নিশিদিন তব ডাক শুনিয়াছি মনে মনে
বাণী
নিশিদিন তব ডাক শুনিয়াছি মনে মনে শ্রবণে শুনিনি আহ্বান তব পবনে শুনেছি বনে বনে।। হে বিরহী তব আতাস পাণ্ডু করেছে তোমার আকাশ বিজনে তোমারে করিয়াছি ধ্যান শুধা যে ফিরিনি জনে জনে।। সকলে যখন ঘুমায়ে পড়েছে আধ রাতে স্মৃতি মঞ্জুষা খুলিয়া দেখেছি নিরালাতে। যদি তব ছবি ম্লান হয়ে যায় অশ্রু সলিলে ধুয়ে রাখি তায় দেবতা তোমারে মৌন পূজায় নীরবে ধেয়াই নিরজনে।।
কিশোরী বাসন্তী ডাকিছে
বাণী
পুরুষ : কিশোরী বাসন্তী ডাকিছে তোমায় ফুলবন। স্ত্রী : ডাকে হে শ্যাম, তোমায় তাল ও তমাল বন শন্ শন্।। পুরুষ : তুমি ফুলের বারতা স্ত্রী : তুমি বন-দেবতা, উভয়ে : আমরা আভাস ফাল্গুনের, দূর স্বর্গের পরশন।। পুরুষ : কল্প-লোকের তুমি রূপ-রানী গো প্রিয়া, অপাঙ্গে ফোটাও যুঁই-চম্পা-টগর-মোতিয়া। স্ত্রী : নিঠুর পরশ তব (হায়) যাচিয়া জাগে বনভূমি ফুলদল পড়ে ঝরি’ তব চারু পদ চুমি’, উভয়ে : আমরা ফুলশর-ঊর্বশী দেব-সভার মোরা হরষণ।।