বাণী

ওমা	যা কিছু তুই দিয়েছিলি ফিরিয়ে দিলাম তোকে।
	তুই ছাড়া আর বলতে আপন (কেউ) রইল না ত্রিলোকে।।
	তুই	কোলে নেবার দায় এড়িয়ে
		রেখেছিলি মন ভুলিয়ে খেলনা দিয়ে,
তুই	পালিয়েছিলি ঘুম পাড়িয়ে (মায়ার) কাজল দিয়ে চোখে।।
	কোটি জনম কাট্ল কেঁদে মাগো তোকে ভুলে,
(মা)	তোরে মনে পড়েছে আজ, (এবার) নে মা কোলে তু’লে।
	এই	পুত্র জায়া মায়ার ছবি
		তুই ছাড়া মা মিথ্যা সবই,
	ভুলব না আর এবার আমি জড়াব না দুঃখ-শোকে।।

বাণী

নতুন নেশার আমার এ মদ বল কি নাম দেবো এরে বঁধুয়া।
গোপী চন্দন গন্ধ মুখে এর বরণ সোনার চাঁদ চুঁয়া।।
	মধু হ'তে মিঠে পিয়ে আমার মদ
	গোধূলি রং ধরে কাজল নীরদ,
প্রিয়েরে প্রিয়তম করে এ মদ মম, চোখে লাগায় নভোনীল ছোঁওয়া।।
	ঝিম্ হয়ে আসে সুখে জীবন ছেয়ে,
	পান্‌সে জোছনাতে পান্‌সি চলে বেয়ে,
মধুর এ মদ নববধূর চেয়ে আমার মিতালী এ মহুয়া।। 

বাণী

পুরুষ	:	তুমি ফুল আমি সুতো গাঁথিব মালা
স্ত্রী	:	সহিতে হবে মোরে সুচির জ্বালা॥
পুরুষ	:	দুলিবে গলে মোর বুকের’ পরে
স্ত্রী	:	ফেলে দিবে বাসি হলে নিশি-ভোরে
		বন-কুসুম ঝরি বনে নিরালা॥
পুরুষ	:	তব কুঞ্জ-গলি আসে দখিন-হাওয়া আসে চপল অলি
স্ত্রী	:	তা’রা রূপ-পিয়াসি তা’রা ছিঁড়ে না কলি।
		তা’রা বনের বাহিরে মোরে নেবে না কালা।
পুরুষ	:	তবে চলিয়া যাই আমি নিরাশা ল’য়ে
স্ত্রী	:	না, না, যেয়ো না যেয়ো না, থাক গো বুকে শিশির হয়ে।
পুরুষ	:	এসো নব প্রেমে করি বন উজালা।
দ্বৈত	:	এসো নব প্রেমে করি বন উজালা।

বাণী

	আধো রাতে যদি ঘুম ভেঙে যায়, চাঁদ নেহারিয়া প্রিয়
	মোরে যদি মনে পড়ে, বাতায়ন বন্ধ করিয়া দিও।।
		সুরের ডুরিতে জপমালা সম
		তব নাম গাঁথা ছিল প্রিয়তম,
	দুয়ারে ভিখারি গাহিলে সে গান, তুমি ফিরে না চাহিও।।
	অভিশাপ দিও, বকুল-কুঞ্জে যদি কুহু গেয়ে ওঠে,
	চরণে দলিও সেই যুঁই গাছে আর যদি ফুল ফোটে।
		মোর স্মৃতি আছে যা কিছু যেথায়
		যেন তাহা চির-তরে মুছে যায়,
(মোর)	যে ছবি ভাঙিয়া ফেলেছ ধূলায় (তারে) আর তু’লে নাহি নিও।।

বাণী

এসো হৃদি-রাস-মন্দিরে এসো হে রাসবিহারী কালা।
মম নয়নের পাতে রাখিয়াছি গেঁথে অশ্রু-যূথীর মালা।।
	আমি	ত্যাজিয়াছি কবে লাজ-মান-কুল
		বহি’ কলঙ্ক এসেছি গোকুল,
আমি ভুলিয়াছি ঘর শ্যাম নটবর কর মোরে গোপবালা।।
		আমার কাঁদন-যমুনার নদী
	শ্যাম হে ভাঁটি টানে শুধু বহে নিরবধি,
তারে বাঁশরির তানে বহাও উজানে ভোলাও বিরহ-জ্বালা।।

বাণী

গরজে গম্ভীর গগনে কম্বু।
নাচিছে সুন্দর নাচে স্বয়ম্ভূ।।
সে-নাচে-হিল্লোলে জটা-আবর্তনে
সাগর ছুটে আসে গগন-প্রাঙ্গণে।
		আকাশে শূল হানি’
		শোনাও নব বাণী,
		তরাসে কাঁপে প্রাণী
			প্রসীদ-শম্ভু।
ললাট-শশী টলি’ জটায় পড়ে ঢলি’,
সে-শশী-চমকে গো বিজুলি ওঠে ঝলি’।
ঝাঁপে নীলাঞ্চলে মুখ দিগঙ্গনা,
মূরছে ভয়-ভীতা নিশি নিরঞ্জনা।
		আঁধারে পথহারা
		চাতকী কেঁদে সারা,
		যাচিছে বারিধারা
			ধরা নিরম্বু।।