তোমার আঁখির মত আকাশের দুটি তারা
বাণী
তোমার আঁখির মত আকাশের দু’টি তারা চেয়ে থাকে মোর পানে নিশীথে তন্দ্রাহারা সে কি তুমি? সে কি তুমি?? ক্ষীণ আঁখি–দীপ জ্বালি’ বাতায়নে জাগি একা, অসীম অন্ধকারে খুঁজি তব পথ রেখা; সহসা দখিনা বায়ে চাঁপা–বনে জাগে সাড়া। সে কি তুমি? সে কি তুমি?? বৈশাখী–ঝড়ের রাতে চমকিয়া উঠি জেগে’ বুঝি অশান্ত মম আসিলে ঝড়ের বেগে, ঝড় চ’লে যায় কেঁদে ঢালিয়া শ্রাবণ ধারা সে কি তুমি? সে কি তুমি??
যার মেয়ে ঘরে ফিরল না আজ
বাণী
যার মেয়ে ঘরে ফিরল না আজ তার ঘরে তুই যা মা উমা! আজ ঘুম নাই যে মায়ের চোখে সেই মাকে তুই জড়িয়ে ঘুমা॥ (মা) এমন আনন্দেরই হাটে কেঁদে যাহার দিবস কাটে ‘মা আমি এসেছি’ বলে, সেই জননীর খা মা চুমা॥ যে মা’র বুক শূন্য আজি, কাঁদে আয় রে গোপাল বলে, মা! তোর দুই কুমার নিয়ে, তুলে দে সেই শূন্য কোলে। ওমা! এই কটি দিন বিপুল স্নেহে তুমি বিরাজ কর প্রতি গেহে; সকল অভাব পূর্ণ ক’রে আনন্দ দে শান্তি দে মা॥
ওরে সর্বনাশী মেখে এলি
বাণী
ওরে সর্বনাশী! মেখে এলি এ কোন চুলোর ছাই! শ্মশান ছাড়া খেলার তোর জায়গা কি আর নাই॥ মুক্তকেশী, কেশ এলিয়ে ওমা বেড়াস কখন কোথায় গিয়ে আমি এক নিমেষ তোকে নিয়ে (আমি) শান্তি নাহি পাই॥ ওরে হাড়-জ্বালানী মেয়ে, হাড়ের মালা কোথায় পেলি, ভুবন-মোহন গৌরী রূপে কালি মেখে এলি! তোর গায়ের কালি চোখের জলে আমি ধুইয়ে দেব আয় মা কোলে; তোরে বুকে ধরেও মরি জ্ব’লে, আমি দিই মা গালি তাই॥