কোন রস-যমুনার কূলে বেণু-কুঞ্জে
বাণী
কোন রস-যমুনার কূলে বেণু-কুঞ্জে হে কিশোর বেণুকা বাজাও। মোর অনুরাগ যায় সেথা, তনু যেতে নারে, তুমি সেই ব্রজের পথ দেখাও।। মোর অন্ধ আঁখি কাঁদে চাঁদের তৃষায় তব পানে হাত তুলে রাত কেটে যায়, বঁধু, এই ভিখারিনী সেই মাধুকরী চায় – মধুবনে, গোপীগণে যে মধু দাও।। প্রেমহীন-নীরস জীবন ল’য়ে পথে পথে ফিরি বৈরাগিনী হয়ে, বুঝি আমি চাই তব প্রেম নাহি পাই – কৃপা কর প্রেমময়, তুমি মোরে চাও।।
যাক্ না নিশি গানে গানে
বাণী
যাক্ না নিশি গানে গানে জাগরণে আজকে গানের বান এসেছে আমার মনে।। মন ছিল মোর পাতায় ছাওয়া হঠাৎ এলো দিখন্ হাওয়া পাতার কোলে কথার কুঁড়ি ফুট্লো অধীর হরষণে।। সেই কথারই মুকুলগুলি সুরের সুতোয় গেঁথে গেঁথে, কা’রে যেন চাই পরাতে কাহারে চাই কাছে পেতে। জানি না সে কোন্ বিজনে নিশীথ জেগে এ গান শোনে না-দেখা তার চোখের চাওয়ায় আবেশ জাগায় মোর নয়নে।।
নেহি তোড়ো ইয়ে ফুলোঁ কি
বাণী
নেহি তোড়ো ইয়ে ফুলোঁ কি ডালি রে হা। মালি ভোমরা বুলবুল তেরি গালি রে হা।। যাও সওতন কে পাশ শুনো ভিগা ভিগা বাত ম্যায়তো হোনেকা চাহতি হুঁ প্রীত বিমার — আভি চাহ ফেকা যায়েগা কালীরে হা।। হায়রে হায় বান্দা আব দালা যৌবন আভি আভি ফুলো মে নেহি আয়ি হ্যায় সৌগন্ধ, আভি গালো পে আয়ি নেহি লালীরে হা।। নেহি আও আভি নাজানে পাও নেহি বাত আভি ছোটি হ্যায় ফুল কলি কাচ্চা আনার যৌবন সে ম্যায় অব তক আনজানে হা।।
তুমি সুন্দর কপট হে নাথ
বাণী
তুমি সুন্দর কপট হে নাথ! মায়াতে রাখ বিভোর। তোমার ছলনা যে বোঝে না নাথ সেই সে দুঃখী ঘোর।। কত শত রূপে নিঠুর আঘাতে তুমি চাও নাথ তোমারে ভোলাতে তবু যে তোমারে ভুলিতে পারে না ধরা দাও তারে চোর।। কাঁদাও তাহারে নিশিদিন তুমি যপে যে তোমার নাম তোমারে যে চাহে শত বন্ধনে বাঁধ তারে অবিরাম। সাগরে মিশাতে চায় বলে নদী জনম গোঁয়ায় কেঁদে নিরবধি ভক্তে তেমনি দিয়াছ যে নাথ অসীম আঁখি - লোর।।
শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে
বাণী
শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে কেবলই সে লুকাতে চায়। আলো-আঁধার পর্দা টেনে বালিকা সে পালিয়ে বেড়ায়।। নিখিল ভুবন আছে তারে ঘিরে আমার মেয়ে তবু বসন খুঁজে ফিরে, তারে যে দেখে সে এক নিমেষে তারি মাঝে লয় হয়ে যায়।। তাই কেবলি সে লুকাতে চায়।। কোটি শিব ব্রহ্মা হরি অনন্তকাল গভীর ধ্যানে, তার সে লুকোচুরি খেলায় পায় না দিশা পায় না মনে। রবি শশী গ্রহতারার ফাঁকে যে দেখেছে পালিয়ে যেতে মাকে, (সে) আপনাকে আর পায় না খুঁজে মায়াবিনীর মহামায়ায়।।