বাণী

নয়ন যে মোর বারণ মানে না।
বারণ মানে না মন কাঁদন মানে না।।
	নিশিদিন তব আশে
	আছি চেয়ে পথ পাশে
দুকূল বেয়ে সলিল আসে কাজল মানে না।।
	সবার মাঝে থেকেও একা
আমি	তাই তো তোমার চাই গো দেখা,
মরম যে গো, তোমায় ছাড়া কারেও জানে না।।

রাগ ও তাল

রাগঃ কাফি মিশ্র

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

আমার ঘরের পাশ দিয়ে সে চলতো নিতুই সকাল-সাঁঝে।
আর এ পথে চলবে না সে, সেই ব্যথা হায় বক্ষে বাজে।।
আমার দ্বারের কাছটিতে তার ফুটতো লালী গালের টোলে,
টলতো চরণ, চাউনি বিবশ, কাঁপতো নয়ন-পাতার কোলে —
					কুঁড়ি যেমন খোলে গো!
কেউ কখনো কইনি কথা, কেবল নিবিড় নীরবতা
সুর বাজাতো অনাহতা গোপন মরম-বীণার মাঝে।।
মূক পথের আজ বুক ফেটে যায় স্মরি’
	তারি পায়ের পরশ বুক-খসা তার আঁচর-চুমু,
রঙিন ধুলো পাংশু হ’ল, ঘাস শুকোলো যেচে’
	বাচাল যোড়-পায়েলার রুমু-ঝুমু।
আজো আমার কাটবে গো দিন রোজই যেমন কাটতো বেলা,
একলা ব’সে শূন্য ঘরে — তেমনি ঘাটে ভাসবে ভেলা —
					অবহেলা হেলা-ফেলায় গো!
	শুধু সে আর তেমন ক’রে
	মন র’বে না নেশায় ভ’রে
আসার আশায় সে কার তরে সজাগ হ’য়ে সকল কাজে।
ডুকরে কাঁদে মন-কপোতী ‘কোথায় সাথির কূজন বাজে?
					সে-পার ভাষা কোথায় রাজে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

	আমারে সকল ক্ষুদ্রতা হ’তে বাঁচাও প্রভু উদার!
	হে প্রভু, শেখাও নীচতার চেয়ে নীচ পাপ নাহি আর।।
		যদি শতেক জন্ম-পাপে হই পাপী
		যুগ-যুগান্ত নরকেও যাপি,
	জানি জানি প্রভু, তারও আছে ক্ষমা, ক্ষমা নাই নীচতার।।
	ক্ষুদ্র করো না, হে প্রভু, আমার হৃদয়ের পরিসর,
যেন	হৃদয়ে আমার সম ঠাঁই পায় শত্রু-মিত্র-পর।
		নিন্দা না করি ঈর্ষায় কারো
		অন্যের সুখে সুখ পাই আরো,
	কাঁদি তাঁ’রি তরে অশেষ দুঃখী ক্ষুদ্র আত্মা যার।।

‘মোনাজাত’

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

	কি দিয়ে পূজি ভগবান!
আমার ব’লে কিছু নাহি হরি সকলি তোমারি যে দান
	মন্দিরে তুমি, মূরতিতে তুমি
	পূজার ফুলে তুমি, স্তব-গীতে তুমি,
ভগবান দিয়ে ভগবান পূজা করিতে — তুমি যদি ভাব অপমান॥
	কেমন তব রূপ দেখিনি হরি
	আপন মন দিয়ে তোমারে গড়ি,
কাঁদ না হাস তুমি সে-রূপ হেরি — বুঝিতে পারি না আমি তাই কাঁদে প্রাণ॥
	কোটি রবি-শশী আরতি করে যারে,
	প্রদীপ জ্বালিয়া খুঁজি আমি তারে।
বন-ডালা যাঁর পূজার সম্ভার, যোগী মুনি করে যুগযুগ ধ্যান।
কোথা শ্রীমুখ তব কোথা শ্রীচরণ, চন্দন দিব কোন্‌খান ॥

রাগ ও তাল

রাগঃ জৌনপুরী মিশ্র

তালঃ আদ্ধা-কাওয়ালি

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে – কিশোর কৃষ্ণ দোলে বৃন্দাবনে।
থির সৌদামিনী রাধিকা দোলে নবীন ঘনশ্যাম সনে;
দোলে রাধা শ্যাম ঝুলন-দোলায় দোলে আজি শাওনে।।
পরি’ ধানি রঙ ঘাঘরি, মেঘ রঙ ওড়না
গাহে গান, দেয় দোল গোপীকা চল-চরণা,
ময়ূর নাচে পেখম খুলি’ বন-ভবনে।।
গুরু গম্ভীর মেঘ-মৃদঙ্গ বাজে আঁধার অশ্রুর তলে,
হেরিছে ব্রজের রসলীলা অরুন লুকায়ে মেঘ-কোলে।
মুঠি মুঠি বৃষ্টির ফুল ছুঁড়ে হাসে
দেব-কুমারীরা হেরে অদূর আকাশে,
জড়াজড়ি করি‌‘ নাচে, তরুলতা উতলা পবনে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

বাদলা রাতে চাঁদ উঠেছে কৃষ্ণ মেঘের কোলে রে।
ব্রজ পুরে তমাল-ডালের ঝুলনাতে দোলে রে।।
	নীল চাঁদ আর সোনার চাঁদে
	বাঁধা বন-মালার ফাঁদে রে
এই চাঁদ হেসে আরেক চাঁদের অঙ্গে পড়ে ঢ’লে রে।।
যুগল শশী হেরি গোপী কহে, বাদলা রাতই ভালো রে,
গোকুল এলো ব্রজে নেমে ধরা হল আলো রে।
	দেব-দেবীরা চরণ-তলে
	বৃষ্টি হয়ে পড়ে গ’লে রে,
বেদ-গাথা সব নূপুর হয়ে রুনুঝুনু বোলে রে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দ্রুত-দাদ্‌রা

স্বরলিপি