কাছে আমার নাইবা এলে হে বিরহী
বাণী
কাছে আমার নাইবা এলে হে বিরহী দূর ভালো। নাই কহিলে কথা তুমি ব'লো গানে সুর ভালো।। নাই দাঁড়ালে কাছে আসি' দূরে থেকেই বাজিয়ো বাঁশি। চরণ তোমার নাই বা পেলাম চরণের নূপুর ভালো।। ওগো পথে পাওয়ার চেয়ে আমায় চাওয়ায় যেন পথ-বঁধু দুই কূলেতে রইব দুজন বইবে মাঝে স্রোত-বঁধূ। পরশ তোমার চাই না প্রিয় তোমার হাতের আঘাত দিও মিলন তোমার সইতে নারি বেদনা-বিধুর ভালো।।
আবির-রাঙা আভীরা নারী সনে
বাণী
আবির-রাঙা আভীরা নারী সনে কৃষ্ণ কানাই খেলে হোলি। হোরির মাতনে চুড়ি ও কাঁকনে উঠিছে কল-কাকলি।। শ্যামল তনু হ’ল রাঙা আবিরে রেঙে, ইন্দ্রধনু-ছটা যেন কাজল মেঘে, রাঙিল রঙে নীল চোলি।। লহু লহু হাসে মুহু মুহু ভাসে রাঙা কুঙ্কুম ফাগের রাগে, দোঁহে দুহু ধরি’ মারে পিচকারি চাঁদ-মুখে কলঙ্ক জাগে। অঙ্গে অপাঙ্গে অনঙ্গ-রঙ্গিমা ইঙ্গিতে উঠিছে উছলি’।।
এস হে সজল শ্যাম ঘন দেয়া
বাণী
এসো হে সজল শ্যাম-ঘন দেয়া বেণু-কুঞ্জ-ছায়ায় এসো তাল-তমাল বনে এসো শ্যামল ফুটাইয়া যূথী কুন্দ নীপ কেয়া।। বারিধারে এসো চারিধার ভাসায়ে বিদ্যুৎ ইঙ্গিতে দশদিক হাসায়ে বিরহী মনে জ্বালায়ে আশার আলেয়া ঘন দেয়া, মোহনীয়া, শ্যাম-পিয়া।। শ্রাবণ বরিষণ হরষণ ঘনায়ে এসো নব ঘন শ্যাম নূপুর শুনায়ে। হিজল তমাল ডালে ঝুলন ঝুলায়ে তাপিতা ধরার চোখে অঞ্জন বুলায়ে যমুনা স্রোতে ভাসায়ে প্রেমের খেয়া ঘন দেয়া, মোহনীয়া, শ্যাম-পিয়া।।