বাণী

	কোন্‌ সুদূরের চেনা বাঁশির ডাক শুনেছিস্‌ ওরে চখা?
			ওরে আমার পলাতকা!
তোর প’ড়লো মনে কোন্‌ হানা–ঘর,
			স্বপন-পারের কোন্‌ অলকা?
			ওরে আমার পলাতকা।।
তোর জল ভ’রেছে চপল চোখে,
বল কোন্‌ হারা–মা ডাক্‌লো তোকে রে
ঐ গগন–সীমায় সাঁঝের ছায়ায় —
	হাতছানি দেয় নিবিড় মায়ায় —
	উতল পাগল! চিনিস্‌ কি তুই চিনিস্‌ ওকে রে?
যেনবুক–ভরা ও’ গভীর স্নেহে ডাক দিয়ে যায়, ‘আয়,
			ওরে আয় আয় আয়,
কোলে আয় রে আমার দুষ্টু খোকা!
‌ওরে আমার পলাতকা।।‘
			দখিন হাওয়ায় বনের কাঁপনে —
	দুলাল আমার! হাত–ইশারায় মা কি রে তোর
				ডাক দিয়েছে আজ?
			এতদিনে চিনলি কি রে পর ও আপনে!
	নিশি ভোরেই তাই কি আমার নামলো ঘরে সাঁঝ?
			ধানের শীষে, শ্যামার শিষে —
			যাদুমণি! বল্‌ সে কিসে রে,
		তুই শিউরে চেয়ে ছিঁড়্‌লি বাঁধন!
			চোখ ভরা তোর উছলে কাঁদন রে!
তোরে কে পিয়ালো সবুজ স্নেহের কাঁচা বিষে রে!
‌‌যেন আচম্‌কা কোন্‌ শশক–শিশু চম্‌কে ডাকে হায়,
			‘ওরে আয় আয় আয় —
		বনে আয় ফিরে আয় বনের সখা।
		ওরে চপল পলাতকা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ 

তালঃ দাদ্‌রা

অডিও

শিল্পীঃ সুধীন দাস

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

কোন্‌ সে-সুদূর অশোক-কাননে বন্দিনী তুমি সীতা।
আর কতকাল জ্বলিবে আমার বুকে বিরহের চিতা।।
			সীতা — সীতা!!
	বিরহে তোমার অরণ্যচারী
	কাঁদিব রঘুবীর বল্কলধারী,
ঝরা চামেলির অশ্রু ঝরায়ে ঝুরিছে বন-দুহিতা।।
			সীতা — সীতা!!
তোমার আমার এই অনন্ত অসীম বিরহ নিয়া,
কত আদি কবি কত রামায়ন রচিবে, কে জানে প্রিয়া!
	বেদনার সুর-সাগর তীরে
	দয়িতা আমার এসো এসো ফিরে,
আবার আঁধার হৃদি-অযোধ্যা হইবে দীপান্বিতা।।
			সীতা — সীতা!!

নাটকঃ ‘বন্দিনী বিরহিনী সীতা’

রাগ ও তাল

রাগঃ ভৈরবী

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

আরক্ত কিংশুক কাঁপে, মালতীর বক্ষ ভরি’
চন্দ্রের অমৃত স্পর্শে উঠিতেছে শিহরি’ শিহরি’।।
		নীরব কোকিলের গুঞ্জন
চৈত্র পূর্ণিমা রাত্রি, বাড়িয়াছে বক্ষের স্পন্দন,
মোদের নাচের নূপুরের ছন্দ কভু চপল কভু মৃদুমন্দ,
বসন্ত-উৎসব সজ্জা অন্তরাল হতে মৃদু ভাষে
সুন্দর গুঞ্জন ধ্বনি কেন ভেসে আসে।
মমতার মধু-বিন্দু ক্ষরিল মোরা মধু খেয়ে বলিলাম — আহা মরি।।
ধরণীর অঙ্গ হতে বাসরের সজ্জা পড়ে খুলি’
গভীর আনন্দে মোরা চাহি দুটি আঁখি তুলি,
চৈত্রের পূর্ণিমা রাত্রি এলো ফিরি
প্রিয় তুমি কেন চ’লে গেলে ধীরি ধীরি।
তুমি ফিরে এলে মোরা লভিতাম অমৃতের স্বাদ চন্দ্রের অমিয়া পান করি।।

নাটক : ‘মদিনা’

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

একেলা ঢুলিয়া ঢুলিয়া কে যায়।
চলিতে চরণ চরণে জড়ায়।।
এখনো ভাঙেনি মল্লিকার ঘুম
এখনো অমলিন-কবরী কুসুম,
নয়নে নিশির ঝরেনি শিশির
বিহগ পাখায় বিহগী ঘুমায়।।
অভিসার নিশি বৃথাই জাগি কোথা
অভিমানিনী চলে মূর্তিমতী ব্যথা।
ভীরু চকিত চোখে করুণ কাতরতা
রবি না ওঠে যেন মিনতি জানায়।।

রাগ ও তাল

রাগঃ ভৈরবী

তালঃ আদ্ধা কাওয়ালী

বাণী

খোদায় পাইয়া বিশ্ব বিজয়ী ছিল একদিন যারা
খোদায় ভুলিয়া ভীত পরাজিত আজ দুনিয়ায় তারা।।
	খোদার নামের আশ্রয় ছেড়ে
	ভিখারির বেশে দেশে দেশে ফেরে
ভোগ বিলাসের মোহে ভুলে, হায় নিল বন্ধন কারা।।
খোদার সঙ্গে যুক্ত সদাই ছিল যাহাদের মন
দুঃখ রোগে শোকে অটল যাহারা রহিত সর্বক্ষণ।
	এসে শয়তান ভোগ বিলাসের
	কাড়িয়া লয়েছে ঈমান তাদের
খোদায় হারায়ে মুসলিম আজ হয়েছে সর্বহারা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

তুমি	সারাজীবন দুঃখ দিলে, তব দুঃখ দেওয়া কি ফুরাবে না!
যে	ভালোবাসায় দুঃখে ভাসায় সে কি আশা পূরাবে না॥
মোর	জনম গেল ঝুরে ঝুরে - লোকে লোকে ঘুরে ঘুরে,
তব	স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে কি, নাথ, দগ্ধ হিয়া জুড়াবে না॥
তুমি	অশ্রুতে যে-বুক ভাসালে —
সেই	বক্ষে এসো দিন ফুরালে
তুমি	আঘাত দিয়ে ফুল ঝরালে, হাত দিয়ে কি কুড়াবে না॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি