বাণী

আমি রাজার কুমার পথ ভোলা,
আমি পথ ভোলা, দখিন হাওয়া দাও দোলা!
আজি প্রাণের ও মনের সকল দ্বার খোলা।।
তরুলতা বনের পাখি তোদের ডাকি আয় শুনে যা
শোন ঝর ঝর ঝর্না-ধারা,
রাজার দুলাল আমি শোন রে ফুল-নদী উতরোলা।।

চলচ্চিত্র : ‘ধ্রুব’

বাণী

তারকা-নূপুরে নীল নভে ছন্দ শোন্ ছন্দিতার।
সৃষ্টিময় বৃষ্টি হয় নৃত্য সেই নন্দিতার।।
সাগরে নদীতে ঢেউ তোলে সেই দেবীর মুক্তকেশ।
সঙ্গীতের হিন্দোলে তাঁর আঁখির প্রেম-আবেশ।
পবনে পবনে হিল্লোলে নীল আঁচল চঞ্চলার
ছন্দোময় আনন্দময় চরণশ্রী বন্দি তাঁর।।

বাণী

নিশিদিন তব ডাক শুনিয়াছি মনে মনে
শ্রবণে শুনিনি আহ্বান তব পবনে শুনেছি বনে বনে।।
	হে বিরহী তব আতাস
	পাণ্ডু করেছে তোমার আকাশ
বিজনে তোমারে করিয়াছি ধ্যান শুধা যে ফিরিনি জনে জনে।।
সকলে যখন ঘুমায়ে পড়েছে আধ রাতে
স্মৃতি মঞ্জুষা খুলিয়া দেখেছি নিরালাতে।
	যদি তব ছবি ম্লান হয়ে যায়
	অশ্রু সলিলে ধুয়ে রাখি তায়
দেবতা তোমারে মৌন পূজায় নীরবে ধেয়াই নিরজনে।।

বাণী

আধো ধরণী আলো আধো আঁধার।
কে জানে দুখ-নিশি পোহাল কার।।
আধো কঠিন ধরা আধেক জল,
আধো মৃণাল-কাঁটা আধো কমল।
আধো সুর, আধো সুরা — বিরহ, বিহার।।
আধো ব্যথিত বুকের আধেক আশা,
আধেক গোপন আধেক ভাষা!
আধো ভালোবাসা আধেক হেলা
আধেক সাঁঝ আধো প্রভাত-বেলা
আধো রবির আলো — আধো নীহার।।

বাণী

পুরুষ	:	কিশোরী বাসন্তী ডাকিছে তোমায় ফুলবন।
স্ত্রী	:	ডাকে হে শ্যাম, তোমায় তাল ও তমাল বন শন্ শন্।।
পুরুষ	:	তুমি ফুলের বারতা
স্ত্রী	:	তুমি বন-দেবতা,
উভয়ে	:	আমরা আভাস ফাল্গুনের, দূর স্বর্গের পরশন।।
পুরুষ	:	কল্প-লোকের তুমি রূপ-রানী গো প্রিয়া,
		অপাঙ্গে ফোটাও যুঁই-চম্পা-টগর-মোতিয়া।
স্ত্রী	:	নিঠুর পরশ তব (হায়) যাচিয়া জাগে বনভূমি
		ফুলদল পড়ে ঝরি’ তব চারু পদ চুমি’,
উভয়ে	:	আমরা ফুলশর-ঊর্বশী দেব-সভার মোরা হরষণ।।

বাণী

আজ সকালে সূর্য ওঠা সফল হলো মম
ঘরে এলে ফিরে পরবাসী প্রিয়তম।।
	আজ প্রভাতের কুসুমগুলি
	সফল হলো ডালায় তুলি'
সাজির ফুলে আজ এ মালা হবে অনুপম।।
এতদিনে সুখের হলো প্রভাতী শুকতারা
ললাটে মোর সিঁদুর দিলো ঊষার রঙের ধারা।
	আজকে সকল কাজের মাঝে
	আনন্দেরই বীনা বাজে
দেবতার বর পেয়েছি আজ তপস্বিনীর সম।।