বাণী

ও কে মুঠি মুঠি আবীর কাননে ছড়ায়
রাঙা-হাসির পরাগ-ফুল আননে ঝরায়।।
তার রঙের আবেশ লাগে চাঁদের চোখে
তার লালসার রঙ জাগে রাঙা অশোকে
তার রঙিন নিশান দোলে কৃষ্ণ চূড়ায়।।
তার পুষ্প ধনু দোলে শিমূল শাখায়
তার কানা কাঁপে গো ভোমরা পাখায়,
সে খোঁপাতে বেল-ফুলের মালা জড়ায়।।
সে কুসমী শাড়ি পরায় নীল বসনায়
সে আঁধার মনে জ্বালে লাল রোশনাই
সে শুকনো বনে ফাগুন আগুন ধরায়।।

বাণী

আমিনা-দুলাল নাচে হালিমার কোলে
তালে তালে সোনার বুকে সোনার তাবিজ দোলে।।
সে কাঁদিলে মুক্তা ঝরে হাসলে ঝরে মানিক
	ঈদের চাঁদে লেগে আছে সেই খুশির খানিক।
তাঁর কচি মুখে খোদার কালাম আধো আধো বলে।।
	দেখেছিল লুকিয়ে সে নাচ কোটি গ্রহতারা
	আসমানে তাই ঘোরে তারা আজো দিশাহারা
সেদিন নেচেছিল বিশ্বভুবন ইয়া মোহাম্মদ ব’লে।।
	কোরানের আয়াতে লেখা সেই নাচেরই ছন্দ
	তকবীরের ধ্বনিতে বাজে তাহারি আনন্দ
আমি থাকলে সেদিন হতাম ধূলি তাঁহার পায়ের তলে।।

বাণী

ভবানী শিবানী দশপ্রহরণধারিনী
দুখ-পাপ-তাপ হারিণী ভবানী।।
কলুষ-রিপু-দানব-জয়ী
জগৎ-মাতা করুণাময়ী
জয় পরমাশক্তি মাতা ত্রিলোকধারিণী।।

নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’

বাণী

আল্লা নামের বীজ বুনেছি এবার মনের মাঠে।
ফলবে ফসল বেচব তারে কেয়ামতের হাটে।।
	পত্তনীদার যে এ জমির
	খাজনা দিয়ে সেই নবীজীর
বেহেশতেরই তালুক কিনে বসব সোনার খাটে।।
মসজিদে মোর মরাই বাঁধা হবে নাকো চুরি,
মনকির নকির দুই ফেরেশতা হিসাব রাখে জুড়ি' রে;
	রাখবো হেফাজতের তরে
	ঈমানকে মোর সাথী করে,
রদ হবে না কিস্তি (মোর), জমি উঠবে না আর লাটে।।

বাণী

সৈয়দে মক্কী মদনী আমার নবী মোহাম্মদ
করুণা-সিন্ধু খোদার বন্ধু নিখিল মানব-প্রেমাস্পদ।।
আদম নূহ, ইব্রাহিম দাউদ সোলেয়মান মুসা আর ঈসা,
সাক্ষ্য দিল আমার নবীর, সবার কালাম হ'ল রদ।
যাঁহার মাঝে দেখল জগৎ ইশারা খোদার নূরের,
পাপ-দুনিয়ায় আনলো যে রে, পুণ্য বেহেশতী সনদ।।
হায় সিকান্দর খুঁজল বৃথাই আব-হায়াত এই দুনিয়ায়
বিলিয়ে দিল আমার নবী, সে সুধা মানব সবায়।
হায় জুলেখা মজল ঐ ইউসুফেরই রূপ দেখে,
দেখলে মোদের নবীর সুরত, যোগীন হত ভসম মেখে'।
শুনলে নবীর শিঁরিন জবান, দাউদ মাগিত মদদ।।
ছিল নবীর নূর পেশানিতে, তাই ডুবল না কিস্তি নূহের
পুড়ল না আগুনে হযরত ইব্রাহিম সে নমরুদের
হায়, দোজখ আমার হারাম হ'ল পিয়ে কোরানের শিঁরিন শ্যহদ।।

বাণী

ঈদ মোবারক হো —
ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক ঈদ, ঈদ মোবারক হো —
রাহেলিল্লাহ্‌কে আপনাকে বিলিয়ে দিল, কে হলো শহীদ।।
যে	কোরবানি আজ দিল খোদায় দৌলৎ ও হাশমত্‌,
যার	নিজের ব’লে রইলো শুধু আল্লা ও হজরত,
যে	রিক্ত হয়ে পেল আজি অমৃত-তৌহিদ।।
যে	খোদার রাহে ছেড়ে দিল পুত্র ও কন্যায়
যে	আমি নয়, আমিনা ব’লে মিশলো আমিনায়।
ওরে	তারি কোলে আসার লাগি’ নাই নবীজীর নিদ।।
যে	আপন পুত্র আল্লারে দেয় শহীদ হওয়ার তরে
	ক্বাবাতে সে যায় না রে ভাই নিজেই ক্বাবা গড়ে
সে	যেখানে যায় – জাগে সেথা ক্বাবার উম্মিদ।।