বাণী
সাম্যের গান গাই- আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই! পুরুষ-হৃদয়হীন, মানুষ করিতে নারী দিল তারে আধেক হৃদয় ঋণ। ধরায় যাদের যশ ধরে না ক’ অমর মহামানব, বরষে বরষে যাদের স্মরণে, করি মোরা উৎসব, খেয়ালের বশে তাদের জম্ম দিয়াছে বিলাসী পিতা। লব-কুশে বনে ত্যাজিয়াছে রাম, পালন করেছে সীতা! নারী সে শিখাল শিশু-পুরুষেরে, স্নেহ প্রেম, দয়া মায়া, দীপ্ত নয়নে পরল কাজল বেদনার ঘন ছায়া। সে-যুগ হয়েছে বাসি, যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না ক’, নারীরা আছিল দাসী! বেদনার যুগ, মানুষের যুগ, সাম্যর যুগ আজি, কেহ রহিবেনা বন্দী কাহারও, উঠিছে ডঙ্কা বাজি’! নর যদি রাখে নারীরে বন্দী, তবে এর পর যুগে আপনারি রচা ঐ কারাগারে পুরুষ মরিবে ভুগে। যুগের ধর্ম এই- পীড়ন করিলে সে পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই! স্বর্ণ-রৌপ্য অলঙ্কারের যক্ষপুরিতে নারী করিল তোমায় বন্দিনী, বল, কোন্ সে অত্যাচারী? যে ঘোম্টা তোমা করিয়াছে ভীরু, উড়াও সে আবরণ! দূর ক’রে দাও দাসীর চিহ্ন যেথা যত আভরণ! কখন আসিল “প্লুটো” যমরাজা নিশিথ পাখায় উড়ে, ধরিয়া তোমায় পুড়িল তাহার আঁধার বিবর-পুরে! ভেঙ্গে যম্পুরী নাগিনীর মত আয় মা পাতাল ফুঁড়ি’। আধাঁরে তোমায় পথ দেখাবে মা তোমারি ভগ্ন চুড়ি! পুরুষ যমের ক্ষুধার কুকুর মুক্ত ও-পদাঘাতে লুটায়ে পড়িবে ও-চরণ-তলে দলিত যমের সাথে! সেদিন সুদূর নয়- যে দিন ধরণী পুরুষের সাথে গাহিবে নারীরও জয়।
কবিতাঃ নারী (দ্বিতীয় খন্ড)
রাগ ও তাল
রাগঃ
তালঃ দ্রুত-দাদ্রা