বাণী

সন্ধ্যা হল ওগো রাখাল এবার ডাক মোরে
বেণুর রবে ধেনুগণে ডাক যেমন করে।।
	সংসারেরি গহন বনে
	ঘুরে ফিরি শূন্য মনে
ডাকবে কখন বাঁশির সনে আমায় আপন ঘরে।।
ভেঙেছে মোর প্রাণের মেলা ভাঙলো মায়ার খেলা
মোরে ডাক এবার তোমার পায়ে, আর করো না হেলা।
	মোর জীবনের কিশোর রাখাল,
	বাঁশি শুনে কাটলো সকাল
তন্দ্রা আন ক্লান্ত চোখে, তোমার সুরের ঘোরে।।

বাণী

বন তমালের শ্যামল ডালে দোলে ঝুলন দোলায় যুগল রাধা শ্যাম।
কিশোরী পাশে কিশোর হাসে ভাসে আনন্দ সাগরে আজ ব্রজধাম।।
	তড়িত লতায় যেন জড়িত জলধরে
	ওগো যুগল রূপ হেরি মুনির মনোহরে
পুলকে গগন ছাপিয়া বারি করে বাজে যমুনা তরঙ্গে শ্যাম শ্যাম নাম।।
	বন ময়ুর নাচে ঘন দেয়ার তালে
	দোলা লাগে কেতকী কদম ডালে।
আকাশে অনুরাগে ইন্দ্রধনু জাগে হেরে ত্রিলোক থির হয়ে রূপ অভিরাম।।

বাণী

মাধব গোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণ মুরারি॥
কহ নাম মুখে গাহ সুখে দুখে
মণিহারই করে গেঁথে রাখ বুকে
	গোলকে হরি তার সখা সাথী প্যারী॥
পেল না ব্রহ্মা শিব ধেয়ানে যাহারে
বাঁধিল গোকুলে গোয়ালিনী তারে
	যুগে যুগে সে যে প্রেমের ভিখারি॥
লীলা রসে তাহার ডুবে রও অবিরাম
এ সংসার হবে রে সুমধুর ব্রজধাম
	ধরিবেন হৃদয়ে তোরে গিরিধারী॥

বাণী

বঁধু, তোমার আমার এই যে বিরহ এক জনমের নহে।
তাই যত কাছে পাই তত এ হিয়ায় কি যেন অভাব রহে।।
	বারে বারে মোরা কত সে ভুবনে আসি
	দেখিয়া নিমেষে দুইজনে ভালোবাসি,
দলিয়া সহসা মিলনের সেই মালা (কেন) চলিয়া গিয়াছি দোঁহে।।
আমরা বুঝি গো বাঁধিব না ঘর, অভিশাপ বিধাতার।
শুধু চেয়ে থাকি, কেঁদে কেঁদে ডাকি, চাঁদ আর পারাবার
		যেন চাঁদ আর পারাবার।
	মোদের জীবন-মঞ্জরি দুটি হায়!
	শতবার ফোটে শতবার ঝ'রে যায়;
আমি কাদি ব্রজে (বঁধু), তুমি কাঁদ মথুরায়, মাঝে অপার যমুনা বহে।।

বাণী

ঘুম আয় ঘুম।
নিশুতি দুপুর নিশীথ নিঝুম।।
টুলটুল ঝিঙে ফুল ঘুমে ঝিমায়,
ঝুমকো লতায় ঝিঁঝিঁ আলসে ঘুমায়,
খোকনের চোখে দেয় ঘুমপরী চুম্।।

নাটিকা : ‘জুজুবুড়ির ভয়’

বাণী

একাকিনী বিরহিণী জাগি আধো রাতে।
বঁধু নাহি পাশে, নিদ নাহি আসে,
কণ্টক ফোটে হায় ফুল-বিছানায়।
আবার ফুটিবে ফুল উঠিবে চাঁদ,
আমারি মনের হায় মিটিল না সাধ,
যামিনীর ফুল যেন এ রূপ-যৌবন
নিশীথে ফুটিয়া লাজে ঝ’রে যায় প্রাতে।।

নাটক : ‘দেবী দুর্গা’