বাণী

রেশমি রুমালে কবরী বাঁধি’ —
নাচিছে আরবি নটিনী বাঁদি।।
বেদুঈনী সুরে বাঁশি বাজে
রহিয়া রহিয়া তাঁবু মাঝে,
সুদূরে সে-সুরে চাহে ঘোম্‌টা তুলিয়া শাহজাদী।।
যৌবন-সুন্দর নোটন কবুতর নাচিছে মরু-নটী
গাল যেন গোলাপ কেশ যেন খেজুর-কাঁদি।।
চায় হেসে হেসে চায় মদির চাওয়ায়,
দেহের দোলায় রং ঝ’রে যায় ঝর্‌ঝর্‌,
ছন্দে দুলে ওঠে মরু মাঝে আঁধি।।

বাণী

এসেছি তব দ্বারে ভক্তি-শূন্য প্রাণে।
করুণাময় প্রভু! কর হে পূর্ণ দানে।।
শক্‌তি বিহীন করে ধরেছি নিশান তব
বহিতে পারি যেন দিও সে-গৌরব,
দিবাকর কর সম ছড়ায়ে অভিনব
অস্তে যাই যেন জীবন-বিহানে।।
সাঁঝের আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ সম
রাঙায়ো আঁধার হৃদি-প্রেমের জোছনা বানে।।

বাণী

কেন		প্রেম-যমুনা আজি হলো অধীর
দোলে		টলমল রহে না স্থির।।
		মানে না বারণ উথলে বারি
		ভাসালো কুললাজ রুধিতে নারি
সখি		ডাক শুনেছে সে কার মুরলীল।।

নাটকঃ ‘সিরাজদ্দৌলা’

বাণী

	নিশির পাহারা ভেঙে চোর এসেছে ঘর,
	ধরতে গিয়ে দেখি ওলো চোর নয় সে বর।
	বর এসেছে, বর এসেছে, বর এসেছে বর।।
	এ পালিয়েছিল চুরি ক’রে মোদের সখির নিদ্,
(এই)	হৃদয়-বনের শিকারীকে নয়ন দিয়ে বিঁধ্।
এ যে	ফুলের মালায় বন্দী ক’রে পরাল টোপর —
	বর এসেছে, বর এসেছে, বর এসেছে বর।।

নাটক : ‘মধুমালা’

বাণী

(মা)		আয় মা উমা! রাখ্‌ব এবার ছেলের সাজে সাজিয়ে তোরে।
(ওমা)		মা’র কাছে তুই রইবি নিতুই, যাবি না আর শ্বশুর ঘরে।।
				মা হওয়ার মা কী যে জ্বালা
				বুঝবি না তুই গিরি-বালা
		তোরে না দেখলে শূন্য এ বুক কী যে হাহাকার করে।।
		তোরে টানে মা শঙ্কর-শিব আসবে নেমে জীব-জগতে,
		আনন্দেরই হাট বসাব নিরানন্দ ভূ-ভারতে।
				না দেখে যে মা, তোর লীলা
				হ’য়ে আছি পাষাণ-শীলা
		আয় কৈলাসে তুই ফির্‌বি নেচে বৃন্দাবনের নূপুর প’রে।।

বাণী

নবীর মাঝে রবির সম আমার মোহাম্মদ রসুল।
খোদার হবিব দীনের নকিব বিশ্বে নাই যার সমতুল।।
	পাক আরশের পাশে খোদার
	গৌরবময় আসন যাঁহার,
খোশ-নসীব উম্মত আমি তাঁর (আমি) পেয়েছি অকূলে কূল।।
	আনিলেন যিনি খোদার সালাম;
	তাঁর কদমে হাজার সালাম;
ফকির দরবেশ জপি' সেই নাম (সবে) ঘর ছেড়ে হলো বাউল।।
	জানি, উম্মত আমি গুনাহগার
	হবো তবু পুলসরাত পার;
আমার নবী হযরত আমার করো মোনাজাত কবুল।।