বাণী

পুরুষ	:	আমি আল্লার ডাকে ছুটে যাই যবে
		তুমি মোনাজাত কর গো নীরবে,
স্ত্রী	:	তুমি যে খোদার দেওয়া সওগাত মম বেহেশ্‌তের সাথি।।
পুরুষ	:	তুমি হেরেমের বন্দিনী নহ তুমি যে ঘরের বাতি।
স্ত্রী	:	তুমি যে ঈদের চাঁদ! তব তরে জাগিয়া কাটাই রাতি।।
পুরুষ	:	তুমি নারী আগে আনিলে ঈমান দ্বীন ইসলাম ‘পরে,
স্ত্রী	:	তুমি যে বিজয়ী খোদার রহম আনিয়াছ জয় ক’রে!
পুরুস	:	আজি দুর্বল মোরা তোমারে ত্যজিয়া
স্ত্রী	:	দাঁড়াইব পাশে উঠহ জাগিয়া,
উভয়ে	:	হাতে হাত ধরি’ চলি যদি মোরা জাগিবে নূতন জাতি —
					দুনিয়া আবার উঠিবে মাতি’।।

বাণী

তোর কালো রূপ লুকাতে মা বৃথাই আয়োজন।
ঢাকতে নারে ও রূপ, কোটি চন্দ্র তপন।।
	মাখিয়ে আলো আমার চোখে
	লুকিয়ে রাখিস তোর কালোকে,
তোর অতল কালো রূপে মাগো বিশ্ব নিমগন।।
আঁধার নিশীথ সে যেন তোর কালো রূপের ধ্যান
তোর গহন কালোয় গাহন ক’রে জুড়ায় ধরার প্রাণ।
হেরি তোর কালো রূপ স্নিগ্ধ-করা
	শ্যামা হ’ল বসুন্ধরা,
নিবল কোটি সূর্য, তোরে খুঁজে অনুক্ষণ।।

বাণী

	তুমি রহিমুর রহমান আমি গুণাহগার বান্দা।
	হাত ধ’রে মোর পথ দেখাও য়্যা আল্লাহ্ আমি আন্ধা।।
	(মোর)	সারা জীবন গেল কেটে
		পাঁচ ভুতেরই বেগার খেটে,
(এখন)	শেষের বেলা ঘুচাও আল্লা এই দুনিয়ার ধান্দা।।
(আল্লা)	আমি তোমার বনের পাখি, কেন আমায় ধ’রে —
	রাখ্‌লে মায়ার শিক্‌লি বেঁধে এই দেহ-পিঞ্জরে।
		ব’লে এদের বাঁধা বুলি
		আল্লা তোমায় গেছি ভুলি’,
(এবার)	শিক্‌লি কেটে কাছে ডাকো শেষ কর এই কান্দা।।

বাণী

ও কালো বউ! জল আনিতে যেয়ো না আর বাজিয়ে মল।
তোমায় দেখে শিউরে ওঠে কাজ্‌লা দীঘির কালো জল।
		ওগো কাজ্‌লা দীঘির কালো জল।।
	দেখে তোমার কালো আঁখি
	কালো কোকিল ওঠে ডাকি’
তোমার চোখের কাজল মাখি’ হয় সজল ঐ মেঘ-দল
		ওগো হয় সজল ঐ মেঘ-দল।।
	তোমার কালো রূপের মায়া
	দুপুর রোদে শীতল ছায়া
কচি অশথ্‌ পাতায় টলে ঐ কালো রূপ টলমল।।
	ভাদর মাসের ভরা ঝিলে
	তোমার রূপের আদর মিলে গো —
তোমার তনুর নিবিড় নীলে আকাশ করে টলমল।
		ঐ আকাশ করে টলমল।।

বাণী

রেশমি চুড়ির তালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
‘পিউ কাহাঁ পিউ কাহাঁ’ ডেকে ওঠে পাপিয়া।।
	আঙিনায় ফুল-গাছে
	প্রজাপতি নাচে,
ফেরে মুখের কাছে আদর যাচিয়া।।
	দুলে দুলে বনলতা
	কহিতে চাহে কথা,
বাজে তারি আকুলতা — কানন ছাপিয়া।।
	শ্যামলী-কিশোরী মেয়ে
	থাকে দূর নভে চেয়ে,
কালো মেঘ আসে ধেয়ে — গগন ব্যাপিয়া।।

বাণী

মাধবী-তলে চল মাধবিকা-দল
		আইল সুখ-মধুমাস।
বহিছে খরতর থরথর মরমর
		উদাস চৈতী-বাতাস।।
পিককুল কলকর অবিরল ভাষে,
মদালস মধুপ পুষ্পল বাসে।
		বেণু-বনে উঠিছে নিশাস।।
তরুণ নয়ন সম আকাশ আনীল,
তট-তরু-ছায়া ধরে নীর নিরাবিল
		বুকে বুকে স্বপন-বিলাস।।