বাণী

	দারুণ পিপাসায়
	মায়া-মরীচিকায়
চাহিতে এলি জল বনের হরিণী।
	দগ্ধ মরুতল
	কে তোরে দেবে জল
ঝরিবে আঁখি-নীর তোরই নিশিদিনই।।
নিবায়ে গৃহ-দীপ আপন-নিশাসে
আলেয়ার পিছে এলি সুখ-আশে,
	সে-সুখ অবসান
	সুমুখেতে শ্মশান —
পিছনে অন্ধকার চির-নিশীথিনী।।
কেন তুই বনফুল বিলাস-কাননে
করিয়া পথ ভুল এলি অকারণে।
	ছিঁড়ে সাঁঝে তোরে
	মালা গাঁথি’ ভোরে
দ’লিল বিলাসী পথ-ধূলি সনে।
সন্ধ্যা-গোধূলির রাঙা রূপে ভুলে’
আসিলি এ কোথায় তমসার কূলে।
	শ্রাবণ-মেঘ হায়
	ভাবিয়া কুয়াশায়
হারালি পথ তোর রে হতভাগিনী।।

বাণী

তুম আনন্দ ঘনশ্যাম ম্যয় হুঁ প্রেম-দিওয়ানী রাধা।
বাঁশরি শুনকে তোরি আয়ি মধুবনমে না মানু কলঙ্ককি বাধা।।
যুগ যুগান্ত অনন্তকাল সে হৃদয়-বৃন্দাবনে মে,
তুমহারে হামরে এহি লীলা নাথ চলত রহি মনমে।
	মেরে সঙ্গ রোয়ে প্রেম বিগলিতা
	ভক্তি বিশাখা প্রীতি ললিতা,
তুমকো যো চাহে মেরি তরহেসে রোয়ত জীব সমাধা।।

বাণী

তব	চলার পথে আমার গানের ফুল ছড়িয়ে যাই গো।
তারা	ধুলায় প’ড়ে কেঁদে বলে ‘তোমার পরশ (আল্‌তা) হ’তে চাই গো।।
		ওরা রাঙা হ’য়ে অনুরাগের রসে
		তোমার চরণ-তলে পড়ে খ’সে,
	ওদের দ’লে যেও, নাই যদি হয় বক্ষে তেমার ঠাঁই গো।।
ওরা	বুক পেতে দেয় পায়ের কাছে, অশ্রু-টলমল,
বলে	‘ধূলির পথে চলো না গো, ফুলেরপেথে চল।’
	(তুমি)	চরণ ফেল কেন ভয়ে ভয়ে
		বিরহ মোর ফুটেছে ফুল হ’য়ে,
	কাঁটা আছে আমার বুকে, ফুলে কাঁটা নাই গো।।

বাণী

প্রভু সংসারেরি সোনার শিকল বেঁধো না আর পায়
তোমার প্রেম ডোরে ত্রিভুবন স্বামী বাঁধ হে আমায়॥
সারা জীবন বোঝা বয়ে, এসেছি আজ ক্লান্ত হয়ে
জুড়াতে হে শান্তি দাতা তোমার শীতল ছায়॥
হে নাথ যতদিন শক্তি ছিল বোঝা বহিবার
হাসি মুখে বয়েছি নাথ তোমার দেওয়া ভার।
শেষ হল আজ ভবের খেলা, কি দান দেব যাবার বেলা
তোমার নামের ভেলায় যেন এ দীন তরে যায়॥

বাণী

ভবনে ভুবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ।
রাঙিল, মাতিল ধরা অভিনব ঢং।।
রাঙা বসন্ত হাসে নন্দন-আনন্দে
চিত্ত-শিখী নাচে মদালস-ছন্দে,
নাচিছে পরানে আজি তরুণ দূরন্ত বাজায়ে মৃদঙ।।
কামোদে নটে আমোদে ওঠে গান,
মাতিয়া ওঠে প্রাণ।
উতল যমুনা-জল-তরঙ্গ,
অঙ্গে অপাঙ্গে আজি খেলিছে অনঙ্গ,
পরানে বাজে সারং সুর কাফির সঙ্গ।।

বাণী

আকুল হলি কেন বকুল বনের পাখি।
দেখেছিস তুইও নাকি প্রিয়ার ডাগর আঁখি।।
	মধু ও বিষ মেশা
	সেই সে আঁখির নেশা
তোরে ক’রেছে পাগল, তাই কি এ ডাকাডাকি।।
চোখে পড়িলে বালি জ্বালাতে জ্বলিয়া মরি,
চোখে যাহার পড়েছে চোখ, সে বাঁচে কেমন করি’।
	ফিরাই আঁখি যেদিক পানে
	তারি আঁখি মনে আনে,
বলিস্ পাখি দেখা হ’লে প্রাণ শুধু আছে বাকি।।