বাণী

মনের রঙ লেগেছে বনের পলাশ জবা অশোকে
রঙের ঘোর জেগেছে পারুল কনক-চাঁপার চোখে।।
মুহু মুহু বোলে কুহু কুহু কোয়েলা, মুকুলিত আমের ডালে
				গাল রেখে ফুলের গালে।
দোয়েলা দোল দিয়ে যায়, ডালিম ফুলের নব-কোরকে।।
ফুলের পরাগ ফাগের রেণু ঝুরু ঝুরু ঝরিছে গায়ে
				ঝিরি ঝিরি চৈতী বায়ে
বকুল বনে ঝিমায় মধুপ মদির নেশার ঝোঁকে।।
হরিত বনে হরষিত মনে হোরির হর্‌রা জাগে
				রঙিলা অনুরাগে
নূতন প্রণয়-সাধ জাগে চাঁদের রাঙা আলোকে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

অডিও

শিল্পীঃ শিরিন আখতার

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

হে বিধাতা! হে বিধাতা! হে বিধাতা!
দুঃখ-শোক-মাঝে, তোমারি পরশ রাজে,
কাঁদায়ে জননী-প্রায়, কোলে কর পুনরায়, শান্তি-দাতা।।
ভুলিয়া যাই হে যবে সুখ-দিনে তোমারে
স্মরণ করায়ে দাও আঘাতের মাঝারে।
দুঃখের মাঝে তাই, হরি হে, তোমারে পাই দুঃখ-ত্রাতা।।
দারা-সুত-পরিজন-রূপে হরি, অনুখন
তোমার আমার মাঝে আড়াল করে সৃজন।
তুমি যবে চাহ মোরে, লও হে তোদের হ’রে
ছিঁড়ে দিয়ে মায়া-ডোর, ক্রোড়ে ধর আপন।
ভক্ত সে প্রহ্লাদ ডাকে যবে ‘নারায়ণ’,
নির্মম হয়ে তার পিতারও হর জীবন।
সব যবে ছেড়ে যায় দেখি তব বুকে হায় আসন পাতা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ মেঘমল্লার

তালঃ ত্রিতাল

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

হাসে আকাশে শুকতারা হাসে।
অরুণ-রঞ্জনী-ঊষার পাশে॥
	ওকি ঊষসীর সাথী
	বাসর ঘরে জাগে রাতি,
(ওকি) সখীর মনের কথা জানে আভাসে॥
হাসির ছটায় ওর আঁখি কেন নাচে,
রবির রথের ধ্বনি ওকি শুনিয়াছে।
(ও) কেন দিবা আসিবার আগে
শ্রান্ত বধূর ঘুম ভাঙে,
(ওকি) ধরার সূযমুখী ফুটেছে নভে —
প্রিয়তমে প্রথম দেখার আশে॥

রাগ ও তাল

রাগঃ অরুণ-রঞ্জনী (নজরুল সৃষ্ট)

তালঃ ত্রিতাল

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

ও তুই কারে দেখে ঘোমটা দিলি নতুন বউ বল গো
তুই উঠলি রেঙে যেন পাকা কামরাঙ্গার ফল গো।।
তোর মন আইঢাই কি দেখে কে জানে
তুই চুন বলে দিস হলুদ বাটা পানে
তুই লাল নটে শাক ভেবে কুটিস শাড়ির আঁচল গো।।
তুই এ ঘর যেতে ও ঘরে যাস পায়ে বাধে পা
বউ তোর রঙ্গ দেখে হাসছে ননদ জা।
তুই দিন থাকিতে পিদিম জ্বালিস ঘরে
ওলো রাত আসিবে আরো অনেক পরে
কেন ভাতের হাঁড়ি মনে ক'রে উনুনে দিস জল গো।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ ফের্‌তা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

বৃন্দাবনী কুমকুম আবির রাগে যেন মোর অন্তর বাহির রাঙ্গে।।
		রস-যমুনা যেন বহে
		কভু মধুর মিলনে কভু বিধুর বিরহে,
রস-তৃষাতুরা ব্রজ-নাগরী যেন গাগরিতে সেই রস মাগে।।
যেন মোর কুঞ্জ-দুয়ারে,
ভাব-বিলাসিনী শ্রীমতী আসে অভিসারে।
		যেন মোর নিবিড় ধ্যানে
		মুরলী-ধ্বনি শুনি কানে,
বিরহের বরষায় আশা-নীপ-শাখায় যেন ঝুলনের দোলা লাগে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ বৃন্দাবনী-সারং

তালঃ একতাল

স্বরলিপি

বাণী

	তুমি রহিমুর রহমান আমি গুণাহগার বান্দা।
	হাত ধ’রে মোর পথ দেখাও য়্যা আল্লাহ্ আমি আন্ধা।।
	(মোর)	সারা জীবন গেল কেটে
		পাঁচ ভুতেরই বেগার খেটে,
(এখন)	শেষের বেলা ঘুচাও আল্লা এই দুনিয়ার ধান্দা।।
(আল্লা)	আমি তোমার বনের পাখি, কেন আমায় ধ’রে —
	রাখ্‌লে মায়ার শিক্‌লি বেঁধে এই দেহ-পিঞ্জরে।
		ব’লে এদের বাঁধা বুলি
		আল্লা তোমায় গেছি ভুলি’,
(এবার)	শিক্‌লি কেটে কাছে ডাকো শেষ কর এই কান্দা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ