বন-বিহঙ্গ যাও রে উড়ে
বাণী
বন-বিহঙ্গ যাও রে উড়ে মেঘ্না নদীর পাড়ে দেখা হলে আমার কথা কইয়ো গিয়া তারে। কোকিল ডাকে বকুল-ডালে, যে-মালঞ্চে সাঁঝ-সকালে রে, আমার বন্ধু কাঁদে সেথায় গাঙেরি কিনারে।। গিয়া তারে দিয়া আইস আমার শাপ্লা-মালা আমার তরে লইয়া আইস তাহার বুকের জ্বালা। সে যেন রে বিয়া করে, সোনার কন্যা আনে ঘরে রে, আমার পাটের জোড় পাঠাইয়া দিব সে-কন্যারে।।
এলে তুমি কে কে ওগো
বাণী
পুরুষ : এলে তুমি কে, কে ওগো তরুণা অরুণা করুণা সল চোখে। স্ত্রী : আমি তব মনের বনের পথে ঝিরি ঝিরি গিরি-নির্ঝরিণী আমি যৌবন-উন্মনা হরিণী মানসলোকে।। পুরুষ : ভেসে যাওয়া মেঘের সজল ছায়া ক্ষণিক মায়া তুমি প্রিয়া স্বপনে আসি' বাজায়ে বাঁশি স্বপনে যাও মিশাইয়া। স্ত্রী : বাহুর বাঁধনে দিই না ধরা — আমি স্বপন-স্বয়ম্বরা সঙ্গীতে জাগাই ইঙ্গিতে ফোটাই তোমার প্রেমের যুঁই-কোরকে। পুরুষ : আধেক প্রকাশ স্ত্রী : আধেক গোপন পুরুষ : আধো জাগরণ স্ত্রী : আধেক স্বপন উভয়ে : খেলিব খেলা ছায়া-আলোকে।।
নেহি তোড়ো ইয়ে ফুলোঁ কি
বাণী
নেহি তোড়ো ইয়ে ফুলোঁ কি ডালি রে হা। মালি ভোমরা বুলবুল তেরি গালি রে হা।। যাও সওতন কে পাশ শুনো ভিগা ভিগা বাত ম্যায়তো হোনেকা চাহতি হুঁ প্রীত বিমার — আভি চাহ ফেকা যায়েগা কালীরে হা।। হায়রে হায় বান্দা আব দালা যৌবন আভি আভি ফুলো মে নেহি আয়ি হ্যায় সৌগন্ধ, আভি গালো পে আয়ি নেহি লালীরে হা।। নেহি আও আভি নাজানে পাও নেহি বাত আভি ছোটি হ্যায় ফুল কলি কাচ্চা আনার যৌবন সে ম্যায় অব তক আনজানে হা।।
গিরিধারী লাল কৃষ্ণ গোপাল
বাণী
গিরিধারী লাল কৃষ্ণ গোপাল যুগে যুগে হ’য়ো প্রিয় জনমে জনমে বঁধু তব প্রেমে আমারে ঝুরিতে দিও॥ তুমি চির চঞ্চল চির পলাতকা প্রেমে বাঁধা প’ড়ে হ’য়ো মোর সখা মোর জাতি কুল মান তনু মন প্রাণ হে কিশোর হ’রে নিও॥ রাধিকার সম কুব্জার সম রুক্সিণী সম মোরে গোকুল মথুরা দ্বারকায় নাথ রেখো তব সাথী করে। গোপনে চেয়ো সব শত গোপীকায় চন্দ্রাবলী ও সত্যভামায় তেমনি হে নাথ চাহিও আমায় লুকায়ে ভালেবাসিও॥