বাণী
ভবানী শিবানী দশপ্রহরণধারিনী দুখ-পাপ-তাপ হারিণী ভবানী।। কলুষ-রিপু-দানব-জয়ী জগৎ-মাতা করুণাময়ী জয় পরমাশক্তি মাতা ত্রিলোকধারিণী।।
নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’
রাগ ও তাল
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ ঝাঁপতাল
ভুলে যেয়ো, ভুলে যেয়ো সেদিন যদি পড়ে আমায় মনে যবে চৈতী বাতাস উদাস হয়ে ফিরবে বকুল বনে।। তোমার মুখের জোছনা নিয়ে উঠবে যে চাঁদ ঝিলমিলিয়ে, হেনার সুবাস ফেলবে নিশাস তোমার বাতায়নে।। শুনবে যেন অনেক দূরে ক্লান্ত বাঁশির করুন সুরে — বিদায় নেওয়া কোন বিরহীর কানে কাঁদে নিরজনে।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
শিল্পীঃ ফাতেমা আমিন লাভলী
দাসী হতে চাই না আমি হে শ্যাম কিশোর বল্লভ, আমি তোমার প্রিয়া হওয়ার দুঃখ লব। জানি জানি হে উদাসীন দুঃখ পাব অন্ত বিহীন বঁধুর আঘাত মধুর যে নাথ সে গরবে সকল সব।। তোমার যারা সেবিকা নাথ, আমি নাহি তাদের দলে, সবর্নাশের আশায় আমি ভেসেছি প্রেম পাথার জলে। দয়া যে চায় যাচুক চরণ আমার আশা করব বরণ বিরহে হোক মধুর মরণ, আজীবন সুদূরে রব।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
তোরা যারে এখনি হালিমার কাছে লয়ে ক্ষীর সর ননী আমি খোয়াবে দেখেছি কাঁদিছে মা বলে আমার নয়ন-মণি॥ মোর শিশু আহমদে যেদিন কাঁদিয়া হালিমার হাতে দিয়াছি সঁপিয়া সেই দিন হ’তে কেঁদে কেঁদে মোর কাটিছে দিন রজনী॥ পিতৃহীন সে সন্তান হায় বঞ্চিত মা’র স্নেহে তারে ফেলে দূরে কোল খালি করে (আমি) থাকিতে পারি না গেহে। অভাগিনী তার মা আমিনায় মনে করে সে কি আজো কাঁদে হায় বলিস তাহারি আসার আশায় দিবানিশি দিন গণি॥
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
প্রিয়তম, এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর তটিনীর বুকে ঝাঁপায়ে পড়িলে কেন মহা- পারাবার।। তোমার প্রেমের বন্যায় বঁধু, হায়! দুই কুল মোর ভাঙিয়া ভাসিয়া যায়; আমি নিজেরে হারাতে চাহিনি, বন্ধু; দিতে চেয়েছিনু হার।। তুমি চাহ বুঝি তুমি ছাড়া আর রহিবে না মোর কেউ, তাই কি পরানে তুফান তোলে গো এত রোদনের ঢেউ। দেহ ও মনের সীমা ছাড়াইয়া মোরে কোথায় নিয়ে যেতে চাও মোর হাত ধরে বলো কোন মধু বনে শেষ হবে বঁধু আমাদের অভিসার।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা