ও ভাই হাজি! কোন্ কাবা ঘর হজ করিয়া এলে। গিয়ে কি ভাই খোদায় পাওয়ার পথের দিশা পেলে।। খোদার ঘরের দিদার পেয়ে বল কেমন ক’রে ফিরে এলে দুনিয়াদারীর এই না-পাক ঘরে, কেউ বলেছে কি কোন্ কাবাতে গেলে খোদায় মেলে।। খেলেছিলেন নবীজী যে-মক্কা মদিনায় বেহোঁশ হয়ে পড়নি কি পৌঁছিয়া সেথায়, কেমন ক’রে ফিরে এলে সেই মদিনা ফেলে এই দুনিয়ার কারবালাতে অধিক তৃষা আরো এনেছ কি আব্হায়াতের পানি? দিতে পারো? মোর আঁধার ঘরে দিতে পারো নূরের চেরাগ জ্বেলে?
রাগঃ
তালঃ
তাপসিনী গৌরী কাঁদে বেলা শেষে, উপবাস-ক্ষীণ তবু যোগিনী বেশে।। বুকে চাপি’ করতল বিল্বপত্র-দল, কেঁপে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে শিব-আবেশে।। অস্ত রবি তা’র সহস্র করে চরণ ধ’রে বলে ফিরে যেতে ঘরে, ‘শিব দাও শিব দাও’ ব’লে লুটায় ধূলি-তলে — কৈলাস-গিরি পানে চাহে অনিমেষে।।
রাগঃ গৌরী (পূর্বী ঠাট)
তালঃ ত্রিতাল
ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির আল্লা-রসুল বোল্ গাফ্লিয়াতি ভোল্ রে অলস্ আয়েশ আরাম্ ভোল্॥ এই দুনিয়ার সরাইখানায় জনম্ গেল ঘুমিয়ে হায় ওঠ রে সুখ-শয্যা ছেড়ে মায়ার বাঁধন খোল্॥ দিন ফুরিয়ে এলো যে রে দিনে দিনে তোর দীনের কাজে অবহেলা কর্লি জীবন ভোর। যে দিন আজো আছে বাকি খোদারে তুই দিস্নে ফাঁকি আখেরে পার হবি যদি পুল্ সেরাতের পোল্॥
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
শোন্ ও-সন্ধ্যা-মালতী, বালিকা তপতী বেলা শেষের বাঁশি বাজে, বাজে। শোনো মাধবী চাঁদের মধুর মিনতি উদাস আকাশ মাঝে।। তব মৌন ব্রত ভাঙ্গো কও কথা কও মোর নৃত্য আরতির সঙ্গিনী হও, মাধবী হেনা হের এলো বাহিরে — রসরাজে হেরি’ রাস-নৃত্যের সাজে।। তুমি যার লাগি’ সারাদিন, বিরহ ধ্যান-লীন একাকিনী কুঞ্জে। সুন্দর দাঁড়ায়ে তব দ্বারে আঁধারে মঞ্জরি-দীপ জ্বালো ডাকো তারে, বুকের চন্দন-সুরভি ঢালো — পাতার আঁচলে মুখ ঢেকো না লাজে।।
রাগঃ সন্ধ্যামালতী (নজরুল-সৃষ্ট)
তালঃ সেতারখানি
চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায় আজিকে যে রাজাধিরাজ কা'ল সে ভিক্ষা চায়।। অবতার শ্রীরামচন্দ্র যে জানকীর পতি তারও হলো বনবাস রাবণ করে দুর্গতি। আগুনেও পুড়িল না ললাটের লেখা হায়।। স্বামী পঞ্চ পাণ্ডব, সখা কৃষ্ণ ভগবান দুঃশাসন করে তবু দ্রৌপদীর অপমান পুত্র তার হলো হত যদুপতি যার সহায়।। মহারাজ হরিশচন্দ্র, রাজ্য দান ক'রে শেষ শ্মশান-রক্ষী হয়ে লভিল চণ্ডাল-বেশ বিষ্ণু-বুকে চরণ-চিহ্ন, ললাট-লেখা কে খণ্ডায়।।
রাগঃ মান্দ
তালঃ কাহার্বা
পুরুষ : মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি প্রিয়ে। স্ত্রী : ধরিতে পারি না পেতে তাই প্রেম ফাঁদ — তুমি মেঘ আমি চাঁদ, ফের গো কাঁদিয়ে।। পুরুষ : মন্দ বায় আমি গন্ধ লুটি শুধু — চাই না আমি সে মধু; স্ত্রী : চাইনে চাইনে বঁধু — তাহে নাই সুখ নাই, আমি পরশ যে চাই। পুরুষ : স্বপন-কুমার ফিরি যে আমি মন ভুলিয়ে।। উভয়ে : চল তবে যাই মোরা স্বপনের দেশে জোছনায় ভেসে — নন্দন-পারিজাত ফুল ফুটিয়ে।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
