হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায়
বাণী
হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায় ফুল ফোটাতে। মৌমাছি যে ফুলও ফোটায় হুল ফোটানোর সাথে সাথে।। আঘাত দিলে, দিলে বেদন রাঙাতে হায়, পারলে না মন, প্রেমের কুঁড়ি ফুটল না তাই পড়ল ঝ’রে নিরাশাতে।। আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা, হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা। শয়ন-সাথি হলে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।। ফুল তুলে হায় ঘর সাজালে, করলে নাকো গলার মালা ত্যাজি’ সুধা পিয়ে সুরা হলে তুমি মাতোয়ালা, নিশাস ফেলে নিভাইলে যে-দীপ আলো দিত রাতে।।
ওরে শুভ্রবসনা রজনীগন্ধ্যা
বাণী
ওরে শুভ্রবসনা রজনীগন্ধ্যা বনের বিধবা মেয়ে, হারানো কাহারে খুঁজিস নিশীথ-আকাশের পানে চেয়ে।। ক্ষীণ তনুলতা বেদনা-মলিন, উদাস মূরতি ভূষণবিহীন, তোরে হেরি ঝরে কুসুম-অশ্রু বনের কপোল বেয়ে।। তুইলুকায়ে কাঁদিস রজনী জাগিস সবাই ঘুমায় যবে, বিধাতারে যেন বলিস — দেবতা আমারে লইবে কবে। করুণ শুভ্র ভালোবাসা তোর সুরভি ছড়ায় সারা নিশি ভোর, প্রভাত বেলায় লুটাস ধূলায় যেন-কারে নাহি পেয়ে।।
আমি সুন্দর নহি জানি হে বন্ধু জানি
বাণী
আমি সুন্দর নহি জানি হে বন্ধু জানি তুমি সুন্দর, তব গান গেয়ে নিজেরে ধন্য মানি।। আসিয়াছি সুন্দর ধরণীতে সুন্দর যারা তাদেরে দেখিতে রূপ-সুন্দর দেবতার পায় অঞ্জলি দেই বাণী।। রূপের তীর্থে তীর্থ-পথিক যুগে যুগে আমি আসি' ওগো সুন্দর বাজাইয়া যাই তোমার নামের বাশিঁ। পরিয়া তোমার রূপ-অঞ্জন ভুলেছে নয়ন রাঙিয়াছে মন উছলি' উঠুক মোর সঙ্গীতে সেই আনন্দখানি।।
চঞ্চল সুন্দর নন্দকুমার
বাণী
চঞ্চল সুন্দর নন্দকুমার। গোপী চিতচোর প্রেম-মনোহর নওল কিশোর অন্তর মাঝে বাজে বেণু তার নন্দকুমার নন্দকুমার, নন্দকুমার॥ শ্রাবণ আনন্দ নূপুর ছন্দ রুনুঝুনু বাজে নন্দের আঙিনায় নন্দন চন্দ, নাচিছে হেলে দুলে গোপাল সাজে। টলমল টলে রাঙা পদতলে লঘু হ’য়ে বিপুল ধরণীর ভার — নন্দকুমার, নন্দকুমার, নন্দকুমার॥ রূপ নেহারিতে এলো লুকায়ে দেবতা কেহ গোপগোপী হলো, কেহ তরুলতা; আনন্দ-অশ্রু নদী হ’য়ে বয়ে যায়, উতল যমুনায়। প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজায়, বনডালায় পূজা ফুল সম্ভার। নন্দকুমার, নন্দকুমার, নন্দকুমার॥