বাণী

তুমি বেণুকা বাজাও কার নাম লয়ে শ্যাম —
মোর সাধ যায় হরি আমি যদি সেই কিশোরী হইতাম।।
	সেই প্রেম মোরে দাও গো শ্রী হরি,
	যে প্রেমে নেমে আস রূপ ধরি',
যে প্রেমে কাঁদো যমুনার তীরে তুমি লয়ে 'রাধা রাধা' নাম।।
সেই প্রেম দাও যে প্রেমে ভোল তুমি হে শ্রী ভগবান,
রাধার দুয়ারে ভিক্ষা চাহিয়া নিতি সহ অপমান।
	মোর আঁখি হয়ে উঠুক কমল,
	দাও প্রিয় মোরে সেই আঁখিজল;
দাও সে বিরহ যে বিরহে এই ধরা হয় ব্রজধাম।।

বাণী

ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর বাজে ঝনঝন
বনানী-কুন্তল এলাইয়া ধরণী
কাঁদিছে পড়ি চরণে শনশন শনশন।।
দোলে ধূলি-গৈরিক পতাকা গগনে,
ঝামর কেশে নাচে ধূর্জটি সঘনে।
হর-তপোভঙ্গের ভুজঙ্গ নয়নে,
সিন্ধুর মঞ্জীর চরণে বাজে রনরন রনরন।।

বাণী

	বিজন গোঠে কে রাখাল বাজায় বেণু
আমি	সুর শুনে তা'র বাউল হয়ে এনু (গো)।।
	ঐ সুরে পড়ে মনে কোন সুদুর বৃন্দাবনে
যেত	নন্দ-দুলাল ব্রজ-গোপাল বাজিয়ে বেণু বনে
পথে	লুটতো কেঁদে গোপাবালা, ভূরতো তৃণ-ধেণু গো
		কেঁদে ভুলতো তৃণ-ধেণু।।
কবে	নদীয়াতে গোরা
ও ভাই	ডেকেছিল এমনি সুরে এমনি পাগল-করা।
কেঁদে	ডাকতো বৃথাই শচীমাতা, সাধতো বসুন্ধরা,
প্রেমে	গ'লে যত নর-নারী যাচতো পদ-বেণু গো
		তারা যাচতো পদ-রেণু।।

বাণী

থৈ থৈ জলে ডুবে গেছে পথ এসো এসো পথ ভোলা,
সবাই দুয়ার বন্ধ করেছে (আছে) আমার দুয়ার খোলা।।
	সৃষ্টি ডুবায়ে ঝরুক বৃষ্টি,
	ঘন মেঘে ঢাকো সবার দৃষ্টি,
ভুলিয়া ভুবন দুলিব দু'জন গাহি' প্রেম হিন্দোলা।।
সব পথ যবে হারাইয়া যায় দুর্দিনে মেঘে ঝড়ে,
কোন পথে এসে সহসা সেদিন দোলো মোরে বুকে ধ'রে।
	নিরাশা-তিমিরে ঢাকা দশ দিশি,
	এলো যদি আজ মিলনের নিশি,
আষাঢ়-ঝুলনা বাঁধিয়া শ্রীহরি দাও দাও মোরে দোলা।।

গীতি-আলেখ্য: ‌‘হিন্দোলা’

বাণী

মিনতি রাখো রাখো পথিক থাকো থাকো,
	এখনি যেয়ো না গো, না না না।
ক্ষণিক অতিথি বিদায়ের গীতি
	এখনি গেয়ো না গো, না না না।।
চৈতী পূর্ণিমা চাঁদের তিথি,
পুষ্প পাগল এ বনবীথি,
ধূলায় ছেয়ো না গো, না না না।।
বলি বলি ক'রে হয়নি যা বলা,
যে কথা ভরিয়াছিল বুকের তলা;
সে কথা না শুনে সুন্দর অতিথি হে
	যেতে চেয়ো না গো, না না না।।

বাণী

কুল রাখ না–রাখ সে তুমি জান।
গোকুলে তোমার কাজ কুল ভোলানো।।
মহতের পিরিতি বালির বাঁধ সম।
কভু হাতে দাও দড়ি কভু চাঁদ আন।।
কভু তুমি রাধার, চন্দ্রাবলীর কভু
তুমি যখন যা’র তখন তা’র দিকে টান।
রাজার অপরাধের নালিশ কোথায় করি।
তুমি জান শুধু বাঁশিতে মন–ভেজানো।।