শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান
বাণী
শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান সেই সুরে গো বাজবে আমার করুণ বাঁশির তান॥ সাথী-হারা একেলা পাখি, যে-সুরে যায় বনে ডাকি’ সেই সুরেরি কাঁদন মাখি’ বিধুর আমার প্রাণ॥ দিন শেষের ম্লান আলোতে ঘনায় যে বিষাদ আমার গানে জড়িয়ে আসে তারই অবসাদ। ঝরা-পাতার মরমরে, বাদল-রাতে ঝরঝরে বাজে আমার গানের সুরে গোপন অভিমান॥
আমার কথা লুকিয়ে থাকে
বাণী
আমার কথা লুকিয়ে থাকে আমার গানের আড়ালে। সেই কথাটি জানার লাগি’ কে গো এসে দাঁড়ালে।। শূন্য মনের নাই কেহ মোর সাথি গান গেয়ে তাই কাটাই দিবারাতি, সেই হৃদয়ের গভীর বনে কে তুমি পথ হারালে।। হৃদয় নিয়ে নিদয় খেলার হয় যেখানে অভিনয়, চেও না সেই হাটের মাঝে আমার মনের পরিচয়। যে বেদনার আগুন বুকে ল’য়ে জ্বলি আমি প্রদীপ-শিখা হ’য়ে, সেই বেদনা জুড়াতে মোর কে তুমি হাত বাড়ালে।।
গীতিচিত্র: ‘অতনুর দেশ’
মোরা আর জনমে হংস-মিথুন ছিলাম
বাণী
মোরা আর জনমে হংস–মিথুন ছিলাম নদীর চরে যুগলরূপে এসেছি গো আবার মাটির ঘরে।। তমাল তরু চাঁপা–লতার মত জড়িয়ে কত জনম হ’ল গত, সেই বাঁধনের চিহ্ন আজো জাগে হিয়ার থরে থরে।। বাহুর ডোরে বেঁধে আজো ঘুমের ঘোরে যেন ঝড়ের বন–লতার মত লুটিয়ে কাঁদ কেন। বনের কপোত কপোতাক্ষীর তীরে পাখায় পাখায় বাঁধা ছিলাম নীড়ে চিরতরে হ’ল ছাড়াছাড়ি নিঠুর ব্যাধের শরে।।