আমার প্রাণের দ্বারে ডাক দিয়ে কে যায় বারে বারে। তাঁর নূপুর-ধ্বনি রিনি ঝিনি বাজে বন-পারে।। নিঝুম রাতে ঘুমাই যবে সে ডাকে আমায় বেণুর রবে, স্বপন কুমার আসে স্বপন-অভিসারে।। আমি জল নিতে যাই নদী তটে এক্লা নাম ধ’রে সে ডাকে ধরতে গেলে পালিয়ে সে যায় বন-পথের বাঁকে। বিশ্ব-বধূর মনোচোরা ধরতে সে চায়, দেয় না ধরা, আমি তা’রি স্বয়ম্বরা, আমি সঁপেছি প্রাণ তারে।।
রাগঃ
তালঃ লোফা
তুমি কোন্ পথে এলে হে মায়াবী কবি বাজায়ে বাঁশের বাঁশরি। এলো রাজ-সভা ছাড়ি’ ছুটি, গুণিজন তোমার সে সুরে পাশরি’।। তোমার চলার শ্যাম-বনপথ কদম-কেশর-কীর্ণ, তুমি কেয়ার বনের খেয়াঘাটে হলে গোপনে কি অবতীর্ণ? তুমি অপরাজিতার সুনীল মাধুরী দু’চোখে আনিলে করিয়া কি চুরি? তোমায় নাগ-কেশরের ফণী-ঘেরা মউ পান করাল কে কিশোরী? জনপুরী যবে কল-কোলাহলে মগ্নোৎসব রাজ সভাতলে, তুমি একাকী বসিয়া দূর নদী-তটে ছায়া-বটে বাঁশি বাজালে, তুমি বসি’ নিরজনে ভাঁট ফুল দিয়া বালিকা বাণীরে সাজালে।। যবে রুদ্র আসিল ডম্বরু-করে ত্রিশূল বিঁধিয়া নীল অম্বরে, তুমি ফেলিয়া বাঁশরি আপনা পাশরি, এলে সে-প্রলয় নাটে গো, তুমি প্রাণের রক্তে রাঙালে তোমার জীবন-গোধূলি পাটে গো।। হে চির-কিশোর, হে চির-তরুণ, চির-শিশু চির-কোমল করুণ। দাও অমিয়া আরো অমিয়া, দাও উদয়-ঊষারে লজ্জা গো তুমি গোধূলির রঙে রঙিয়া। প্রখর রবি-প্রদীপ্ত গগনে, তুমি রাঙা মেঘ খেল আন্মনে, উৎসব-শেষে দেউলাঙ্গনে নিরালা বাজাও বাঁশরি, আমি স্বপন-জড়িত ঘুমে সেই সুর শুনিব সকল পাশরি’।।
রাগঃ
তালঃ
এ কি অপরূপ যুগল-মিলন হেরিনু নদীয়া ধামে বিষ্ণুপ্রিয়া লক্ষী যেন রে গোলক-পতির বামে।। এ কি অতুলন যুগল-মূরতি যেন শিব-সতী হর-পার্বতী, জনক-দুহিতা সীতাদেবী যেন বেড়িয়া রয়েছে রামে।। গৌরের বামে গৌর-মোহিণী (যেন) রতি ও মদন চন্দ্র-রোহিণী (তোরা) দেখে যা রে আজ মিলন-রাসে যুগল রাধা-শ্যামে।।
নাটক: ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’
রাগঃ
তালঃ
স্বপন যখন ভাঙবে তোমার দেখবে আমি নাই। মোরে শূন্য তোমার বুকেরি কাছে খুজবে গো বৃথাই।। দেখবে জেগে বাহুর পরে আছে নীরব অশ্রু ঝ'রে কাছ থেকেও ছিলাম দূরে যাই গো চলে যাই।। কাঁটার মতো ছিলাম বিধে আমি তোমার বুকে, বিদায় নিলাম চিরতরে ঘুমাও তুমি সুখে (ওগো)। একলা ঘরে জেগে ভোরে হয়তো মনে পড়বে মোরে, দূরে স'রে হয়তো পাব অন্তরেতে ঠাঁই।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
কত দূরে তুমি, ওগো আঁধারের সাথি। হাত ধর মোর নিভিয়া গিয়াছে বাতি।। চলিতে চলিতে তোমার তীর্থ-পথে হারায়ে গিয়াছি অন্ধকারের স্রোতে, এসে তু’লে লও তোমার সোনার রথে — (লহ) প্রভাতের তীরে, শেষ হয় যথা রাতি।। যে ধ্রুব-তারার পথ দেখাইয়া নীরবে চলেছ তুমি, সে-পথ ভুলিয়া আসিলাম মায়া-তৃষ্ণার মরুভূমি। সাড়া নাহি পাই আর আজ ডেকে ডেকে কাঁদিছ কি তুমি মোরে সাথে নাহি দেখে? হয়ত ফিরিবে অমৃতের তীর থেকে — সেই আশে আছি পথ পানে আঁখি-পাতি’।।
রাগঃ
তালঃ
চঞ্চল সুন্দর নন্দ্ কুমার গোপী চিতচোর প্রেম্ মনোহর নওল কিশোর। বাজতাহি মন্মে বাঁশুরি কি ঝন্কার, নন্দ্ কুমার নন্দ্ কুমার নন্দ্ কুমার।। শ্রবণ-আনন্দ্ বিছুয়া কি ছন্দ রুনুঝুনু বোলে নন্দ্কে আঙ্গ্নামে নন্দন চন্দ্রমা গোপাল বন্ ঝুমত্ ঝুমত্ ডোলে, ডগমগ ডোলে, রাঙ্গা পাঁউ বোলে লঘু হোকে বিরাট ধরতী কা ভার।। রূপ নেহারনে আয়ে লূকছুপ্ দেওতা কোই গোপ গোপী বনা কোই বৃকশ লতা, নদী হো বহে লাগে আনন্দ্কে আঁসু যমুনা জল সুঁ — প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজোয়ে, পূজা কর্নে কো ফুল লিয়ে আয়ে বন্ডার।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
