বাণী

এখনো দোলন-চাঁপার বনে কুহু পাপিয়া।
প্রিয়া তব নাম লয়ে’ ওঠে ডাকিয়া কুহু পাপিয়া।।
	আজও তোমার কথা
	ভোলেনি বনের লতা,
জড়ায়ে তরুমূলে ছড়ায়ে পথে ফুল ওঠে কাঁদিয়া।।

বাণী

তব ফুলহার নহে মোর নহে।
ভুলায়ো না আর মালার মোহে।।
মালার সাথে যদি না মেলে হৃদয়
হানে আরো জ্বালা, মালা সে নয়,
	আরো কাঁদায় বিরহে।।

বাণী

যাবার বেলায় ফেলে যেয়ো একটি খোঁপার ফুল (প্রিয়)
আমার চোখের চেয়ে চেয়ো একটু চোখের ভুল (প্রিয়)।।
অধর –কোণের ঈয়ৎ হাসির ক্ষণিক আলোকে
রাঙ্গিয়ে যেয়ো আমার হিয়ার গহন কালোকে
যেয়ো না গো মুখ ফিরিয়ে দুলিয়ে হীরের দুল।।
একটি কথা ক’য়ে যেয়ো, একটি নমস্কার,
সেই কথাটি গানের সুরে গাইব বারেবার
হাত ধ’রে মোর বন্ধু ব’লো একটু মনের ভুল।।

বাণী

ফিরিয়া যদি সে আসে আমার খোঁজে ঝরা গোলাবে।
আনিয়া সমাধি পাশে আমার বিদায় বাণী শোনাবে।।
	বলিও তারে এখানে এসে
	ডাকে যেন মোর নাম ধ’রে সে,
রবাব যবে কাঁদিবে রমলা সুরের কোমল রেখাবে।।
	তৃষিত মরুর ধুসর গগন
	যেমন হেরে মেঘের স্বপন,
তেমনি দারুণ তিয়াসা লয়ে কাটিল আমার বিফল জীবন —
একটি ফোঁটা আঁখি–জল ঝরে যেন তার হাতের শরাবে।।

বাণী

ও কে বিকাল বেলা ব’সে নিরালা বাঁধিছে কেশ।
হেরি’ আর্শিতে নিজেরই চারু-মুখ (চোখে) জাগে আবেশ।।
বসনের শাসন নাই অঙ্গে তাহার
উথ্‌লে পড়ে মুক্ত-দেহে যৌবন-জোয়ার,
খুলে’ খুলে’ পড়ে কেশের কাঁটা বেণীর লেশ।।
আঙুলগুলি নাচের ভঙ্গিতে,
খেলে বেড়ায় বেণীর বিনুনিতে।
কভু বাঁকায় ভুরু কভু বাঁকায় গ্রীবা
ঠিক্‌রে পড়ে আয়নায় রূপের বিভা,
জাগে সহসা গালে তা’র সিঁদুর-ডিবার রঙের রেশ।।

বাণী

তোমার ফুলের মতন মন।
ফুলের মত সইতে নার একটু অযতন।।
	ভুল ক’রে এই কঠিন ধরায়
	তুমি কেন আসিলে হায়,
একটি রাতের তরে হেথায় ফুলের জীবন।।
	গাঁথ্‌বে মালা প’রবে গলায়
	অর্ঘ্য দেবে দেবতা-পায়,
ফেলে দেবে পথের ধূলায় মিট্‌লে প্রয়োজন।।