বাণী

চঞ্চল সুন্দর নন্দকুমার।
গোপী চিতচোর প্রেম-মনোহর নওল কিশোর
অন্তর মাঝে বাজে বেণু তার নন্দকুমার
	নন্দকুমার, নন্দকুমার॥
শ্রাবণ আনন্দ নূপুর ছন্দ রুনুঝুনু বাজে
নন্দের আঙিনায় নন্দন চন্দ, নাচিছে হেলে দুলে গোপাল সাজে।
টলমল টলে রাঙা পদতলে লঘু হ’য়ে বিপুল ধরণীর ভার —
	নন্দকুমার, নন্দকুমার, নন্দকুমার॥
রূপ নেহারিতে এলো লুকায়ে দেবতা
কেহ গোপগোপী হলো, কেহ তরুলতা;
আনন্দ-অশ্রু নদী হ’য়ে বয়ে যায়, উতল যমুনায়।
প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজায়,
বনডালায় পূজা ফুল সম্ভার।
	নন্দকুমার, নন্দকুমার, নন্দকুমার॥

বাণী

(কার)	ঝর ঝর বর্ষণ বাণী
	যায় দিক দিগন্তে বেদনা হানি’।।
	করুণ সুরে দূর অলকায়
	যেন অবিরল বীণা বাজায়
		বিরহের বীণাপাণি।।
	গীত পিপাসিত বসুন্ধরা
	শোনে সেই সুর প্রাণ উদাস করা।
	তারি ভাষায় বেদনা আভাস
	কাঁদায় ভুবন আকাশ বাতাস
		পথ প্রান্তর বনানী।।

বাণী

আমি প্রভাতী তারা পূর্বাচলে
আশা-প্রদীপ আমি নিশির শীশ-মহলে।।
রাতের কপোলে আমি ছলছল অশ্রুর জল,
আমি ধরণীতে হিম-কণা টলমল, নব দুর্বাদলে।।
নব অরুণোদয়ের আমি ইঙ্গিত
বিহগ-কণ্ঠে আমি জাগাই শুভ-সঙ্গীত।
আমিকনক-কদম তিমির নীপ শাখায়
আমিমধ্যমণি মালিকায়, শ্যাম গগন-গলে।।

বাণী

রাখাল রাজ! কি সাজে সাজালে আমায় আজ!
আমার ঘরের ভূষণ কেড়ে নিয়ে দিলে চির-পথিক সাজ।।
তোমার পায়ের নূপুর আমায় দিয়ে ঘোরাও পথে-ঘাটে নিয়ে,
বেড়াই বাউল একতারা বাজিয়ে হে, (ও মরি হায় রে)
এই ভুবন-নাটে বেড়াই ভুলে শরম-ভরম-লাজ।।
তোমার নৃত্য-খেলার নিত্য-সাথি আনন্দেরি গোঠে হে,
জীবন-মরণ আমার সহজ চরণ-তলে লোটে হে।
আমার হাতে দিলে সর্বনাশী ঘর-ভোলানো তোমার বাঁশি,
কাজ ভুলাতে যখন তখন আসি হে’ (ও মরি হায় রে)
আমার ভবন কেড়ে — দিলে ছেড়ে বিশ্বভুবন-মাঝ।।

বাণী

নাইতে এসে ভাটির স্রোতে কলসি গেল ভেসে
সেই দেশে যাইও রে কলসি, বন্ধু রয় যে দেশে।।
জলকে এসে' কাল সকালে কখন মনের ভুলে
ভাসিয়েছিলাম বন্ধুর লাগি' খোঁপার কুসুম খুলে'
কূলে এসে লাগলো সে ফুল আজকে বেলাশেষে।।
কালকে আমার খোঁপার কুসুম পায়নি খুজেঁ যারে,
কলসি আমার যাও রে ভেসে' খুঁজে আনো তারে।
আমার নয়ন-জল নিয়ে যাও, ঢেলো বন্ধুর পা'য়;
পিদিম জ্বেলে' রইব জেগে তাহারি আশায়
আর কতদিন রইব এমন যোগিনীরই বেশে।।

বাণী

চঞ্চল সুন্দর নন্‌দ্‌ কুমার গোপী চিতচোর প্রেম্‌ মনোহর নওল কিশোর।
বাজতাহি মন্‌মে বাঁশুরি কি ঝন্‌কার, নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার।।
শ্রবণ-আনন্দ্‌ বিছুয়া কি ছন্দ রুনুঝুনু বোলে
নন্দ্‌কে আঙ্গ্‌নামে নন্দন চন্দ্রমা গোপাল বন্‌ ঝুমত্‌ ঝুমত্‌ ডোলে,
ডগমগ ডোলে, রাঙ্গা পাঁউ বোলে লঘু হোকে বিরাট ধরতী কা ভার।।
রূপ নেহারনে আয়ে লূকছুপ্‌ দেওতা
কোই গোপ গোপী বনা কোই বৃকশ লতা,
নদী হো বহে লাগে আনন্দ্‌কে আঁসু যমুনা জল সুঁ —
প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজোয়ে, পূজা কর্‌নে কো ফুল লিয়ে আয়ে বন্‌ডার।।