যাও মেঘদূত দিও প্রিয়ার হাতে
বাণী
যাও মেঘদূত, দিও প্রিয়ার হাতে আমার বিরহ–লিপি লেখা কেয়া পাতে।। আমার প্রিয়ার দিরঘ নিশাসে থির হয়ে আছে মেঘ যে–দেশেরই আকাশে আমার প্রিয়ার ম্লান মুখ হেরি’ ওঠে না চাঁদ আর যে–দেশে রাতে।। পাইবে যে–দেশে কুন্তল–সুরভি বকুল ফুলে আমার প্রিয়া কাঁদে এলায়ে কেশ সেই মেঘনা–কূলে। স্বর্ণলতার সম যার ক্ষীণ করে বারে বারে কঙ্কণ চুড়ি খুলে পড়ে মুকুল’ বয়সে যথা বরষার ফুল–দল বেদনায় মুরছিয়া আছে আঙিনাতে।।
মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান
বাণী
মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।। এক সে আকাশ মায়ের কোলে যেন রবি শশী দোলে, এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।। এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল, এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল। এক সে দেশের মাটিতে পাই কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।।
নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’
আমার বুকের ভেতর জ্বলছে আগুন
বাণী
আমার বুকের ভেতর জ্বলছে আগুন, দমকল ডাক ওলো সই। শিগ্গির ফোন কর বঁধুরে, নইলে পুড়ে ভস্ম হই॥ অনুরাগ দিশ্লাই নিয়ে চোখের লম্প জ্বালতে গিয়ে, আমার প্রাণের খোড়ো ঘরে লাগল আগুন ওই লো ওই॥ প্রেমের কেরোসিন যে এত অল্পে জ্বলে জানিনে তো, কি দাবানল জ্বলছে বুকে জানবে না কেউ আমা বই॥ প্রণয় প্রীতির তোষক গদি রক্ষে করতে চায় সে যদি মনে ক’রে আনতে বলিস (তারে) আদর সোহাগ বালতি মই॥