বাণী

আসে রজনী, সন্ধ্যামণির প্রদীপ জ্বলে
ছায়া-আঁচল-ঢাকা কানন-তলে।।
তিমির দু’ কূল দুলে গগনে, গোধূলি-ধূসর সাঁঝ-পবনে
তারার মানিক অলকে ঝলে।।
পূজা আরতি লয়ে চাঁদের থালায়
আসিল সে অস্ত-তোরণ নিরালায়।
ললাটের টিপ্‌ জ্বলে সন্ধ্যা-তারা
গিরি-দরি বনে ফেরে আপন-হারা
থামে ধীরে ধীরে বিরহীর নয়ন-জলে।।

বাণী

	খোদার রহম চাহ যদি নবীজীরে ধর।
	নবীজীরে মুর্শিদ কর নবীর কলমা পড়।।
		আল্লা যে ভাই অসীম সাগর
		কয়জন জানে তাঁহার খবর,
(যদি)	এ সাগরে যাবে, নবী নামের নায়ে চড়।।
	নবীর সুপারিশ বিনা আল্লার দরবারে কেউ যেতে নাহি পারে,
	ও ভাই আল্লা যেন সুর সেই সুরে সুমধুর বাজে নবীর বীণা তারে।
	আল্লা নামের ঝিনুকে ভাই মুক্ত যেন নবী
	আল্লা নামের আসমানে ভাই নবী যেন রবি,
	প্রিয় মোহাম্মদের নামরে ভাই আল্লা তালার চাবি
	খোদা দয়া করবেন সদা নবীরে সার কর।।

বাণী

কেন আসিলে ভালোবাসিলে দিলে না ধরা জীবনে যদি।
বিশাল চোখে মিশায়ে মরু চাহিলে কেন গো বে–দরদী।।
		ছিনু অচেতন আপনা নিয়ে
		কেন জাগালে আঘাত দিয়ে
তব আঁখিজল সে কি শুধু ছল একি মরু হায় নহে জলধি।।
ওগো কত জনমের কত সে কাঁদন করে হাহাকার বুকেরি তলায়
ওগো কত নিরাশায় কত অভিমান ফেনায়ে ওঠে গভীর ব্যথায়।
মিলন হবে কোথায় সে কবে কাঁদিছে সাগর স্মরিয়া নদী।।

বাণী

	কী অনল জ্বলে লো সই কী অনল জ্বলে।
	নয়ন ভরল জলে লো সই আমার হিয়ার তলে।।
(আমি)	উদাসী পাগল হ’য়ে না ত্যাজিলাম কায়া
এই	চাঁদের মুখে পড়ল আমার রাহুল প্রেমের ছায়া,
মোর	বুকের মাঝে সাত সিন্ধুর একি ঢেউ উথলে।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরীর গান)

বাণী

		দাঁড়ালে দুয়ারে মোর		কে তুমি ভিখারিনী।
		গাহিয়া সজল চোখে		বেলা-শেষের রাগিণী॥
		মিনতি-ভরা আঁখি			ওগো কে তুমি ঝড়ের পাখি
(ওগো)	কি দিয়ে জুড়াই ব্যথা		কেমনে কোথায় রাখি
		কোন্ প্রিয় নামে ডাকি’		মান ভাঙাব মানিনী॥
		বুকে তোমায় রাখতে প্রিয়	চোখে আমার বারি ঝরে,
(ওগো)	চোখে যদি রাখিতে চাই		বুকে উঠে ব্যথা ভ’রে।
		যত দেখি তত হায়,		ওগো পিপাসা বাড়িয়া যায়
		কে তুমি যাদুকরী			স্বপন-মরু-চারিণী॥

বাণী

গঙ্গার বালুতটে খেলিছে কিশোর গোরা।
চরণতলে চলে পুলকে বসুন্ধরা।।
	পড়িল কি রে খসি
	ভূতলে রাকা শশী
ঝরিছে অঝোর ধারায় রূপের পাগল-ঝোরা।।
শ্রীমতি ও শ্রীহরি খেলিছে এক অঙ্গে,
দেব-দেবী নর-নারী গাহে স্তব এক সঙ্গে।
	গঙ্গা জোয়ার জাগে
	তাহারি অনুরাগে,
ফিরে এলো কি নদীয়ায় ব্রজের ননী-চোরা।।