বাণী

পুরুষ	:	কোন্ ফুলেরি মালা দিই তোমার গলে লো প্রিয়া
		বুলবুল গাহিয়া উঠে তব ফুলেল পরশ নিয়া॥
স্ত্রী	:	হাতে দিও হেনার গুছি কেশে শিরিন ফুল।
		কর্ণে দিও টগর কুঁড়ি অপ্‌রাজিতার দুল।
		বুন্দকলির মালা দিও নাই পেলে বকুল
		ফুলের সাথে হৃদয় দিতে হয় না যেন ভুল॥
পুরুষ	:	কোন ভূষণে রানী ও রূপের করি আরতি
		হয় সোনার বরণ মলিন হেরি তোমার রূপের জ্যোতি।
স্ত্রী	:	তোমার বাহুর বাঁধন প্রিয় সেই তো গলার হার
		হাতে দিও মিলন রাখি খুলবে না যা আর।
		কানে দিও কানে কানে কথার দু’টি দুল
		নিত্য নূতন ভূষণ দিও প্রেমের কামনার॥
পুরুষ	:	কোন নামেতে ডাকি সাধ না মেটে কোনো নামে
		তব নাম-গানে সব কবি হার মানে ধরাধামে।
স্ত্রী	:	সুখের দিনে সখি ব’লো সেই তো মধুর নাম
		দুখের দিনে বন্ধু ব’লে ডেকো অবিরাম।
		নিরালাতে রানী বলো শ্রবণ অভিরাম
		বুকে চেপে প্রিয়া ব’লো সেই তো আমার নাম॥

নাটিকাঃ ‘বিয়ে বাড়ি’

বাণী

আল্লাহ্ আমার প্রভু, আমার নাহি নাহি ভয়।
আমার নবী মোহাম্মদ, যাঁহার তারিফ জগৎময়।।
	আমার কিসের শঙ্কা
	কোরআন আমার ডঙ্কা
ইসলাম আমার ধর্ম, মুসলিম আমার পরিচয়।।
কলেমা আমার তাবিজ, তৌহীদ্ আমার মুর্শিদ্,
ঈমান্ আমার বর্ম, হেলাল আমার খুর্শিদ্।
	‘আল্লাহ্ আকবর’ ধ্বনি
	আমার জেহাদ-বাণী,
আখের মোকাম ফেরদৌস্ খোদার আরশ যথায় রয়।।

বাণী

শোক দিয়েছ তুমি হে নাথ তুমি এ প্রাণে শান্তি দাও।
দুখ্ দিয়ে কাঁদালে যদি তুমি হে নাথ সে দুখ ভোলাও।।
যে হাত দিয়ে হানলে আঘাত
তুমিঅশ্রু মোছাও সেই হাতে নাথ
বুকের মানিক হ’রলে যা’র —
	তারে তোমার শীতল বক্ষে নাও।।
তোমার যে চরণ প্রলয় ঘটায়
সেই চরণ কমল ফোটায়
শূন্য করলে তুমি যে বুক
	সেথা তুমি এসে বুক জুড়াও।।

বাণী

কার নিকুঞ্জে রাত কাটায়ে আস্‌লে প্রাতে পুষ্প-চোর।
ডাকছে পাখি, ‘বৌ গো জাগো’ আর ঘুমায়ো না, রাত্রি ভোর।।
যুঁই-কুঁড়িরা চোখ মেলে চায় চুম্‌কুড়ি দেয় মৌমাছি
শাপলা-বনে চাঁদ ডুবে যায় ম্লান চোখে হায় চায় চকোর।।
ঘোম্‌টা ঠেলি’ কয় চামেলি গোল ক’রো না গুল্‌-ডাকাত,
ঢুলছে নয়ন, দুলছে গলায় বেল-টগরের ছিন্ন ডোর।।
গুন্‌গুনিয়ে মোর আঙিনায় কোন্‌ সতীনের গাইছ গুন্‌
কার মালঞ্চে ফুল ফোটায়ে হুল ফোটালে বক্ষে মোর।।

বাণী

জয় হরপ্রিয়া শিবরঞ্জনী।
শিব-জটা হতে সুরধুনী স্রোতে ঝরি’ শতধারে ভাসাও অবনি।
দিবা দ্বিপ্রহরে প্রথম বেলা কাফি-সিন্ধুর তীরে কর খেলা
দীপ্ত নিদাঘে সারঙ্গ রাগে অগ্নি ছড়ায় তব জটাব ফণী॥
কভু ধানশ্রীতে মায়া রূপ ধর,
জ্ঞানী শিবের তেজ কোমল কর
পিলু বারোঁয়ার বিষাদ ভোলানো
নূপুরের চটুল ছন্দ আনো
বাগীশ্বরী হ’য়ে মহিমা শান্তি ল’য়ে
আসো গভীর যবে হয় রজনী॥
বরষার মল্লারে মেঘে তুমি আসো,
অশনিতে চমকাও, বিদ্যুতে হাসো
সপ্ত সুরের রঙে সুরঞ্জিতা ইন্দ্রধনু-বরণী॥

বাণী

অনাদি কাল হতে অনন্তলোক গাহে তোমারি জয়।
আকাশ–বাতাস রবি–গ্রহ তারা চাঁদ, হে প্রেমময়।।
সমুদ্র–কল্লোল নির্ঝর–কলতান –
হে বিরাট, তোমার উদার জয়গান;
ধ্যান গম্ভীর কত শত হিমালয় গাহে তোমারি জয়।।
তব নামের বাজায় বীণা বনের পল্লব
জনহীন প্রান্তর স্তব করে, নীরব।
সকল জাতির কোটি উপাসনালয় গাহে তোমারি জয়।।
আলোকের উল্লাসে, আঁধারের তন্দ্রায়
তব জয়গান বাজে অপরুপ মহিমায়,
কোটি যুগ–যুগান্ত সৃষ্টি প্রলয় গাহে তোমারি জয়।।