ওলো ননদিনী বল্ কপট নিপট কালা, নিঠুর খল্॥ তার নাই ভয় নাই লজ্জা শরম লইয়া যুবতীর ধরম গো খেলে সে নিঠুর খেলা, চতুর চপল্॥ না শুনে লো তোদের গালি মাখলাম কুলে কালার কালি গো সে মুখে সরল বনমালী, অন্তরে গরল॥ তার শত জনে মন বাঁধা, রাতে চন্দ্রা দিনে রাধা (তারে) কঠিন কথা শুনাইব চল্লো গোঠে চল্॥ কৃষ্ণ ব’লে অবিরত দে লো গালি পারিস যত ননদী কয় বুঝেছি বউ (কৃষ্ণ) নাম শোনারই ছল ও বউ কৃষ্ণ নাম তোর ভাল লাগে তাই কৃষ্ণ (ও তোর) নাম শোনারই ছল॥
কত দূরে তুমি, ওগো আঁধারের সাথি। হাত ধর মোর নিভিয়া গিয়াছে বাতি।। চলিতে চলিতে তোমার তীর্থ-পথে হারায়ে গিয়াছি অন্ধকারের স্রোতে, এসে তু’লে লও তোমার সোনার রথে — (লহ) প্রভাতের তীরে, শেষ হয় যথা রাতি।। যে ধ্রুব-তারার পথ দেখাইয়া নীরবে চলেছ তুমি, সে-পথ ভুলিয়া আসিলাম মায়া-তৃষ্ণার মরুভূমি। সাড়া নাহি পাই আর আজ ডেকে ডেকে কাঁদিছ কি তুমি মোরে সাথে নাহি দেখে? হয়ত ফিরিবে অমৃতের তীর থেকে — সেই আশে আছি পথ পানে আঁখি-পাতি’।।
সন্ধ্যা হল ওগো রাখাল এবার ডাক মোরে বেণুর রবে ধেনুগণে ডাক যেমন করে।। সংসারেরি গহন বনে ঘুরে ফিরি শূন্য মনে ডাকবে কখন বাঁশির সনে আমায় আপন ঘরে।। ভেঙেছে মোর প্রাণের মেলা ভাঙলো মায়ার খেলা মোরে ডাক এবার তোমার পায়ে, আর করো না হেলা। মোর জীবনের কিশোর রাখাল, বাঁশি শুনে কাটলো সকাল তন্দ্রা আন ক্লান্ত চোখে, তোমার সুরের ঘোরে।।
কোরাস্ : চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা শত কোটি লোক। চীন ভারতের জয় হোক! ঐক্যের জয় হোক! সাম্যের জয় হোক। ধরার অর্ধ নরনারী মোরা রহি এই দুই দেশে, কেন আমাদের এত দুর্ভোগ নিত্য দৈন্য ক্লেশে। পুরুষ কন্ঠ : সহিব না আজ এই অবিচার — কোরাস্ : খুলিয়াছে আজি চোখ॥ প্রাচীন চীনের প্রাচীর মহাভারতের হিমালয় আজি এই কথা যেন কয় — মোরা সভ্যতা শিখায়েছি পৃথিবীরে-ইহা কি সত্য নয় ? হইব সর্বজয়ী আমরাই সর্বহারার দল, সুন্দর হবে শান্তি লভিবে নিপীড়িতা ধরাতল। পুরুষ কন্ঠ : আমরা আনিব অভেদ ধর্ম — কোরাস্ : নব বেদ-গাঁথা-শ্লোক॥
