বাণী
আমরা বনের পাখি বনের দেশে থাকি। ফিরি পাহাড়ি ফুলের রাঙা পরাগ মাখি’।। মোরা ঝর্না-ধারে ঐ নীল পাহাড়ে দেবদারুর শাখায় বাঁধি লতার রাখি। শুনি বন-উদাসী মিঠে পাহাড়ি বাঁশি মোরা শিস্ দিয়ে রাখাল ছেলেরে ডাকি।।
নাটক : ‘মধুমালা’
রাগ ও তাল
রাগঃ
তালঃ
সোনার মেয়ে! সোনার মেয়ে! তোমার রূপের মায়ায় আমার নয়ন- ভুবন গেল ছেয়ে'।। ঝরে তোমার রূপের ধারা— চন্দ্র জাগে তন্দ্রাহারা, আকাশ-ভরা হাজার তারা তোমার মুখে আছে চেয়ে'।। কোন গ্রহ-লোক ব্যথায় ভ'রে কোন অমরা শূন্য ক'রে (ওগো) রাখলে চরণ ধরার পরে রঙ-সায়রের রঙের নেয়ে। শিল্পী আকেঁ তোমার ছবি তোমারি গান গাহে কবি নিশীথিনী হারিয়ে রবি চাঁদ হাতে পায় তোমায় পেয়ে।।
রাগঃ পিলু মিশ্র
তালঃ কাহার্বা
হে মদিনার নাইয়া! ভব-নদীর তুফান ভারি কর মোরে পার তোমার দয়ায় ত’রে গেল লাখো গুনাহ্গার॥ পারের কড়ি নাই হে আমার হয়নি নামাজ রোজা কূলে এসে বসে আছি নিয়ে পাপের বোঝা (আমায়) ‘পার কর ইয়া রসুল’ বলে কাঁদি জারে জার॥ তোমার নাম গেয়েছি শুধু কেঁদে সুব্হ শাম তরিবার মোর নাই ত’ পুঁজি বিনা তোমার নাম। হাজরো বার দরিয়াতে ডুবে যদি মরি ছাড়ব না মোর পারের আশা তোমার চরণ-তরী সবার শেষে পার যেন হয় এই খিদ্মতগার॥
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে সঘন তিমির রাতে। নিদ্রা নাহি তোমায় চাহি’ আমার নয়ন-পাতে॥ ভেজা মাটির গন্ধ সনে তোমার স্মৃতি আনে মনে, বাদ্লী হাওয়া লুটিয়ে কাঁদে আঁধার আঙিনাতে॥ হঠাৎ বনে আস্ল ফুলের বন্যা পল্লবেরই কূলে, নাগকেশরের সাথে কদম কেয়া ফুট্ল দুলে দুলে। নবীন আমন ধানের ক্ষেতে হতাশ বায়ু ওঠে মেতে, মন উড়ে যায় তোমার দেশে পূব-হাওয়ারই সাথে॥
রাগঃ মূলতান-কানাড়া মিশ্র
তালঃ দাদ্রা
এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন। নিত্যা হয়ে রইবি ঘরে, হবে না তোর বিসর্জন।। সকল জাতির পুরুষ-নারীর প্রাণ সেই হবে তোর পূজা-বেদী মা তোর পীঠস্থান: সেথা শক্তি দিয়ে ভক্তি দিয়ে পাতবে মা তোর সিংহাসন।। সেথা রইবে নাকো ছোয়াছুয়ি উচ্চ-নীচের ভেদ, সবাই মিলে উচ্চারির মাতৃ-নামের বেদ। মোরা এক জননীর সন্তান সব জানি, ভাঙব দেয়াল, ভুলব হানাহানি দীন-দরিদ্র রইবে না কেউ সমান হবে সর্বজন, বিশ্ব হবে মহাভারত, নিত্য-প্রেমের বৃন্দাবন।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা