যে-হার দিলে ভালোবেসে
বাণী
(তুমি) যে-হার দিলে ভালোবেসে সে-হার আমার হ’ল ফাঁসি। (প্রিয়) সেই হার আজ বক্ষে চেপে আকুল নয়ন-জলে ভাসি।। তুমি জান অন্তর্যামী দান তো তোমার চাইনি আমি, তোমায় শুধু চেয়েছিলাম১ সাধ ছিল মোর হ’তে দাসী।। দুখের মালা কেড়ে নিয়ে কেন দিলে মতির মালা, মালায় শীতল হবে কি নাথ! শূন্য আমার বুকের জ্বালা? (মোরে) রেখো না আর সোনার রথে ডাকো তোমার তীর্থ-পথে, (আমার) সুখের ঘরে আগুন জ্বালো শোনাও বাঁশি সর্বনাশী।।
১. চেয়েছিলাম তোমায় স্বামী
আমার আনন্দিনী উমা আজো এলো না
বাণী
(আমার) আনন্দিনী উমা আজো এলো না তার মায়ের কাছে। হে গিরিরাজ! দেখে এসো কৈলাসে মা কেমন আছে॥ মোর মা যে প্রতি আশ্বিন মাসে মা মা ব’লে ছুটে আসে, ‘মা আসেনি’ ব’লে আজও ফুল ফোটেনি লতায় গাছে ॥ তত্ত্ব-তলাশ নিইনি মায়ের তাই বুঝি মা অভিমানে, না এসে তার মায়ের কোলে ফিরিছে শ্মশান মশানে। ক্ষীর নবনী ল’য়ে থালায় কেদে ডাকি, ‘আয় উমা আয়’। যে কন্যারে চায় ত্রিভুবন তাকে ছেড়ে মা কি বাঁচে॥
উপল নুড়ির কাঁকন চুড়ি বাজে
বাণী
উপল নুড়ির কাঁকন চুড়ি বাজে বাজে ঘুমতি নদীর জলে। বুনো হাঁসের পাখার মত মন যে ভেসে চলে সেই ঘুমতি নদীর জলে।। মেঘ এসেছে আকাশ ভ'রে — যেন শ্যামল ধেনু চরে নাগিনীর সম বিজলি-ফনা তুলে নাচে,নাচে নাচে রে। মেঘ-ঘন গগন তলে।। পাহাড়িয়া অজগর ছুটে আসে ঝর্ ঝর্ বেনো-জল্ দিয়ে করতালি প'রে পিয়াল পাতার মাথালি ছিটায় জল,গেঁয়ো কিশোরীর দল। রিনিক,ঝিনিক,বাজে চাবি আঁচলে কাল নাগিনীর মত পিঠে বেনী দোলে তীর-ধনুক হাতে বন-শিকারির সাথে মন ছুটে যায় বনতলে।।