ফুলে পুছিনু বল বল ওরে ফুল
বাণী
ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল! কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল? 'যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল, দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু। আল্লাহু আল্লাহু।। 'ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর, কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর? কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর, তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ' কুহু কুহু — আল্লাহু আল্লাহু।। 'ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?' কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি' যে খুবরু আল্লাহু আল্লাহু।। যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায় কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়, যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়, নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু আল্লাহু আল্লাহু।।
আমার আনন্দিনী উমা আজো এলো না
বাণী
(আমার) আনন্দিনী উমা আজো এলো না তার মায়ের কাছে। হে গিরিরাজ! দেখে এসো কৈলাসে মা কেমন আছে॥ মোর মা যে প্রতি আশ্বিন মাসে মা মা ব’লে ছুটে আসে, ‘মা আসেনি’ ব’লে আজও ফুল ফোটেনি লতায় গাছে ॥ তত্ত্ব-তলাশ নিইনি মায়ের তাই বুঝি মা অভিমানে, না এসে তার মায়ের কোলে ফিরিছে শ্মশান মশানে। ক্ষীর নবনী ল’য়ে থালায় কেদে ডাকি, ‘আয় উমা আয়’। যে কন্যারে চায় ত্রিভুবন তাকে ছেড়ে মা কি বাঁচে॥
শ্রীকৃষ্ণ নামের তরীতে কে হবি পার
বাণী
শ্রীকৃষ্ণ নামের তরীতে কে হবি পার কৃষ্ণ নামের তরীতে! তরাইতে পাপী পতিত মানবে এলো তরী ভব-নদীতে।। ডাকিছে আর্তজনে বাঁশির সুরে নাইয়া কানাইয়া ‘আয় আয়’ ব’লে মধুর নামের তরী টলমল দোলে আশ্রিতে পারে নিতে।। ঘন দুর্দিন-ঘেরা আঁধার সংসার নাম প্রদীপ আশার; জপ প্রেম-ভরে তাঁহারই প্রিয় নাম (তরঙ্গে) তরী ডুবিবে না আর। তাঁর নাম পারের তরী, কান্ডারি শ্রীচরণ শরণ নে রে তোরা তাঁরই নামের আলোকে যাবি রে গোলকে নাম গাহিতে গাহিতে।।
আমার ভুবন কান পেতে রয়
বাণী
আমার ভুবন কান পেতে রয় প্রিয়তম তব লাগিয়া দীপ নিভে যায়, সকলে ঘুমায় মোর আঁখি রহে জাগিয়া।। তারারে শুধাই, ‘কত দেরি আর কখন আসিবে বিরহী আমার?’ ওরা বলে, ‘হের পথ চেয়ে তার নয়ন উঠেছে রাঙিয়া’।। আসিতেছে সে কি মোর অভিসারে কাঁদিয়া শুধাই চাঁদে মোর মুখপানে চেয়ে চেয়ে চাঁদ নীরবে শুধু কাঁদে। ফাগুন বাতাস করে হায় হায় বলে, বিরহিণী তোর নিশি যে পোহায় ফুল বলে, ‘আর জাগিতে নারি গো ঘুমে আঁখি আসে ভাঙিয়া’।।