বাণী

ঢল ঢল নয়নে স্বপনের ছায়া গো।
কোন্ অমরার কোন্ মায়া গো।।
	মনের বনের ’পারে
	চকিতে দেখেছি যারে,
সে এলে কি আজ ধরি’ কায়া গো।।

বাণী

দ্বৈত	:	শ্রী রঘুপতি রাম
		লহ প্রণাম শ্রী রঘুপতি রাম
		নব দূর্বাদল শ্যাম অভিরাম।
স্ত্রী	:	সুরাসুর কিন্নর যোগী ঋষি নর
পুরুষ	:	চরাচর যে নাম জপে অবিরাম॥
স্ত্রী	:	সরযূ নদীর জল ছল ছল কান্তি
পুরুষ	:	ঢল ঢল অঙ্গ ললাটে প্রশান্তি
স্ত্রী	:	নাম স্মরণে টোটে শোক তাপ ভ্রান্তি
দ্বৈত	:	পদারবিন্দে মূরছিত কোটি কাম॥
স্ত্রী	:	জানকী বল্লভ সুঠাম অঙ্গ
পুরুষ	:	পরশে নিমেষে হয় হরধনু ভঙ্গ
দ্বৈত	:	রাবণ ভয় হরে যাঁহার নাম॥
স্ত্রী	:	পিতৃ সত্যব্রত পালনকারী
পুরুষ	:	চির বল্কলধারী কাননচারী
দ্বৈত	:	প্রজারঞ্জন লাগি সর্বসুখ ত্যাগী
		যে নামে ধরা হল আনন্দধাম॥

বাণী

শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর জপ-মলা নিশিদিন শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর ধ্যান।
শ্রীকৃষ্ণ বসন শ্রীকৃষ্ণ ভূষণ ধরম করম মোর জ্ঞান।।
শয়নে স্বপনে ঘুমে জাগরণে বিজড়িত শ্রীকৃষ্ণ নাম (মোর)
কৃষ্ণ আত্মা মম কৃষ্ণ প্রিয়তম ওই নাম দেহ মন প্রাণ।।
কৃষ্ণ নয়ন-ধার কৃষ্ণ গলার হার এ হৃদয় তাঁরি ব্রজধাম
ঐ নাম-কলঙ্ক ললাটে আঁকিয়া গো ত্যাজিয়াছি লাজ কুল মান।।

বাণী

গভীর নিশীথে জাগি’ খুঁজি তোমারে।
দূর গগনে প্রিয় তিমির-‘পারে।।
জেগে যবে দেখি হায় তুমি নাই কাছে
আঙিনাতে ফুটে’ ফুল ঝ’রে পড়ে আছে,
বাণ-বেঁধা পাখি সম আহত এ প্রাণ মম —
লুটায়ে লুটায়ে কাঁদে অন্ধকারে।।
মৌন নিঝুম ধরা, ঘুমায়েছে সবে,
এসো প্রিয়, এই বেলা বক্ষে নীরবে।
কত কথা কাঁটা হ’য়ে বুকে আছে বিঁধে
কত আভিমান কত জ্বালা এই হৃদে,
দেখে যাও এসো প্রিয় কত সাধ ঝ’রে গেল —
কত আশা ম’রে গেল হাহাকারে।।

বাণী

খেলে নন্দের-আঙিনায় আনন্দ দুলাল।
রাঙা চরণে মধুর সুরে বাজে নূপুর-তাল॥
	নবীন নাটুয়া বেশে
	নাচে কভু হেসে হেসে,
যাশোমতীর কোলে এসে দোলে কভু গোপাল॥
‘ননী দে’ বলিয়া কাঁদে কভু রোহিণী-কোলে,
জড়ায়ে ধ’রে কদম তরু তমাল-ডালে দোলে।
	দাঁড়ায়ে ত্রিভঙ্গ হ’য়ে
	বাজায় মুরলী ল’য়ে,
কভু সে চরায় ধেনু বনের রাখাল॥

বাণী

গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো আমার সাঁঝগগনে।
মিলনের বাজে বাঁশি আজি বিদায়ের লগনে।।
এতদিন কেঁদে কেঁদে ডেকেছি নিঠুর মরণে
আজি যে কাঁদি বঁধূ বাঁচিতে হায় তোমার সনে।।
আজি এ ঝরা ফুলের অঞ্জলি কি নিতে এলে,
সহসা পূরবী সুর বেজে উঠিল ইমনে।
হইল ধন্য প্রিয় মরন-তীর্থ মম
সুন্দর মৃত্যু এলে বরের বেশে ষেশ জীবনে,
		এলে কে মোর সাঁঝ গগনে।।