বাণী

প্রিয় কোথায় তুমি কোন গহনে
কোন ধ্রুবলোকে কোন দূর গগনে।।
খোঁজে কানন তোমায় মেলি' কুসুম-আঁখি,
'তুমি কোথায়' বলি' ডাকে বনের পাখি।
আছ ঠকুর হয়ে কোন দেবালয়ে
কোন শ্রাবন-মেঘে দখিনা পবনে।।
সিন্ধু-বুকে মুখে লুকায়ে নদী
'তুমি কোথায়' বলি' কাঁদে নিরবধি।
	জ্বালি' তারার বাতি
	খোঁজে আঁধার রাতি,
তোমায় খুঁজিয়া নিভিল জ্যোতি মোর নয়নে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

চম্‌’কে চম্‌’কে ধীর ভীরু পায়,
পল্লী–বালিকা বন–পথে যায় একেলা বন–পথে যায়।।
শাড়ি তার কাঁটা লতায়, জড়িয়ে জড়িয়ে যায়,
পাগল হাওয়াতে অঞ্চল ল’য়ে মাতে —
		যেন তার তনুর পরশ চায়।।
শিরীষের পাতায় নূপুর, বাজে তার ঝুমুর ঝুমুর,
কুসুম ঝরিয়া মরিতে চাহে তার কবরীতে,
		পাখী গায় পাতার ঝরোকায়।।
চাহি’ তা’র নীল নয়নে, হরিণী লুকায় বনে,
হাতে তা’র কাঁকন হ’তে মাধবী লতা কাঁদে,
		ভ্রমরা কুন্তলে লুকায়।।

রাগ ও তাল

আরবি সুর

তালঃ কাহার্‌বা

অডিও

শিল্পীঃ অনুরাধা পোড়োয়াল

ভিডিও

 

স্বরলিপি

বাণী

রাধা	:	ঐ শ্যাম মুরলী বাজায়।
কৃষ্ণ	:	রাধা রাধা বলে ডাকো বাঁশি রাধিকায়।।
রাধা	:	এসেছি রাঙ্গা পায় বড় সাধ মনে বাঁশি শিখিব শ্যামরায়।
		যে বাঁশির সুরে হরি কুল ভোলে ব্রজনারী
		বাজাতে তেমনি বাঁশি শিখাও হে রাধিকায়।।
কৃষ্ণ	:	তবে অধরে ধর বাঁশি রাই।
রাধা	:	যে সুরে হে শ্যামরায় যমুনা উজান যায় ভোলে রাধা কুলমান লাজ,
		শুনি যে মোহন বেণু তৃণ নাহি খায় ধেনু সে সুর শিখাও ব্রজরাজ,
কৃষ্ণ	:	বাঁশি রাধা নামে সাধা ব’লে শুধু রাধা শ্যাম-নাম কহিতে না জানে’
		যতই ডাকিবে শ্যামে ততই সে রাধা নামে ফুকারিবে সুমধুর তানে।।
রাধা	:	তাহে নাই নাই হরি বাধা, আজ আমি শ্যাম তুমি রাধা
কৃষ্ণ	:	মুরলী হইল শেখা ঐ ডাকে কুহু কেকা
		রাই এসো নাচি দুঁহু আনন্দে নূপুর মধুর ছন্দে।।

‘শ্রীমতীর মুরলী শিক্ষা’

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

ভিডিও

বাণী

বসন্ত মুখর আজি।
দক্ষিণ সমীরণে মর্মর গুঞ্জনে
বনে বনে বিহ্বল বাণী ওঠে বাজি’।।
অকারণ ভাষা তার ঝর ঝর ঝরে
মুহু মুহু কুহু কুহু পিয়া পিয়া স্বরে,
পলাশ বকুলে অশোক শিমুলে —
সাজানো তাহার কল–কথার সাজি।।
দোয়েল মধুপ বন–কপোত কূজনে,
ঘুম ভেঙে দেয় ভোরে বাসর শয়নে।
মৌনী আকাশ সেই বাণী–বিলাসে
অস্ত চাঁদের মুখে মৃদু মৃদু হাসে,
বিরহ–শীর্ণা গিরি–ঝর্ণার তীরে —
পাহাড়ি বেণু হাতে ফেরে সুর ভাঁজি’।।

রাগ ও তাল

রাগঃ বসন্ত মুখারী

তালঃ ত্রিতাল

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

পেয়ে আমি হারায়েছি গো আমার বুকের হারামণি।
গানের প্রদীপ জ্বেলে তা’রেই খুঁজে ফিরি দিন-রজনী।।
সে ছিল গো মধ্যমণি আমার মনের মণি-মালায়,
রেখেছিলাম লুকিয়ে তায়, মানিক যেমন রাখে ফণী।।
স্নিগ্ধ জ্যোতি নিয়ে সে মোর এসেছিল দগ্ধ বুকে,
অসীম আঁধার হাত্‌ড়ে ফিরি খুঁজি তারি রূপ-লাবণি।।
হারিয়ে যে যায় হায় কেন সে যায় হারিয়ে চিরতরে,
মিলন-বেলাভুমে বাজে বিরহেরই রোদন-ধ্বনি।।

রাগ ও তাল

রাগঃ কানাড়া মিশ্র

তালঃ কাওয়ালি

বাণী

হেরা হতে হেলে দুলে নূরানী তনু ও কে আসে হায়,
সারা দুনিয়ার হেরেমের পর্দা খুলে খুলে যায় —
সে যে আমার কমলিওয়ালা — কমলিওয়ালা।।
তার ভাবে বিভোল রাঙা পায়ের তলে
পর্বত জঙ্গম টলমল টলে,
খোরমা খেজুর বাদাম জাফরানি ফুল ঝ’রে ঝ’রে যায় —
সে যে আমার কমলিওয়ালা — কমলিওয়ালা।।
আসমানে মেঘ চলে ছায়া দিতে,
পাহাড়ের আঁসু গলে ঝরনার পানিতে,
বিজলি চায় মালা হতে,
পূর্ণিমার চাঁদ তার মুকুট হতে চায় —
সে যে আমার কমলিওয়ালা — কমলিওয়ালা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দ্রুত-দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি