বাণী

আমি	কালী নামের ফুলের ডালি এনেছি গো মাথায় ক’রে।
	দুখের সাগর পার হয়ে যায় এ ফুল যে বুকে ধ’রে।।
	(এই)	প্রসাদী ফুল দিবস-যামী
		ফিরি ক’রে ফিরি আমি,
(এই)	ফুল নিলে তার ভুলের আড়াল চিরতরে যায় গো স’রে।।

বাণী

নিতি নিতি মোরে ডাকে সে স্বপনে,
নিরাশার আলো জ্বলিয়া গোপনে।
জানি না মায়াবিনী কী মায়া জানে
কেবলি বাহিরে পরান টানে,
ঘুরে ঘুরে মরি আঁধার-গহনে।।
শত পথিকে ও-রূপে ছল হানে,
অপরূপ শতরূপে শত গানে।
পথে পথে বাজে তাহারি বাঁশি,
সে-সুরে নিখিল-মন উদাসী;
দহে যাদুকরী বিধুর দহনে।।

বাণী

আমি	সুন্দর নহি জানি হে বন্ধু জানি
তুমি	সুন্দর, তব গান গেয়ে নিজেরে ধন্য মানি।।
		আসিয়াছি সুন্দর ধরণীতে
		সুন্দর যারা তাদেরে দেখিতে
	রূপ-সুন্দর দেবতার পায় অঞ্জলি দেই বাণী।।
	রূপের তীর্থে তীর্থ-পথিক যুগে যুগে আমি আসি'
	ওগো সুন্দর বাজাইয়া যাই তোমার নামের বাশিঁ।
		পরিয়া তোমার রূপ-অঞ্জন
		ভুলেছে নয়ন রাঙিয়াছে মন
	উছলি' উঠুক মোর সঙ্গীতে সেই আনন্দখানি।।

বাণী

পরদেশী বঁধু! ঘুম ভাঙায়ো চুমি' আঁখি
যদি গো নিশীথে গো ঘুমাইয়া থাকি।
	আমি ঘুমাইয়া থাকি
	ঘুম ভাঙায়ো চুমি' আঁখি।।
যদি দীপ নেভে গো কুটিরে
বাতায়ন-পানে চাহি' যেয়ো না গো ফিরে',
নিভেছে আঁখি শিখা প্রাণ আছে বাকি
	আজো প্রাণ আছে বাকি
	ঘুম ভাঙায়ো চুমি' আঁখি।।

বাণী

ওমা	নির্গুণেরে প্রসাদ দিতে তোর মত কেউ নাই।
তোর	পায়ে মা তাই রক্তজবা গায়ে শ্মশান-ছাই।।
		দৈত্য-অসুর হনন ছলে
		ঠাঁই দিস্ তুই চরণ তলে,
আমি	তামসিকের দলে মা গো তাই নিয়েছি ঠাঁই।।
	কালো ব’লে গৌরী তোরে কে দিয়েছে গালি,
(ওমা)	ত্রিভুবনের পাপ নিয়ে তোর অঙ্গ হ’ল কালি।
		অপরাধ না করলে শ্যামা
		ক্ষমা যে তোর পেতাম না মা,
(আমি)	পাপী ব’লে আশা রাখি চরণ যদি পাই।।

বাণী

ভোলো ভোলো ভোলো মান, ভোল আমারে।
আঁধারে যে ফুল ফোটে, ভোলো তাহারে॥
ভুলিতে যদি গো লাগে বুকেতে ব্যথা’
নিঠুর মরম-বাণে না ক’য়ো কথা,
দরদি গো সে-ব্যথারে রাখিবি কাহারে॥