বাণী

কুসুম ফুলের মালা গেঁথে দুলিয়ে দিছি গলে।
অশ্রু দিয়ে গাঁথা মালা রইলো বুকের তলে।।
বন্ধু আমার আস্‌বে যখন ফিরে’ বিজয় রথে
মরা ফুলের সাথে আমি রইবো প’ড়ে পথে,
যাবার বেলা চরণ দিয়ে যাবে আমায় দ’লে।।
তাহার প্রিয়ার মুখে দেবো আমার হাসি ল’য়ে
রইব না গো তাহার সুখে পথের কাঁটা হ’য়ে,
তা’র বাসরে আলো দেবো প্রদীপ হ’য়ে জ্ব’লে।।

বাণী

(মা)	ওমা তোর ভুবনে জ্বলে এত আলো
	আমি কেন অন্ধ মাগো দেখি শুধু কালো॥
মা	সর্বলোকে শক্তি ফিরিস নাচি
	ওমা আমি কেন পঙ্গু হয়ে আছি
	ওমা ছেলে কেন মন্দ হল জননী যার ভালো॥
	তুই নিত্য মহা প্রসাদ বিলাস কৃপার দুয়ার খুলি
	চির শুন্য রইল কেন আমার ভিক্ষা ঝুলি।
	বিন্দু বারি পেলাম না মা সিন্ধুজলে রয়ে
মা	ও তোর চোখের কাছে পড়ে আছি চোখের বালি হয়ে
	মোর জীবন্মৃত এই দেহে মা চিতার আগুন জ্বালো॥

বাণী

গভীর ঘুম ঘোরে স্বপনে শ্যাম-কিশোরে হেরে’ প্রেমময়ী রাধা।
রাধারে ত্যজিয়া আঁধার নিশীথে চন্দ্রার সাথে বাঁধা।(শ্যাম-চাঁদ)
যেন চাঁদের বুকে কলঙ্ক গো নির্মল শ্যাম-চাঁদের বুকে চন্দ্রা যেন কলঙ্ক গো।।
অরুণ নয়ানে মলিন বয়ানে জাগিল অভিমানিনী
(ভাবে) রাধার হৃদয় আধার যাহার সে কেন ভজে কামিনী।
শ্রীরাধার মান ভয়হীন, তাই শ্রীরাধা অভিমানিনী,
পরমশুদ্ধ প্রেম শ্রীরাধার, নির্ভয় অভিমানিনী।।
কৃষ্ণকেও সে ভয় করে না, নির্ভয় অভিমানিনী রাধা বুঝতে নারে গো
চির-সরল অমৃতময় গরল কেন হয় বুঝতে নারে গো
কাঁপে থরথর সারা কলেবর, ভাবে রাধা একি বিপরীত।
প্রেম ভিক্ষু কহে, বুঝি বুঝিবার নহে চঞ্চল শ্যামের রীত।।
বোঝা যে যায় না চঞ্চল শ্যামের রীত
অবুঝ মনের বোঝা যায় না তাতে তবু কখন সে রাধার, কখন সে চন্দ্রার।।

গীতিচিত্র: ‘অভিমানিনী’

বাণী

ওমা	যা কিছু তুই দিয়েছিলি ফিরিয়ে দিলাম তোকে।
	তুই ছাড়া আর বলতে আপন (কেউ) রইল না ত্রিলোকে।।
	তুই	কোলে নেবার দায় এড়িয়ে
		রেখেছিলি মন ভুলিয়ে খেলনা দিয়ে,
তুই	পালিয়েছিলি ঘুম পাড়িয়ে (মায়ার) কাজল দিয়ে চোখে।।
	কোটি জনম কাট্ল কেঁদে মাগো তোকে ভুলে,
(মা)	তোরে মনে পড়েছে আজ, (এবার) নে মা কোলে তু’লে।
	এই	পুত্র জায়া মায়ার ছবি
		তুই ছাড়া মা মিথ্যা সবই,
	ভুলব না আর এবার আমি জড়াব না দুঃখ-শোকে।।

বাণী

জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর চির গৈরিকধারী।
জয় তরুণ যোগী, শ্রীরামকৃষ্ণ-ব্রত-সহায়কারী।।
	যজ্ঞাহুতির হোমশিখা সম,
	তুমি তেজস্বী তাপস পরম
ভারত-অরিন্দম নমো নমঃ বিশ্বমঠ বিহারী।।
(মদ) গর্বিত বল-দর্পীর দেশে মহাভারতের বাণী
শুনায়ে বিজয়ী ঘুচাইলে স্বদেশের অপযশ গ্লানি।
(নব)	ভারতে আনিলে তুমি নব বেদ
	মুছে দিলে জাতি ধর্মের ভেদ
জীবে ঈশ্বরে অভেদ আত্মা জানাইলে হুঙ্কারি১।।

১. উচ্চারি

বাণী

আজি নাহি কিছু মোর মান-অপমান ব’লে।
সকলি দিয়াছি মোর ঠাকুরের রাঙা চরণের তলে॥
		মোর দেহ-প্রাণ, জাতি কুল মান,
		লজ্জা ও গ্লানি আর অভিমান;
(আমি) দিছি চিরতরে জলাঞ্জলি গো কালো যমুনার জলে॥
মোরে যদি কেহ ভালোবাসে আজ জল আসে আঁখি ভ’রে।
মোর ছল ক’রে সে যে ভালোবাসে মোর শ্যামসুন্দরে।
মোরে		না বুঝিয়া কেহ করিলে আঘাত
		কেঁদে বলি, ওরে ক্ষমা করো নাথ্
বৃন্দাবনে যে প্রেম মধুর হয় আঘাত নিন্দাছলে॥