বাণী

মনে রাখার দিন গিয়েছে এখন ভোলার বেলা
আর লাগে না ভালো আমার হৃদয় নিয়ে খেলা।।
	লগ্ন ছিল ছিল সময়
	পরান ভরা চিল প্রণয়,
সেদিন যদি আসতে মলয় বসতো ফুলের মেলা।।
সুকুমার সুন্দর যাহা চিল আমার মাঝে
গেছে ম'রে নিরাশাতে ঝ'রে গেছে লাজে।
	আজ উদাসীন শূন্য মনে
	ঘুরে বেড়াই অকারণে
তোমার চেয়েও আমি আমায় হানি অবহেলা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

	ওমা ত্রিনয়নী! সেই চোখ দে যে-চোখ তোরে দেখতে পায়।
	সে নয়ন-তারায় কাজ কি তারা যে-তারা লুকায় মা তারায়।।
আমি 	চাইনে সে-চোখ যে-চোখ দেখে মায়া
	অনিত্য এই সংসারেরই ছায়া,
	যে-দৃষ্টি দেখে নিত্য তোরে সেই দৃষ্টি দে আমায়।।
ওমা 	নিবিয়ে দে এই নয়ন-প্রদীপ দেখায় যাহা দুঃখ শোক,
	এই আলেয়া পথ ভুলিয়ে যায় মা নিয়ে নরক-লোক।
	তোর সৃষ্টি চির-আনন্দময় নাকি
	দেখব সে-লোক, দে মোরে সেই আঁখি,
	দেখে না রোগ-মৃত্যু-জ্বরা তোর সন্তান সেই দৃষ্টি চায়।।

রাগ ও তাল

রাগঃ দরবারী-কানাড়া

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

একদা সব সুরাসুরের খেয়াল হল দাদা।
সমুদ্রেরে ঘেঁটে ঘুঁটে করতে হবে দধিকাদা।।
দেখেছ তো গয়লানিরা যে-ভাবে দুই মথে।
(তেমনি) সাগরকে সব ঘুঁটেছিলেন মন্দার পর্বতে।।
(অর্থাৎ) মন্দার গিরি হয়েছিল দই ঘুঁটবার কাঠি।।
আর কূর্ম হলেন সমুদ্ররূপ দই রাখবার বাটি।।
কাঠি এলো, বাটি এলো, দড়া কোথায় পান।
(সবে) বাসুকীর শ্রী-লেজুড় ধ’রে মারেন হেঁচ্কা টান।।
বাসুকী কয় ল্যাজ ছাড়ো বাপ গ্যাজ উঠল মুখে।
বাসুকীকে করল দড়া দেবতারা সব রুখে।।
ল্যাজ ধরল দেবতা, অসুর দানব ধরে মুড়ো।
সাগর বলে আস্তে বাবা একি প্রলয় হুড়ো।।
যা আছে মোর বের করছি — ঘাঁটিস্‌নে আর পেট।।
উচ্চৈঃশ্রবা, চন্দ্র, লক্ষ্মী — সব দিচ্ছি ভেট।।
(ক্রমে) অমৃত যেই উঠল অমনি লাগলো গুঁতোগুঁতি।
দৈত্যেরা সব কোপ্‌নি আঁটে দেবতা কষেন ধুতি।।
মাঝে থেকে শ্রীবিষ্ণু মোহিনী রূপ ধ’রে।
ছোঁ মেরে সেই সুধার ভাণ্ড নিয়ে পড়লেন স’রে।।
অমৃত খান দেবতারা সব, অসুর মাটি চাটে।
(যেমন) দোহন শেষে দুগ্ধ খোঁজে বাছুর শুকনো বাঁটে।।
(ক্রম) ঘটর ঘটর ঘোঁটার ঠেলায় উঠলো হলাহল।
ত্রাহি ত্রাহি বলে ত্রিলোক, করে কোলাহল।।
বিষের জ্বালায় সৃষ্টি বুঝি পটল তোলে ওই।
সিদ্ধিখোর শ্রীপিশাচপতি কয় ডেকে মাভৈঃ।।
ছুটে এসে পাগ্‌লা ভাঙোড় এক সুমুদ্দুর বিষ।
ঢক ঢকিয়ে ফেললে গিলে গা করে নিস্‌পিস্‌।।
বলদে যে বেড়ায় চ’ড়ে ছাই পাঁশ গায়ে মাখে।
তাকে ছাড়া চতুর দেবতা বিষ দেবে বল কাকে।।
ফুলের মধ্যে ধুতরো নিলেন মশান যাহার ঘর।
(পোড়া) কপালে তার আগুন জ্বলে — জয় ন্যাংটেশ্বর।।

নাটক : ‘সতী’ (মন্মথ রায়-রচিত)

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

দুঃখ-ক্লেশ-শোক-পাপ-তাপ শত
শ্রান্তি মাঝে হরি শান্তি দাও দাও॥
কান্ডারি হে আমার, পার কর কর পার,
উত্তাল তরঙ্গ অশান্তি পারাবার,
অভাব দৈন্য শত হৃদি-ব্যথা-ক্ষত,
যাতনা সহিব কত প্রভু কোলে তুলে নাও।।
হে দীনবন্ধু করুণাসিন্ধু,
অম্বর ব্যাপি’ ঝরে তব কৃপা-বিন্দু,
মরুর্‌ মতন চেয়ে আছি নব ঘনশ্যাম —
আকুল তৃষ্ণা ল’য়ে প্রভু পিপাসা মিটাও॥

রাগ ও তাল

রাগঃ সিন্ধু

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

শোন শোন, ইয়া ইলাহী,
	আমার মোনাজাত।
তোমারি নাম জপে যেন,
	(আমার) হৃদয় দিবস-রাত।।
যেন কানে শুনি সদা
তোমারি কালাম হে খোদা,
(আমি) চোখে যেন দেখি শুধু,
	(দেখি) কোরআনের আয়াত।।
মুখে যেন জপি আমি
কলেমা তোমার দিবস-যামী,
(তোমার) মসজিদেরি ঝাড়ু-বরদার,
	(খোদা) হোক আমার এ হাত।
সুখে তুমি, দুখে তুমি,
চোখে তুমি, বুকে তুমি,
এই পিয়াসি প্রাণে খোদা
	(খোদা) তুমি আবহায়াত।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

সই,পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে?
সেই রঙে রঙিন মানুষটিরে কাছে ডেকে দে,লো।
	সে ফাগুন জাগায় আগুন লাগায়,
	স্বপন ভাঙায় হৃদয় রাঙায় রে,
তা'রে ধরতে গেলে পালিয়ে সে যায় রঙ ছুঁড়ে চোখে।।
সে ভোরের বেলায় ভ্রমর হয়ে পদ্মবনে কাঁদে
তারা বাঁকা ধনুক যায় দেখা ঐ সাঁঝ-আকাশের চাঁদে।
	সেই গভীর রাতে আবির হাতে
	রঙ খেলে ফুল-পরীর সাথে লো
তার রঙিন সিঁথি দেখি প্রজাপতির পালকে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি