বাণী

(আমার)	মা আছে রে সকল নামে মা যে আমার সর্বনাম।
	যে নামে ডাক শ্যামা মাকে পুর্‌বে তাতেই মনস্কাম।।
		ভালোবেসে আমার শ্যামা মাকে
		যার যাহা সাধ সেই নামে সে ডাকে,
	সেই নামে মা দেয় রে সাড়া১ কেউ শ্যামা কয়, কেহ শ্যাম।।
	এক সাগরে মিশে গিয়ে সকল নামের নদী,
	সেই হরি হর কৃষ্ণ ও রাম, দেখিস্ তাঁকে যদি।
		নিরাকারা সাকারা সে কভু
		সকল জাতির উপাস্য সে প্রভু,
	নয় সে নারী নয় সে পুরুষ, সর্বলোকে তাঁহার ধাম।।

১. দেয় রে ধরা।

রাগ ও তাল

রাগঃ দেশি মিশ্র

তালঃ দাদ্‌রা

স্বরলিপি

বাণী

মীরা		:	আমার হৃদয়-বৃন্দাবনে নাচেরে গিরিধারী বনমালিয়া।
			সব সংশয়-ভঞ্জন নিতি মম চিত-রঞ্জন নবীন বারিদ গঞ্জন-কালিয়া।।
শ্রীকৃষ্ণ		:	তুমি এমন ক’রে আমায় ধ’রে রাখলে চিরদিন
			আমি এমনি ক’রে যুগে যুগে শুধছি প্রেমের ঋণ,
			তাই নেমে ধরায় নয়ন ধারায় ভাসায়েছি নদীয়া।।
মীরা		:	চির উজ্জ্বল হিয়া তলে
			হে নাথ আসিবে ব’লে
			রেখেছি প্রেমের শিখা জ্বালিয়া।।
শ্রীকৃষ্ণ		:	আমারে কাঁদালে আপনি কাঁদিয়া
মীরা		:	এসো নাথ এসো নাথ
			ধোয়াব রাতুল চরণ যুগল নয়ন সলিল ঢালিয়া।।

নাটিকা : ‘মীরাবাঈ’

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ ফের্‌তা (কাহার্‌বা ও দাদ্‌রা)

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

নৃত্যকালী শঙ্কর সঙ্গে নাচে অতি রুদ্র-বিহঙ্গে।
ছন্দ ঝরে ঝর্ঝর ধারায় মন্দাকিনী গঙ্গা তরঙ্গে।।
মুক্তবেণী ধূর্জটি-জটা বিধূনিত অম্বরে দোলে
সসাগরা ভীতা পৃথ্বী কাঁপে মহাবিষ্ণুর কোলে,
বাজে ঘোর ডম্বরু শিঙ্গা উল্কা ছোটে ভ্রুকুটি ভঙ্গে।।
মৃত্যু-ক্ষুধা জাগিল একি রে, সৃষ্টি-স্থিতি সংহার মানসে।
পঞ্চভূত চিত্ত অহঙ্কার ব্রহ্মা-হরি লয় হ’ল ব্রহ্মে
উগ্র তারা রুদ্রেরে আবরি’ নাচে একা উন্মাদ দম্ভে,
একি হেরি মূর্ছিতা শক্তি সোহম্ শিব আমারি অঙ্গে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ বাঙ্গাল ভৈরব

তালঃ ঝুম্‌রা

বাণী

ওগো অন্তর্যামী, ভক্তের তব শোন শোন নিবেদন
যেন থাকে নিশিদিন তোমারি সেবায় মোর তনু-প্রাণ-মন।।
	নয়নে কেবল দেখি যেন আমি
	তোমারই স্বরূপ ত্রিভুবন-স্বামী
শিরে বহি যেন তোমারি পূজার অর্ঘ্য অনুক্ষণ।।
এ রসনা শুধু জপে তব নাম এই বর দাও নাথ;
তোমারি চরণ সেবায় লাগুক মোর এই দুটি হাত।
	ওঠে তব নাম প্রতি নিঃশ্বাসে
	শ্রবনে কেবল তব নাম ভাসে
তব মন্দির-পথে যেন সদা চলে মোর এ চরণ।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ একতাল

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

রাধা	:	ঐ শ্যাম মুরলী বাজায়।
কৃষ্ণ	:	রাধা রাধা বলে ডাকো বাঁশি রাধিকায়।।
রাধা	:	এসেছি রাঙ্গা পায় বড় সাধ মনে বাঁশি শিখিব শ্যামরায়।
		যে বাঁশির সুরে হরি কুল ভোলে ব্রজনারী
		বাজাতে তেমনি বাঁশি শিখাও হে রাধিকায়।।
কৃষ্ণ	:	তবে অধরে ধর বাঁশি রাই।
রাধা	:	যে সুরে হে শ্যামরায় যমুনা উজান যায় ভোলে রাধা কুলমান লাজ,
		শুনি যে মোহন বেণু তৃণ নাহি খায় ধেনু সে সুর শিখাও ব্রজরাজ,
কৃষ্ণ	:	বাঁশি রাধা নামে সাধা ব’লে শুধু রাধা শ্যাম-নাম কহিতে না জানে’
		যতই ডাকিবে শ্যামে ততই সে রাধা নামে ফুকারিবে সুমধুর তানে।।
রাধা	:	তাহে নাই নাই হরি বাধা, আজ আমি শ্যাম তুমি রাধা
কৃষ্ণ	:	মুরলী হইল শেখা ঐ ডাকে কুহু কেকা
		রাই এসো নাচি দুঁহু আনন্দে নূপুর মধুর ছন্দে।।

‘শ্রীমতীর মুরলী শিক্ষা’

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

ভিডিও

বাণী

ওরে		আয় অশুচি আয়রে পতিত এবার মায়ের পূজা হবে।
যেথা		সকল জাতির সকল মানুষ নির্ভয়ে মা’র চরণ ছোবে।
		(সেথা) এবার মায়ের পূজা হবে॥
সেথা		নাই মন্দির নাই পূজারি নাই শাস্ত্র নাইরে দ্বারী,
সেথা		মা বলে যে ডাকবে এসে মা তাহারেই কোলে লবে॥
মা		সিংহ-আসন হ’তে নেমে বসেছে দেখ্ ধূলির তলে
মার		মঙ্গল ঘট পূর্ণ হবে সবার ছোঁওয়া তীর্থ জলে।
মোরা		জননীকে দেখিনি, তাই ভাইকে আঘাত হেনেছে ভাই,
আজ		মাকে দেখে বুঝবি মোরা এক মা’র সন্তান সবে।
এবার		ত্রিলোক জুড়ে পড়বে সাড়া মাতৃ মন্ত্র মাভৈঃ রবে॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি