বাণী

সই,পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে?
সেই রঙে রঙিন মানুষটিরে কাছে ডেকে দে,লো।
	সে ফাগুন জাগায় আগুন লাগায়,
	স্বপন ভাঙায় হৃদয় রাঙায় রে,
তা'রে ধরতে গেলে পালিয়ে সে যায় রঙ ছুঁড়ে চোখে।।
সে ভোরের বেলায় ভ্রমর হয়ে পদ্মবনে কাঁদে
তারা বাঁকা ধনুক যায় দেখা ঐ সাঁঝ-আকাশের চাঁদে।
	সেই গভীর রাতে আবির হাতে
	রঙ খেলে ফুল-পরীর সাথে লো
তার রঙিন সিঁথি দেখি প্রজাপতির পালকে।।

বাণী

বাজে মৃদঙ্গ বরষার ওই দিকে দিকে দিগন্তরে
নীরস ধরা সরস হলো কাহার যাদু-মন্তরে।।
বন-ময়ুর আনন্দে নাচে ধারা-প্রপাত ছন্দে
ঝরঝর গিরি-নির্ঝর স্রোতে অন্তর সুখে সন্তরে।।
শ্যামল প্রিয়-দরশা হলো ধূসর পথ-প্রান্তর
বন্ধু-মিলন হরষা গাহে দাদুরি অবান্তর।
	শ্রাবন প্লাবন বন্যাতে
	আজি পুষ্পে পল্লবে বন মাতে
এলো শ্যাম শোভন সুন্দর প্রাণ-চঞ্চল ক'রে মন্থরে।।

বাণী

চ্যল চ্যল চ্যল ন্যওয্যওয়ান চ্যল্।
ফ্যত্‌হেকি হো ফৌজ তুম্
ব্যহর্ কি হো মৌজ তুম্
ব্যখত্‌কে হো অওজ তুম্
		তুম্‌মে হ্যায় জোর ব্যল্।।
চাক হ্যায় শ্যব কি ন্যকাব
ছোড় দো গ্যফল্যত কা খবাব,
নিকলা ওহ লো আফতাব —
		তুম্‌ভি হো গ্যরমে অ্যস্যল।।
ফ্যয়লনে কো বেকরার
সুরতে নূর অ্যওর নার,
জ্যল জ্যলা আফজা পুকার —
		জলমকি ব্যনফ্যর অ্যম্যল।।
চ্যল মচাকে শোর সাফে দুশম্যন কো তোড় ফোড়
উঠ খ্যড়ে হো সুব্ আজাঁ গ্যফিলিয়ত্ কো ছোড়,
হিম্মত না হারানা আযায়ে গ্যর অ্যয্যল।।

বাণী

ও কে উদাসী বেণু বাজায়
ডাকে করুণ সুরে আয় আয়।।
ও সে বাঁধন হারা বাহির বিলাসী
	গৃহীরে করে সে পরবাসী
	রস যমুনায় উজান বহায়।।
মম মনের ব্রজে ওসে কিশোর রাখাল
যেন বাজায় বাঁশি শুনি অনাদিকাল
তার সরল বাঁশি তার তরল তাল
	অন্তরে গরল-সুধা মেশায়।।

বাণী

(ওরে)		হতভাগী রক্ত-খাগী, কোথায় ছিলি বল্!
(তোর)		দেখে ছিরি ভয়ে মরি চোখে আসে জল।।
			বেণী খুলে এলোকেশে
			বেড়াস্ এ কোন্ পাগল-বেশে,
		চাঁদকে ফেলে নীল আকাশে আন্‌লি কোন্ অনল।।
		(কপালে জ্বাল্‌লি কোন্ অনল)
(ঐ)		সদ্য ফোঁটা পদ্মফুলে কে মাখাল কালি?
		মা আমরি কপাল মন্দ কারে দিব গালি।
			রাজ-দুলালী আদর পেয়ে
			সাজ্‌লি ছি ছি নাগর মেয়ে,
(তোর)		চিন্‌তে পারি, গৌরী দেখে রাঙা পদতল।।

বাণী

কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম কালারে কাল্‌ কালিন্দী-কূলে।
(সে যে) বাঁশরির তানে সকরুণ গানে ডাকিল প্রেম-কদম্ব মূলে।।
কেন কলস ভরিতে গেনু যমুনা-তীরে,
মোর কলস সাথে গেল ভাসি, লাজ-কূল-মান আকুল নীরে।
কলসির জল মোর নয়নে ভরিয়া সই আসিনু ফিরে।।
সখি হে তোদের সে রাই নাই, গোকুলের রাই গোকুলে নাই।
সে যে হারাইয়া গেছে শ্যামের রূপে লো নবীন নীরদে বিজলি প্রায়।
সে রবি-শশী সম ডুবিয়া গেছে লো সুনীল রূপের গগন-গায়।।
হরি-চন্দন-পঙ্কে লো সখি শীতল ক’রে দে জ্বালা,
দুলায়ে দে গলে বল্লভ-রূপী শ্যাম পল্লব মালা।
নীল কমল আর অপরাজিতার, শেজ্‌ পেতে দে লো কোমর বিথার
পেতে দে শয্যা পেতে দে, নীল শয্যা পেতে দে পেতে দে!
পরাইয়া দে লো সখি অঙ্গে নীলাম্বরী, জড়াইয়া কালো বরণ আমি যেন মরি।।