বাণী

জাগো যোগমায়া জাগো মৃন্ময়ী চিন্ময়ী রূপে জাগো,
তব কনিষ্ঠা কন্যা ধরণী কাঁদে আর ডাকে মা গো।।
	বরষ বরষ কৃথা কেঁদে যাই
	কৃথাই মা তোর আগমনী গাই
সেই কবে মা আসিলি ত্রেতায় আর আসিলি না গো।।
কোটী নয়নের নীল পদ্ম মা ছিঁড়িয়া দিলাম চরণে তোর,
জাগিলিনে তুই, এলিনে ধরায় মা কবে হয় হেন কঠোর।
	দশ ভুজে দশ গ্রহরণ ধরি’
	আয় মা দশ দিক আলো করি’
দশ হাতে আন্‌ কল্যাণ ভরি’ নিশীথ-শেষে ঊষা গো।।

বাণী

নিরালা কানন-পথে কে তুমি চল একেলা।
দু'ধারে চরণ-পাতে ফুটায়ে ফুলের মেলা।।
তোমার ওই কেশের সুবাস ফুলবন করিছে উদাস
কুসুম ভুলিয়া মলয় ও কেশে করিছে খেলা।।
লুটায়ে পড়ে ফুল-দল পরিবে বলিয়া খোঁপায়
ওগো চলিবে বলি' বনতল ফুলেরা পরাগে রাঙায়,
ও-পায়ে আলতা হ'তে চায় রঙিন গোধূলি-বেলা।।
'চলিয়া যেয়ো না, যেয়ো না' বলি' লতারা চরণে জড়ায়,
রোধিতে কন্টক-তরু, আঁচল ছাড়িতে না চায়;
আকাশে ইশারায় ডাকে দ্বিতীয়া চাঁদের ভেলা।।

বাণী

কে	ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে'।
	এই প্রভাতে তটিনী-কূলে কূলে।।
ঐ	ঘুমায়ে সকলি, জাগেনি কেউ 
	জল নিতে এখনো আসেনি বউ, 
	শুধু তব নদীতে জেগেছে ঢেউ — 
	মেলেছ নয়ন কানন-ফুলে।।
	যে সুবাস ঝরে ও-এলোকেশে 
	কমলে তা' দিলে নাহিতে এসে', 
	তব তনু-মন দীঘিতে ভেসে' —
	মাতাইছে, মধুপ পথ ভুলে।
ও	শিশির-কপোল-স্বেদ বারি 
	পড়িল ঝরি' নয়নে আমারি, 
	জাগিয়া হেরি রূপ-মনোহারী —
	দাঁড়ায়ে উষসী তোরণ-মূলে।।

বাণী

ওলো	এক চাঁদকে সৃষ্টি ক’রে বিধির পুঁজি শেষ।
এই	চাঁদের পাশে চাঁদ শোভা পায় আছে সে-কোন্ দেশ।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরীর গান)

বাণী

কে এলো।
ডাকে চোখ গেল।।
ওলো ও-ডাকে কি ও
ঘুমের সতিনী ও,
ও যে চোখের বালি
ঘুম ভাঙায় খালি।।
সখি আঁখি মেল —
মেল আঁখি মেল।।

বাণী

পিয়াল তরুতে হেরিয়াছিল প্রিয়া তোমার দীঘল তনু।
ফুল-ভারনত শাখাতে তাহার বাঁকা তব ভুরু-ধনু।।

নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’ (মজনু গান)