যদি শালের বন হ’ত শালার বোন
বাণী
যদি শালের বন হ’ত শালার বোন, ক’নে বউ হ’ত ঐ গৃহেরই কোণ, ছেড়ে যেতাম না গো শালার বোন, আমি থাকতাম পড়ে সদা, খেতাম না গো, শালার বোনথ — বনে হারিয়ে যেতাম, শালার বোন ঐ বৃন্দাবনে না হয় চারিয়ে যেতাম — দাদা গো, ওগো দাদা — আর মাকুন্দ হত যদি কুন্দবালা, হ’ত দাড়িম্ব সুন্দরী দাড়িওয়ালা, আমি ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে তার — জয়নাথ তরকনাথ বলে আমি ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে, বাবা দুগ্গা ব’লে আমি ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে তার — দাদা গো, ওগো দাদা — আহা বাচ্চা হইত যদি চৌবাচ্চায় নিতি পানকৌড়ি হ’য়ে ডুবে থাকিতাম তায়, যদি দামড়ার ল্যাজ হ’ত কুন্তল দাম বেণী রূপে ল্যাজ ধ’রে মাঠে দাঁড়াতাম — ঘুরে যে বেড়াতাম, তার আমি ল্যাজ ধ’রে ঘুরে যে বেড়াতাম, দাদা গো — যদি ভাগ্যগুণে এক মিলিল শালী — বাবা বিশাল বপু তার সে যে বিশালী, ওযে শালী নয় শালী নয়, শাল্মলী তরু সম সে যে বিশালী গো, শাল্মলী তরু সম সে যে বিশালী গো — আহা চিম্টি শালীর হ’ত বাবলা কাঁটা, হ’ত শর-বন তার খ্যাংড়া ঝ্যাঁটা খ্যাংড়া মেরে বিষ ঝেড়ে যে দিত গো —
আঁধার রাতে কে গো একেলা
বাণী
আঁধার রাতে কে গো একেলা নয়ন-সলিলে ভাসালে ভেলা।। কাঁদিয়া কারে খোঁজ ওপারে আজো যে তোমার প্রভাত বেলা।। কি দুখে আজি যোগিনী সাজি’ আপনারে ল’য়ে এ হেলা-ফেলা।। সোনার কাঁকন ও দুটি করে হের গো জড়ায়ে মিনতি করে। খুলিয়া ধূলায় ফেলো না গো তায়, সাধিছে নূপুর চরণ ধ’রে। হের গো তীরে কাঁদিয়া ফিরে আজি ও-রূপের রঙের মেলা।।
গানগুলি মোর আহত পাখির সম
বাণী
গানগুলি মোর আহত পাখির সম লুটাইয়া পড়ে তব পায়ে প্রিয়তম।। বাণ–বেঁধা মোর গানের পাখিরে তু’লে নিও প্রিয় তব বুকে ধীরে, লভিবে মরণ চরণে তোমার সুন্দর অনুপম।। তারাসুখের পাখায় উড়িতেছিল গো নভে — তবনয়ন–শায়কে বিঁধিলে তাহাদের কবে। মৃত্যু আহত কন্ঠে তাহার একি এ গানের জাগিল জোয়ার — মরণ বিষাদে অমৃতের স্বাদ আনিলে নিষাদ মম।।
ওরে বনের ময়ূর কোথায় পেলি এমন চিত্রপাখা
বাণী
ওরে বনের ময়ূর কোথায় পেলি এমন চিত্রপাখা তোর পাখাতে হরির স্মৃতি পাখার শ্রী কি আঁকা॥ তারই মতন হেলে দুলে নাচিস্ রে তুই পেখম খুলে তনুতে তোর ওরে শ্যামের আঁখির নীলাঞ্জন মাখা॥ হারিয়ে নব কিশোরে, দিবা-নিশি ঘুরি তাই কি শ্যামের বিভূতি তুই আনলি ক’রে চুরি। সান্ত্বনা কি দিতে মোরে শ্যামল রেখে গেছে তোরে তাইতো তোরে হেরি ওরে যায় না কাঁদন্ রাখা॥