এবার যখন উঠ্বে সন্ধ্যাতারা সাঁঝ আকাশে
বাণী
এবার যখন উঠ্বে সন্ধ্যাতারা — সাঁঝ আকাশে দেখতে পাবে দু’টি নতুন তারা — তাহার পাশে।। চেয়ে’ দেখ ভালো ক’রে কা’র দু’টি চোখ যেন ম’রে, তারা হয়ে ধরার পানে চাহে তোমার আঁখি দেখার আশে।। যে দু’টি চোখ নিত্য লোকের মাঝে তোমায় দিত লাজ পড়বে মনে গো — সেই দু’টি চোখ চিরতরে এই পৃথিবী হতে হারিয়ে গেছে আজ। পায়নি গো, তাই অভিমানে চ’লে গেলে দূর বিমানে, (দেখো) সেদিন যেন আজের মত চাইতে ওদের পানে দ্বিধা নাহি আসে।।
আমার মা যে গোপাল-সুন্দরী
বাণী
আমার মা যে গোপাল-সুন্দরী। যেন এক বৃন্তে কৃষ্ণ-কলি অপরাজিতার মঞ্জরি।। মা আধেক পুরুষ অর্ধ অঙ্গে নারী আধেক কালি আধেক বংশীধারী, অর্ধ অঙ্গে পীতাম্বর আর অর্ধ অঙ্গে দিগম্বরী।। মা সেই পায়ে প্রেম-কুসুম ফোটায় নূপুর-পরা যে চরণ, মা'র সেই পায়ে রয় সর্প-বলয় যে পায়ে প্রলয়- মরণ। মার আধ-ললাটে অগ্নি-তিলক জ্বলে চন্দ্রলেখা আধেক ললাট তলে, শক্তিতে আর ভক্তিতে মা আছেন যুগল রূপ ধরি'।।
গুণে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়
বাণী
গুণে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায় রূপে লাবেন্য মাধুরী ও শ্রীতে হুরী-পরী লাজ পায়।। নর নহে,নারী ইসলাম 'পরে প্রথম আনে ঈমান আম্মা খাদিজা জগতে সর্ব প্রথম মুসলমান। পুরুষের সব গৌরব ম্লান এক এই মহিমায়।। নবী-নন্দিনী ফাতেমা মোদের সতী-নারীদের রানী যাঁর গুণ-গাথা ঘরে ঘরে প্রতি নর-নারী আজো গায়।। রহিমার মত মহিমা কাহার তাঁর সম সতী কেবা নারী নয় যেন মূর্তি ধরিয়া এসেছিল পতি-সেবা মোদের খাওয়ালা জতের আলা বীরত্বে গরিমায়।। রাজ্য শাসনে রিজিয়ার নাম ইতিহাসে অক্ষয় শৌর্যে সাহসে চাঁদ-সুলতানা বিশ্বের বিস্ময় জেবুন্নেসার তুলনা কোথায়,জ্ঞানের তপস্যায়।। আঁধার হেরেমে বন্দিনী হল সহসা আলোর মেয়ে সেইদিন হতে ইসলাম গেল গ্লানির কালিতে ছেয়ে। লক্ষ খালেদ আসিবে যদি এ নারীরা মুক্তি পায়।।
ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে
বাণী
ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে। (ওসে) কোন্ অভাগা অঙ্ক-লক্ষ্মী নাম দিল এই শঙ্খ-চিলে।। দিন রাত্তির অঙ্ক কষে পান্ হতে চুন কখন্ খসে, স্ত্রী ব’লে আন্নু ঘরে শাড়ি পরা কোন্ উকিলে।। প্রাণ-পাখি মোর খাঁচা-ছাড়া, (এই) ঝুল্তি বেণীর গুল্তি ঢিলে’ মাতঙ্গিনী মহিষিণী গুঁতিয়ে ফাটায় পেটের পিলে। যেমন বাঘ দেখে ছাগ ছুটেরে ভাই তেমনি কাছা খুলে পালিয়ে বেড়াই ওগো মাগো এসে রক্ষা কর হালুম-বাঘায় ফেল্ল গিলে।।