ওরে নীল যমুনার জল
বাণী
ওরে নীল যমুনার জল! বল রে মোরে বল কোথায় ঘনশ্যাম — আমার কৃষ্ণ ঘনশ্যাম। আমি বহু আশায় বুক বেঁধে যে এলাম — এলাম ব্রজধাম।। তোর কোন্ কূলে কোন্ বনের মাঝে আমার কানুর বেণু বাজে, আমি কোথায় গেলে শুনতে পাব ‘রাধা রাধা’ নাম।। আমি শুধাই ব্রজের ঘরে ঘরে — কৃষ্ণ কোথায় বল্; কেন কেউ কহে না কথা, হেরি সবার চোখে জল। বল্ রে আমার শ্যামল কোথায় কোন্ মথুরায় কোন দ্বারকায় — বল্ যমুনা বল। বাজে বৃন্দাবনের কোন্ পথে তাঁর নূপুর অভিরাম।।
ওরে ও মদিনা বলতে পারিস
বাণী
ওরে ও মদিনা বলতে পারিস কোন সে পথে তোর খেলত ধূলা-মাটি নিয়ে মা ফাতেমা মোর।। হাসান হোসেন খেলত কোথায় কোন সে খেজুর বনে পাথর-কুচি কাঁকর ল'য়ে দুম্বা শিশুর সনে সেই মুখকে চাঁদ ভেবে রে উড়িত চকোর।। মা আয়েশা মোর নবীজীর পা ধোয়াতেন যথা দেখিয়ে দে সে বেহেশত আমায় রাখ রে আমার কথা; তোর প্রথম কোথায় আজান-ধ্বনি ভাঙলো ঘুমের ঘোর।। কোন পাহাড়ের ঝর্ণা-তীরে মেষ চরাতেন নবী কোন পথ দিয়ে রে যেতেন হেরায় আমার আল-আরবি' তুই কাঁদিস কোথায় বুকে ধরে সেই নবীজীর গোর।।
সই পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে
বাণী
সই,পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে? সেই রঙে রঙিন মানুষটিরে কাছে ডেকে দে,লো। সে ফাগুন জাগায় আগুন লাগায়, স্বপন ভাঙায় হৃদয় রাঙায় রে, তা'রে ধরতে গেলে পালিয়ে সে যায় রঙ ছুঁড়ে চোখে।। সে ভোরের বেলায় ভ্রমর হয়ে পদ্মবনে কাঁদে তারা বাঁকা ধনুক যায় দেখা ঐ সাঁঝ-আকাশের চাঁদে। সেই গভীর রাতে আবির হাতে রঙ খেলে ফুল-পরীর সাথে লো তার রঙিন সিঁথি দেখি প্রজাপতির পালকে।।