আমি যেদিন রইব না গো
বাণী
আমি যেদিন রইব না গো লইব চির-বিদায়। চিরতরে স্মৃতি আমার জানি মুছে যাবে হায়।। এই ধরণীর খেলা-ঘরে, মনে রাখে কে কারে দুলে সাগর চাঁদ-সোহাগে, মরু মরে পিপাসায়।। রবি যবে ওঠে নভে, চাঁদে কে মনে রাখে এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে, মানুষের মন নদীর প্রায়। মোর সমাধির বুকে প্রিয়, উঠবে তোমার বাসর ঘর, হায়, অসহায় ভিখারি মন, কাঁদে তবু সেই ব্যথায়।।
চঞ্চল সুন্দর নন্দকুমার
বাণী
চঞ্চল সুন্দর নন্দকুমার। গোপী চিতচোর প্রেম-মনোহর নওল কিশোর অন্তর মাঝে বাজে বেণু তার নন্দকুমার নন্দকুমার, নন্দকুমার॥ শ্রাবণ আনন্দ নূপুর ছন্দ রুনুঝুনু বাজে নন্দের আঙিনায় নন্দন চন্দ, নাচিছে হেলে দুলে গোপাল সাজে। টলমল টলে রাঙা পদতলে লঘু হ’য়ে বিপুল ধরণীর ভার — নন্দকুমার, নন্দকুমার, নন্দকুমার॥ রূপ নেহারিতে এলো লুকায়ে দেবতা কেহ গোপগোপী হলো, কেহ তরুলতা; আনন্দ-অশ্রু নদী হ’য়ে বয়ে যায়, উতল যমুনায়। প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজায়, বনডালায় পূজা ফুল সম্ভার। নন্দকুমার, নন্দকুমার, নন্দকুমার॥
গুণে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়
বাণী
গুণে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায় রূপে লাবেন্য মাধুরী ও শ্রীতে হুরী-পরী লাজ পায়।। নর নহে,নারী ইসলাম 'পরে প্রথম আনে ঈমান আম্মা খাদিজা জগতে সর্ব প্রথম মুসলমান। পুরুষের সব গৌরব ম্লান এক এই মহিমায়।। নবী-নন্দিনী ফাতেমা মোদের সতী-নারীদের রানী যাঁর গুণ-গাথা ঘরে ঘরে প্রতি নর-নারী আজো গায়।। রহিমার মত মহিমা কাহার তাঁর সম সতী কেবা নারী নয় যেন মূর্তি ধরিয়া এসেছিল পতি-সেবা মোদের খাওয়ালা জতের আলা বীরত্বে গরিমায়।। রাজ্য শাসনে রিজিয়ার নাম ইতিহাসে অক্ষয় শৌর্যে সাহসে চাঁদ-সুলতানা বিশ্বের বিস্ময় জেবুন্নেসার তুলনা কোথায়,জ্ঞানের তপস্যায়।। আঁধার হেরেমে বন্দিনী হল সহসা আলোর মেয়ে সেইদিন হতে ইসলাম গেল গ্লানির কালিতে ছেয়ে। লক্ষ খালেদ আসিবে যদি এ নারীরা মুক্তি পায়।।
সেদিন বলেছিলে এই সে ফুলবনে
বাণী
সেদিন ব’লেছিলে এই সে ফুলবনে, আবার হবে দেখা ফাগুনে তব সনে॥ ফাগুন এলো ফিরে লাগে না মন কাজে, আমার হিয়া ভরি, উদাসী বেণু বাজে; শুধাই তব কথা দখিনা সমীরণে॥ শপথ ভুলিয়াছ বন্ধু, ভুলিলে পথ কি গো, বারেক দিয়ে দেখা লুকালে মায়ামৃগ। আঁচলে ফুল লয়ে হল’ না মালা গাঁথা, আসার পথ তব ঢাকিল ঝরা পাতা; পূজার চন্দন শুকালো অঙ্গনে॥