আয় মা উমা! রাখ্ব এবার
বাণী
(মা) আয় মা উমা! রাখ্ব এবার ছেলের সাজে সাজিয়ে তোরে। (ওমা) মা’র কাছে তুই রইবি নিতুই, যাবি না আর শ্বশুর ঘরে।। মা হওয়ার মা কী যে জ্বালা বুঝবি না তুই গিরি-বালা তোরে না দেখলে শূন্য এ বুক কী যে হাহাকার করে।। তোরে টানে মা শঙ্কর-শিব আসবে নেমে জীব-জগতে, আনন্দেরই হাট বসাব নিরানন্দ ভূ-ভারতে। না দেখে যে মা, তোর লীলা হ’য়ে আছি পাষাণ-শীলা আয় কৈলাসে তুই ফির্বি নেচে বৃন্দাবনের নূপুর প’রে।।
আঁখি ঘুম-ঘুম-ঘুম নিশীথ নিঝুম ঘুমে ঝিমায়
বাণী
আঁখি ঘুম-ঘুম-ঘুম নিশীথ নিঝুম ঘুমে ঝিমায়। বাহুর ফাঁদে স্বপন-চাঁদে বাঁধিতে কারে চায়।। আমি কারো লাগি একা নিশি জাগি বিরহ-ব্যথায় কোথায় কাহার বুকে বঁধু ঘুমায় কাঁদি চাতকিনী মরে তৃষায় কুসুম-গন্ধ আজি যেন বিষ-মাখা হায়।। কেন এ ব্যথা এ আকুলতা পরের লাগি এ পরান পুড়ে? মরুভূমিতে বারি কি ঝুরে আমি যেন ম’রে তোরি রূপ ধ’রে আসি সে যাহারে চায়।।
ছি ছি ছি কিশোর হরি
বাণী
ছি ছি ছি কিশোর হরি, হেরিয়া লাজে মরি সেজেছ এ কোন রাজ সাজে যেন সঙ্ সেজেছ, হরি হে যেন সঙ্ সেজেছ — ফাগ মুছে তুমি পাপ বেঁধেছ হরি হে যেন সঙ্ সেজেছ; সংসারে তুমি সঙ্ সাজায়ে নিজেই এবার সঙ্ সেজেছ। বামে শোভিত তব মধুরা গোপিনী নব সেথা মথুরার কুবুজা বিরাজে। মিলেছে ভাল, বাঁকায় বাঁকায় মিলেছে ভাল, ত্রিভঙ্গ অঙ্গে কুবুজা সঙ্গে বাঁকায় বাঁকায় মিলেছে ভাল। হরি ভাল লাগিল না বুঝি হৃদয়-আসন তাই সিংহাসনে তব মজিয়াছে মন প্রেম ব্রজধাম ছেড়ে নেমে এলে কামরূপ হরি, এতদিনে বুঝিলাম তোমার স্বরূপ তব স্বরূপ বুঝি না হে গোপাল রূপ ফেলে ভূপাল রূপ নিলে স্বরূপ বুঝি না হে। হরি মোহন মুরলী কে হরি’ নিল কুসুম কোমল হাতে এমন নিঠুর রাজদন্ড দিল মোহন মুরলী কে হরি। দন্ড দিল কে, রাধারে কাঁদালে বলে দন্ড দিল কে দন্ডবৎ করি শুধাই শ্রীহরি দন্ড দিল কে রাঙা চরণ মুড়েছে কে সোনার জরিতে খুলে রেখে মধুর নূপুর, হরি হে খুলে রেখে মধুর নূপুর। হেথা সবাই কি কালা গো ? কারুর কি কান নাই নূপুর কি শোনে নাই, সবাই কাল গো কালায় পেয়ে হল হেথায় সবাই কি কালা গো। তব এ রূপ দেখিতে নারি, হরি আমি ব্রজনারী, ফিরে চল তব মধুপুর সেথা সকলি যে মধুময়, অন্তরে মধু বাহিরে মধু সেথা সকলি যে মধুময় — ফিরে চল হরি মধুপুর।
তুমি অনেক দিলে খোদা
বাণী
তুমি অনেক দিলে খোদা, দিলে অশেষ নিয়ামত — আমি লোভী, তাইতো আমার মেটে না হসরত।। কেবলই পাপ করি আমি — মাফ করিতে তাই, হে স্বামী, দয়া করে শ্রেষ্ঠ নবীর করিলে উম্মত। তুমি নানান ছলে করছ পূরণ ক্ষতির খেসারত।। মায়ের বুকে স্তন্য দিলে, পিতার বুকে স্মেহ; মাঠে শস্য ফসল দিলে আরাম লাগি' গেহ। ঈদের চাঁদের রং মশালে রঙীন বেহেশ্ত পথ দেখালে আখেরেরই সহায় দিলে আখেরী হজরত। তুমি আজান দিলে না ভুলিতে মসজিদেরই পথ।।
নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী
বাণী
নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী মেয়ে খেলে মদিনায় দেহের জ্যোতিতে তার জাফরানি পিরহান ম্লান হয়ে যায়॥ মুখে তার নবীজীর মুখেরি আদল আঁখি দুটি করুণায় সদা ঢল ঢল, মেষ শাবকেরে ধরি মধুর মিনতি করি কলেমা শোনায়॥ জুম্মার মস্জিদে কোন্ সে ভক্ত পড়ে কোরান আয়াত, অমনি সে খেলা ভুলি কচি দুটি হাত তুলে করে মোনাজাত। নীল দরিয়ার পানি নয়নে বহে ‘উম্মতে কর ত্রাণ’ কাঁদিয়া কহে হজরত কোলে তুলে ‘বেহেশ্ত্ রানী তুমি’ বলে ফাতেমায়॥