম হলো আনন্দে আজ। লতিকা–বিতানে ওঠে ডাকি’ মুহু মুহু ঘুমহারা পাখি নব নীল অঞ্জন মাখি’ উদাসী আকাশ হাসে চাঁদের সনে।।