বাণী

	পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ সখি লো কমল-দীঘির পারে।
	আমি জল নিতে যাই সকাল সাঁঝে সই,
সখি, 	ছল ক'রে সে মাছ ধরে, আর, চায় সে বারে বারে।।
	মাছ ধরে সে, বঁড়শী আমার বুকে এসে বেঁধে,
			ওলো সই বুকে এসে বেঁধে,
আর,	চোখের জল কলসি আমার সই, আমি ভরাই কেঁদে কেঁদে
				সই যত দেখি তা'রে।।
	ছিপ নিয়ে যায় মাছ জলে তার (ওলো সই) তাকায় না তা’র পানে
	মন ধরে না মীন ধরে সে সখি লো সেই জানে।
	মন-ভিখারি মীন-শিকারি মুখের পানে চায়,
			সখি লো চোখের পানে চায়,
আমি	বঁড়শী-বেঁধা মাছের মত (গো)
			সখি ছুটিয়া মরি হায়, অকূল পাথারে।।

বাণী

সংসারেরি দোলনাতে মা ঘুম পাড়িয়ে কোথায় গেলি?
আমি অসহায় শিশুর মত ডাকি মা দুই বাহু মেলি’।।
	অন্য শক্তি নাই মা তারা
	‘মা’ বুলি আর কান্না ছাড়া,
তোরে না দেখলে কেঁদে উঠি, আবার কোল পেলে মা হাসি খেলি।।
(ও মা) ছেলেকে তোর তাড়ন করে মায়ারূপী সৎমা এসে।
আবার ছয় রিপুতে দেখায় মা ভয় পাপ এলো পুতনার বেশে।১
	মরি ক্ষুধা তৃষ্ণাতে মা
	শ্যামা আমার কোলে নে মা।
আমি ক্ষণে চমকে উঠি ভাবি দয়াময়ী মা কি এলি।।

১. পাপবর্গী এলো দেশে।

বাণী

কে দুয়ারে এলে মোর তরুণ ভিখারি
কি যাচে ও আঁখি বুঝিতে যে নারি॥
হৃদি প্রাণ মন বিভব রতন
ডারিনু চরণে লহ পথচারী॥
দুয়ারে মোর নিতি গেয়ে যায় যে গীতি
নিশিদিন বুকে বেঁধে তারি স্মুতি।
কি দিয়ে এ ব্যথা নিবারিতে পারি॥
মিলন বিরহ যা চাও প্রিয় লহ
দাও ভিখারিনী বেশ দাও ব্যথা অসহ
মোর নয়নে দাও তব নয়ন বারি॥

নাটকঃ ‘আলেয়া’

বাণী

দেখে যারে দুল্‌হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী।
বর্ণিতে সে রূপ মধুর হার মানে নিখিল কবি॥
আওলিয়া আর আম্বিয়া সব পিছে চলে বরাতি,
আসমানে যায় মশাল জ্বেলে গ্রহ তারা চাঁদ রবি॥
হুর পরী সব গায় নাচে আজ, দেয় ‘মোবারকবাদ্’ আলম্,
আর্‌শ কুর্শি ঝুঁকে পড়ে দেখতে সে মোহন ছবি॥
আজ আরশের বাসর ঘরে হবে মোবারক রুয়ৎ,
বুকে খোদার ইশ্ক নিয়ে নওশা ঐ আল-আরবি॥

বাণী

	আমি জানি তব মন বুঝি তব ভাষা
	তব কঠিন হিয়ার তলে জাগে কি গভীর ভালোবাসা।।
	ওগো উদাসীন! আমি জানি তব ব্যথা
	আহত পাখির বুকে বাণ বিধেঁ কোথা
	কোন অভিমান ভুলিয়াছ তুমি ভালোবাসিবার আশা।।
তুমি	কেন হানো অবহেলা অকারন আপনাকে,
প্রিয়	যে হৃদয়ে বিষ থাকে সে হৃদয়ে অমৃত থাকে।
	তব যে বুকে জাগে প্রলয় ঝড়ের জ্বালা
	আমি দেখেছি যে সেথা সজল মেঘের মালা
ওগো	ক্ষুধাতুর আমারে আহুতি দিলে
	মিটিবে কি তব পরানের পিপাসা।।

বাণী

স্ত্রীঃ		কোন্ বিদেশের নাইয়া তুমি আইলা আমার গাঁও
		কুল-বধূর সিনান ঘাটে বাঁধলে তোমার নাও॥
পুরুষঃ		বাণিজ্যেরই লাইগ্যা কন্যা বেড়াই ভেসে স্রোতে
		(ওগো) তোমার রূপের হাট দেখলাম যাইতে এই পথে।
স্ত্রীঃ		বুঝি তাই বাঁশের বাঁশি, তাই দিয়ে কি হে বিদেশি
		অমূল্য এই মনের মানিক, কিনতে তুমি চাও॥
পুরুষঃ		তোমায় পাবো বলে আজো শূন্য আমার তরী (রে কন্যা)
স্ত্রীঃ		অমন করে চাই ও না গো আমি ভয়ে মরি।
পুরুষঃ		ভয়ে মরার চেয়ে কন্যা ডুবে মরা ভালো
স্ত্রীঃ		আমার মন ডুবেছে দেখে তোমার নয়ন কাজল কালো (রে বন্ধু)
উভয়েঃ	নূতন প্রেমের যাত্রী দু’জন ছোট্ট মোদের নাও
		ওরে গহীন জলের আকুল জোয়ার অকূলে ভাসাও 
		মোদের অকূলে ভাসাও॥