বাণী

ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল।
ভূষণহীনা বনদেবী কার হ'রি তুই দুল।।
	হার হ'বি কার কবরীতে
	সন্ধ্যারানী দূর নিভৃতে,
ব'সে আছে অভিমানে ছড়িয়ে এলোচুল।।
মাটির ধরার ফুলদানিতে তোর হবে কি ঠাঁই,
আদর কে আর করবে তোরে, বসন্ত যে নাই হায় বসন্ত নাই।
	গোলক-চাঁপা খুঁজিস কারে —
সে দেবতা নাই রে হেথা শূন্য যে আজি গোকুল।।

বাণী

ও ভাই হাজি! কোন্ কাবা ঘর হজ করিয়া এলে।
গিয়ে কি ভাই খোদায় পাওয়ার পথের দিশা পেলে।।
খোদার ঘরের দিদার পেয়ে বল কেমন ক’রে
ফিরে এলে দুনিয়াদারীর এই না-পাক ঘরে,
কেউ বলেছে কি কোন্ কাবাতে গেলে খোদায় মেলে।।
খেলেছিলেন নবীজী যে-মক্কা মদিনায়
বেহোঁশ হয়ে পড়নি কি পৌঁছিয়া সেথায়,
কেমন ক’রে ফিরে এলে সেই মদিনা ফেলে
এই দুনিয়ার কারবালাতে অধিক তৃষা আরো
এনেছ কি আব্হায়াতের পানি? দিতে পারো?
মোর আঁধার ঘরে দিতে পারো নূরের চেরাগ জ্বেলে?

বাণী

অন্নপূর্ণা মা এসেছে অন্নহীনের ঘর
উলু দে রে শঙ্খ বাজা প্রদীপ তুলে ধর।।
		তপস্যাহীন পাপীর দেশে
		মা এসেছে ভালোবেসে,
বিনা পূজায় মায়ের রূপে এলো বিধির বর।।

নাটিকাঃ ‘সুরথ উদ্ধার’

বাণী

দে দোল্‌ দে দোল্‌ ওরে দে দোল্‌ দে দোল্‌
জাগিয়াছে ভারত সিন্ধু তরঙ্গে কল-কল্লোল।।
পাষাণ গলেছে রে অটল টলেছে রে
জেগেছে পাগল রে ভেঙেছে আগল।।
বন্ধন ছিল যত হল খানখান রে
পাষাণ পুরীতে ডাকে জীবনেরি বান রে
মৃত্যু ক্লান্ত আজি কুড়াইয়া প্রাণ রে
দুর্মদ যৌবন আজি উতরোল।।
অভিশাপ রাত্রির আয়ু হল ক্ষয় রে
আর নাহি অচেতন আর নাহি ভয় রে
আজও যাহা আসেনি আসিবে সে জয় রে
আনন্দ ডাকে দ্বারে খোল দ্বার খোল।।

বাণী

পরদেশি বঁধুয়া, এলে কি এতদিনে
আসিলে এতদিন কেমনে পথ চিনে।।
তোমারে খুঁজিয়া কত রবি-শশী
অন্ধ হইল প্রিয় নিভিল তিমিরে
তব আশে আকাশ-তারা দ্বীপ জ্বালি'
জাগিয়াছে নিশি ঝুরিয়া শিশিরে।
শুকায়েছে স্বরগ দেবতা তোমা বিনে।।
কত জনম ধরি' ছিলে বল পাসরি'
এতদিনে বাঁশরি বাজিল কি বিপিনে।।

বাণী

অন্ধকারে দেখাও আলো কৃষ্ণ নয়ন-তারা।
কালো মেঘে অন্ধ-আকাশ পথিক পথ-হারা।।
	ভক্ত কাঁদে অকূল ভবে,
	গোকূলে তায় ডাকবে কবে।
অশান্ত এ চিত্তে হরি বহাও শান্তি-ধারা।।