আমার সুরের ঝর্না-ধারায়
বাণী
আমার সুরের ঝর্না-ধারায় করবে তুমি স্নান। ওগো বধূ! কণ্ঠে আমার তাই ঝরে এই গান।। কেশে তোমার পর্বে বালা তাই গাঁথি এই গানের মালা, তোমার টানে ভাব-যমুনায় বহিছে উজান।। আমার সুরের ইন্দ্রাণী গো, উঠ্বে তুমি ব’লে, নিত্য বাণীর সিন্ধুতে মোর মন্থন তাই চলে। সিংহাসনের সুর-সভাতে বসবে রানীর মহিমাতে, সৃজন করি’ সেই গরবে সুরের পরীস্থান।।
শ্যামা নামের ভেলায় চ'ড়ে
বাণী
শ্যামা নামের ভেলায় চ'ড়ে কাল-নদীতে দুলি। ঘাটে ঘাটে ঘটে ঘটে (আমি) সুরের লহর তুলি।। কাল-তরঙ্গে ভাসিয়ে অঙ্গ, দেখে বেড়াই কত রঙ্গ, কায়ায় কায়ায় রঙ-বেরঙের (ওরে) শত মায়ার ঠুলি।। জন্মান্তর ঘাটে ঘাটে ভাসি উঠি ডুবি মা নিশিদিন ডাকে আমায়, 'ওরে আয় আমারে ছুঁবি'। মোরে কাল-স্রোতে ভাসানের ছলে মা লীলা দেখান নাট-মহলে ওই খেলার (ছলে) শেষে আপনি এসে (মা) বক্ষে নেবেন তুলি।।
আমার যখন পথ ফুরাবে
বাণী
আমার যখন পথ ফুরাবে, আসবে গহীন রাতি (খোদা) — তখন তুমি হাত ধ'রো মোর হয়ো পথের সাথী (খোদা)।। অনেক কথা হয়নি বলা, বলার সময় দিও, খোদা — আমার তিমির অন্ধ চোখে দৃষ্টি দিও প্রিয়, খোদা বিরাজ করো বুকে তোমার আরশটিকে পাতি'।। সারা জীবন কাটলো আমার বিরহে বঁধু, পিপাসিত কন্ঠে এসে দিও মিলন-মধু। তুমি যথায় থাকো প্রিয় সেথায় যেন যাই, খোদা সখা ব'লে ডেকো আমায়, দীদার যেন পাই, খোদা। সারা জনম দুঃখ পেলাম, যেন এবার সুখে মাতি।।
কত আর এ মন্দির দ্বার হে প্রিয় রাখিব খুলি
বাণী
কত আর এ মন্দির দ্বার, হে প্রিয়, রাখিব খুলি' বয়ে যায় যে লগ্নের ক্ষণ, জীবনে ঘনায় গোধূলি।। নিয়ে যাও বিদায়-আরতি, হ'ল ম্লান আঁখির জ্যোতি; ঝরে যায় শুষ্ক স্মৃতির মালিকা-কুসুমগুলি।। কত চন্দন ক্ষয় হ'ল হায়, কত ধূপ পুড়িল বৃথায়; নিরাশায় সে পুষ্প কত ও পায়ে হইল ধূলি।। ও বেদী-তলে কত প্রাণ — হে পাষাণ নিলে বলিদান; তবু হায় দিলে না দেখা — দেবতা, রহিলে ভুলি'।।