হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি
বাণী
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি’। আখেরি নবী দ্বীনের রবি বিদায় নিল বিশ্ব-নিখিল আঁধার করি’।। অসীম তিমিরে পুণ্যের আলো আনিল যে চাঁদ, সে কোথায় লুকালো আকাশে ললাট হানি’ কাঁদিছে মরুভূমি শোকে গ্রহ-তারকা পড়িছে ঝরি’।। তৃণ নাহি খায় উট, মেষ নাহি মাঠে যায়; বিহগ-শাবক কাঁদে জননীরে ভুলি হায়! বন্ধুর বিরহ কি সহিল না আল্লার, তাই তারে ডাকিয়া নিল কাছে আপনার’; হায় কান্ডারি গেল চ’লে রাখিয়া পারের তরী।।
বৈতালিক
এসো মাধব এসে পিও মধু
বাণী
এসো মাধব এসে পিও মধু। এসো মাধবী লতার কুঞ্জ বিতানে (মধু) মাধবী রাতে এসো বঁধু।। এসো মৃদুল মধুর পা ফেলে এসো ঝুমুর ঝুমুর ঘুমুর বাজায়ে শ্রবণে অমিয়া মধু ঢেলে, এসো বাজায়ে বাঁশরি যে সুর-লহরী শুনে কুল ভোলে ব্রজবধূ।। এসো নিবিড় নীরদ বরণ শ্যাম তমাল কাননে কাজল বুলায়ে দুলায়ে চাঁচর চিকুর দাম, এসো বামে হেলায়ে শিখী-পাখা ত্রিভঙ্গ ঠামে এসো বঁধু।। এসো নারায়ণ এসো অবতার পার্থসারথি বেশে এসো পাপ কুরুক্ষেত্রে আরবার, তুমি মহাভারতের ভাগ্যবিধাতা গীতি উদ্গাতা নহ শুধু।।
মম প্রাণ-শতদল হোক প্রণামী-কমল
বাণী
মম প্রাণ-শতদল হোক প্রণামী-কমল (ওগো) তব চরণে আমার এ হৃদয় নাথ হোক তন্ময় তোমারি স্বরণে তোমারি স্বরণে॥ তব পূজার বেদী হোক আমার এ মন হোক্ আরতি-প্রদীপ মোর এ দুটি নয়ন নাথ, লহ মোরে পায় তোমারি সেবায় জীবনে-মরণে॥ মম দুঃখে সুখে মম তৃষিত বুকে তুমি বিরাজ, মোর সকল কাজে বীণা-বেণু সম নিশিদিন বাজো॥ মোর দেহখানি, নাথ চন্দন প্রায় হোক্ ক্ষয় তব মন্দির-পাষাণ-শিলায়, পাই যেন লয়, নাথ, তব সৃষ্টির রূপে বরণে॥
হায় গো ভালোবেসে অবশেষে
বাণী
(হায় গো) ভালোবেসে অবশেষে কেঁদে দিন গেল। ফুল-শয্যা বাসি হল, বঁধূ না এলো।। শুকাইল পানের খিলি বাঁটাতে ভরা, এ পান আমি কারে দিব সে বঁধূ ছাড়া। (হায় গো) নীলাম্বরী শাড়ি ছি ছি পরলেম মিছে লো।। এবার ধ’রে দিস্ যদি তায় রাখ্ব বেঁধে বিনোদ খোঁপায়, কাঙালে পাইলে রতন রাখে যেমন লো।। সোঁদা-মাখা নিস্নে কেশে, গন্ধে যে লো তার মনে আনে চন্দন-গন্ধ সোনার বঁধূয়ার। এত দুঃখ ছিল আমার এই বয়সে লো।।
বাউল